সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......
রাস্তার পাশেই হবে এক বিশাল সমাবেশ।
সমাবেশে আসবে অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিক।
তাই আকাশে প্রজ্বলিত সূর্যের উত্তাপ উপেক্ষা করে
দুপুর থেকেই জড়ো হচ্ছে জনতা।
হাতে তাঁদের শত শত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার
ধরে এগুচ্ছে ছাত্র, কৃষক ও মজুরেরা।
তাঁদের সবুজ ব্যানারে শোভা পাচ্ছে রক্তরঙ,
হলুদ ব্যানারে শোভা পাচ্ছে অন্ধকার,
আর আকণ্ঠ উচ্চারিত বলিষ্ঠ স্লোগান দিয়ে
অসংযত পায়ে ধেয়ে যাচ্ছে মঞ্চের দিকে।
লবনকণায় টুইটুম্বুর তাঁদের আপাদমস্তক,
তবুও দৃঢ় প্রত্যয়ে সবাই অপেক্ষমাণ।
ছায়া যখন দীর্ঘতর হলো-
তখন মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন রাজনীতিকরা।
তাঁরা একে একে দিয়ে চললেন তাঁদের নিজ বক্তব্য;
আর আমি অনেক দূরে দাঁড়িয়ে শুনছি
তাঁদের দায়িত্ববোধ হতে নিঃসৃত কথামালা।
কিন্তু কেন আমার হাতে কোনো প্ল্যাকার্ড কিংবা পোস্টার নেই
কেন আমি অনেক দূরে শুধু দাঁড়িয়ে আছি
এই সমাবেশে হাজার হাজার জনতার মধ্যেও
কারও কোনো সন্দিগ্ধ চোখ আমাকে দেখল না!
তাঁরা কেবল দৃঢ়চিত্তে শুনেই যাচ্ছে
অভ্যাগতদের বক্তৃতা:
দেশে ফসলের ন্যায্য মূল নেই
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, বখাটেদের উৎপাতে
অকালে নষ্ট হচ্ছে অনেক ছাত্রীর জীবন।
অথচ, এত এত বক্তার কণ্ঠস্বরের ভীড়ে
আলোচিত সমস্যাবলী সমাধানের উপায় নিয়ে
কোনো বক্তার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম না!
এই অজস্র জনতা সর্বদাই
কাজ ফেলে রেখে ছুটে আসে সকল সমাবেশে
কিন্তু তাঁরা জানে না যে-
রাজনীতিতে কোনো আগামীকাল নেই
যা আছে তার সবই গতকাল...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।