আমি বিদ্রোহী
অন্তহীন সমস্যা আর ঝুঁকির মুখে শিশুপার্ক
রিবেল মনোয়ার
ঢাকার শিশুদের বিনোদন ¯’ান নেই বললেই চলে । সবেধন নীলমনিশাহবাগের শহীদ জিয়া শিশুপার্কে সমস্যার অন্ত নেই। অধিকাংশ রাইডের ফিটনেস নেই। বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি রাইড। সচল রাইডগুলো সংস্কার হ”েছ গতানুগতিক ধারায়।
পরিকল্পনা থাকার পরও ¯’াপিত হয়নি নতুন কোনো রাইড। ঊন্নয়নের কোন লক্ষণ নেই । দিন দিন বুড়িয়ে যা”েছ, অযতেœ হারা”েছ সৌন্দর্য ।
দেখা গেছে, যত্রতত্র আবর্জনা ,বাদামের খোসা,চিপস ও অনান্য প্যাকেট পড়ে আছে । 'এসো গাড়ি চড়ি' ও 'চাকা পায়ে চলি' রাইডটি দীর্ঘদিন বন্ধ।
। আছে শুধু ভাঙা চারটি গাড়ি। রিকশার টায়ার আর জিআই তার দিয়ে কোনো রকমে এগুলো সংস্কার করা হয়েছে। একটি গাড়িতেও ব্যাটারি নেই। 'রোমাঞ্চ চক্কর' রাইডে নেই শিশুদের ¯’ান।
ভেঙে গেছে চেয়ার ও নিরাপত্তাবেষ্টনী লোহার পাইপ। রেলগাড়ি ও নাগরদোলা রাইড দুটি সচল থাকলেও ভ্রমণকারীরা ঝুঁকি নিয়েই উঠছেন এসবে। যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
'ফুলদানি আমেজ' রাইডের বেশ কটির চেয়ার ভাঙা। 'ঝোলানো চেয়ার' রাইডেরও একই অব¯’া।
চেয়ার ঝোলানোর জন্য ব্যবহৃত তারে মরিচা পড়ে নোংরা হয়েছে । অনূর্ধ্ব ১২ বছর বয়সীদের জন্য এ রাইডে চড়ছেন বয়স্করাও। নাগরদোলা মাঝেমধ্যে আটকে যায় এবং বিকট শব্দ করে। ভয়ে কেউ এ রাইডে উঠছে না। রেলগাড়িতে বগি মাত্র চারটি, প্রতিদিনই থাকে দীর্ঘ লাইন।
দর্শনার্থীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। পার্কের দণি দিকে চারটি রেস্টুরেন্টও দীর্ঘদিন বন্ধ। উত্তরে দিকে অপরিকল্পিতভাবে রেস্টুরেন্ট বসেছে। রেস্টুরেন্টগুলোতে কিছু লোক সবসময় বসে থাকে ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন সীমানায় মলমূত্রের দূর্গন্ধ ।
সীমানাপ্রাচীর অরক্ষিত হওয়ায় যে কেউ সেখান দিয়ে ঢুকতে পারে পার্কে। সীমানাপ্রাচীরের কোন যতœ নেয়া হয়না তা বিবর্ণ দেখলেই বোঝা যায় ।
শিশুকে নিয়ে বেড়াতে আসা এক অভিভাবক শিউলী আক্তার বলেন, ‘শিশুদের বিনোদন জায়গা কম ,তবু বেড়াতেতো হবেই । এখানে প্রবেশমূল্য কম হওয়ায় সবাই অঅসতে পারে । কিš‘ এখানকার স্টাফরা আন্তরিক নয় ।
পরিবেশও নোংরা, এসবের যতœ নেয়া উচিত’
সমস্যা ও অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পার্কের সহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে নিষেধ আছে। এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তারপরও বলি, আমরা যতœ নেই , বাজেট স্বল্পতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সমস্যা সমাধানে বিলম্ব হয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।