আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চম সংশোধনী-র রায়ের পরে কি হবে? ( রি-পোস্ট )

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘকালের সহচর খন্দকার মুশতাক তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতিকে ডিংগিয়ে ক্ষমতা নেন। সে সময়ে এক ঘোলাটে পরিস্থিতিতে সংবিধান স্থগিত করা হয়। পরবর্তিকালে পঞ্চম সংশোধনী এনে সংবিধানকে চালু করা হয়। এতকাল তো এটাই জানতাম।

দেখছি, আমাদের অনেকের এই জানাটা ভুল ছিল! এখন সংবিধান সংশোধন করা লাগবে বলে যে জিগির উঠেছে, সেটা করতে কোর্টের রায় লাগবে কেন? সংখ্যা গরিষ্ঠের দল একটা সংবিধান সংশোধনী আনলেই তো লেঠা চুকে যায়। কোর্টের কাঁধে বন্দুক রাখবার দরকার কি? আর কোর্ট এর মধ্যে ঢুকে পড়ে যা যা বলেছে, তার একটা সংক্ষিপ্তাসার নীচে দেয়া গেলঃ ১। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বহাল রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে রাষ্ট্রীয় যে চার মূলনীতি অর্থাৎ গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামজতন্ত্র এগুলোকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পঞ্চম সংশোধনীতে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিতে পরিবর্তন এনে বলা হয়, 'সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার' রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস হবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টর রায়ের এই অংশ সম্পর্কে কোনো সংশোধনী দেয়নি। ফলে এখন মূল সংবিধানের চার মূলনীতিতে ফিরে যেতে কোনো বাধা নেই। ৩।

পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজনকে হাইকোর্ট বহাল রেখেছিল। আপিল বিভাগের রায়েও তা বহাল আছে। ফলে বিসমিল্লাহ থাকছে। ৪। হাইকোর্ট রায়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বললেও আপিল বিভাগ জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশি হবে বলে অভিমত দিয়েছে।

৫। সংবিধানের ছয় অনুচ্ছেদ বহাল রাখা হয়েছে। ফলে এখন জাতীয় পরিচয় হবে বাংলাদেশি। ৬। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সম্পর্কিত ৩৮ ও ১২ অনুচ্ছেদও পুনর্বহাল হবে।

তবে এর ফলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে কী না এ বিষয়টি স্পষ্ট না। এখন প্রশ্ন হলোঃ সমাজতন্ত্র আমরা কি করে বাস্তবায়ন করবো? প্রাইভেট কোন কিছুই তো সমাজতন্ত্রে থাকতে পারে না। সে জন্য কি সমাজতন্ত্রে আমরা ফিরে যাবো না? নাকি পঞ্চম সংশোধনীর "সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার" কথা গুলো বহাল রাখা হবে? সুরঞ্জিত দাদার খেলাটা একটু দেখতে চাই এই বারে। এই বারে উনি এমেন্ডমেন্ট-এ সাক্ষর করবেন তো? উনার মনে রাখতে হবে শেখ সাহেব এক ধরনের মানুষ ছিলেন, কিন্তু তাঁর বেটি একটু সরেস 'চিড়িয়া'।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।