কথা ছিল, গত বৃহস্পতিবার মুম্বাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে সঞ্জয় দত্তকে। কিন্তু না, গতকাল শুক্রবারও তিনি ছিলেন মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে। তবে কখন সঞ্জয়কে পুনেতে নিয়ে যাওয়া হবে—এ ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, এ-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গতকাল বিকেল পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। ‘সঞ্জয় দত্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ’—চিকিৎসকের কাছ থেকে এই সনদ পাওয়ার পরই হয়তো তাঁকে পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে আর্থার রোডের কারাগারের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, কারাগারে সঞ্জয়কে রাখা হয়েছে পৃথক একটি সেলে। আর তা একেবারেই সাধারণ কয়েদিদের মতো। কারাগারে ঢোকার পর সঞ্জয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। বেশ চুপচাপ।
গতকাল সারা দিনই তাঁকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কারাগার থেকে তাঁকে খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেই খাবার খাননি। গতকাল দুপুরে তাঁর বাসা থেকে খাবার পাঠানো হয়। সঞ্জয় দুপুরে সেই খাবারই খেয়েছেন।
ভারতের মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন এই বলিউড তারকা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দেড় বছর কারাভোগ করেছেন সঞ্জয়। এবার তাঁকে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।