মানুষের সমাজে এক মুহূর্ত বাঁচতে চাই
বদরুদ্দীন উমর
ব্যক্তি, দল, জাতি বা যেই হোক, সত্যকে স্বীকার করার ক্ষমতা যখন কারও থাকে না তখন বুঝতে হবে তার এ অস্বীকৃতির কারণ কোন গভীর দুর্বলতা অথবা অন্তর্নিহিত সংকট। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক তাদের ঐতিহ্যবাহী ও চিরকালীন অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে অস্বীকার করার চেষ্টা এ ধরনেরই এক ব্যাপার।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের নির্বাচন বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের তাণ্ডব শুরু হয়। তারা অন্যদের রাতারাতি তাড়িয়ে দিয়ে হল দখল করে। এভাবে হল দখলের পর তারা শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভর্তি বাণিজ্য ও তার জন্য সন্ত্রাস।
অন্যদের তাড়িয়ে দিয়ে এভাবে সবকিছুর দখল নেয়ার পর শুরু হয় টাকা-পয়সা, সুযোগ-সুবিধা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের নিজেদের দ্বন্দ্ব এবং এ দ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে এখন এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যাতে তারা পরস্পরকে নানাভাবে আক্রমণ করে খুন-জখম পর্যন্ত করছে। এক কথায় তারা এখন পরিণত হয়েছে ক্রিমিনাল এক সন্ত্রাসী সংগঠনে। বলাই বাহুল্য, আঠারো মাস অর্থাৎ তাদের নির্বাচন বিজয়ের পর থেকে এ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারের ছত্রছায়াতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখন বেসামাল। এরা এতই বেসামাল যে পিতৃ সংগঠন আওয়ামী লীগও আর এদের সামাল দিতে পারছে না, একথা আওয়ামী নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে। সামাল দেয়ার কথা এভাবে বললেও আসলে সে চেষ্টা এতদিন প্রকৃতপক্ষে করাই হয়নি।
পুলিশের নিষ্ক্রিয় সহযোগিতা এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সক্রিয় সমর্থনেই ছাত্রলীগ এভাবে বেপরোয়া হয়েছে। এমনভাবে বেপরোয়া হয়েছে যা সামাল দেয়া তাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। যে প্রক্রিয়া তারা নিজেরাই শুরু করেছে, যেভাবে ছাত্রলীগকে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সরকারিভাবে সাহায্য করা হয়েছে, সে প্রক্রিয়া রাতারাতি ঠেকানো সম্ভব নয়। অনেক গালভরা কথা বলা সত্ত্বেও আসলে ছাত্রলীগের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেই শুধু যে তাদের স্পর্ধা সীমা অতিক্রম করেছে তাই নয়, অর্থ ও ক্ষমতার লালসা তাদের এক গ্রুপকে এখন অন্য গ্রুপের সঙ্গে ক্রিমিনাল সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
একথা ঠিক, কর্মসূচিবিহীন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্যবিহীন ছাত্রলীগ এখন একটি পুরোদস্তুর দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও ক্রিমিনাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
ছাত্রলীগের এ চরিত্র বিষয়ে জনগণের আর কোন সন্দেহ নেই। এটাই মূল কারণ যেজন্য আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন তার সঙ্গে নিজের সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলছে। কিন্তু একথার কোন গ্রাহ্যতা কারও কাছে নেই। ইসলামী ছাত্রশিবির আশির দশক থেকে ছাত্রমহলে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে। বস্তুতপক্ষে তারাই ছাত্র সংগঠন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটিয়েছে।
অনেক কীর্তি তারা করেছে এবং এখনও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। এসব দেখে জামায়াতে ইসলামী যদি বলে ছাত্র শিবিরের সঙ্গে তাদের কোন সাংগঠনিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক নেই, তাহলে কে তাদের কথা বিশ্বাস করবে? আওয়ামী লীগ কি বিশ্বাস করবে সে কথা? সেটা যদি না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের নির্ভরযোগ্য অঙ্গসংগঠন হিসেবে যে ছাত্রলীগ কাজ করে এসেছে, তাকে হঠাৎ আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়ে অস্বীকার করলে সে কথা বিশ্বাস করবে কে? কেউ বিশ্বাস করবে না এ কারণে যে, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখনও পর্যন্ত ছাত্রলীগ খুব সত্য অর্থেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। এর কার্যকলাপ থেকে আওয়ামী লীগ নিজেকে কিছুতেই দায়মুক্ত রাখতে পারবে না।
ছাত্রলীগ এখন যে অবস্থাপ্রাপ্ত হয়েছে, সেটা রাতারাতি হয়নি।
আওয়ামী লীগের নাকের ডগাতেই এটা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা যে আচরণ করে এসেছেন, তার থেকে শিক্ষা নিয়েই এবং তাদের আচরণ থেকে প্রণোদনা লাভ করেই ছাত্রলীগের নেতারা তাদের দুর্নীতিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আলুর বস্তায় একটা পচা আলু মুখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে যেভাবে বস্তাভর্তি আলুকে পচিয়ে দেয়, সেভাবেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ থেকে তরুণ ছাত্রলীগ কর্মীরা আওয়ামী লীগের গুণাগুণ প্রাপ্ত হয়ে তার বর্তমান চরিত্র পরিগ্রহ করেছে। কাজেই ছাত্রলীগ একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে কেন তার বর্তমান অবস্থাপ্রাপ্ত হল, এর কারণ অনুসন্ধান করলে এদিকে দৃষ্টি দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন ও তাদের ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের এখন জোর চেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি থেকে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি আলাদা করার।
এদের কথা থেকে মনে হয়, দেশে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি খুব উজ্জ্বল এবং ছাত্রলীগ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এই ‘উজ্জ্বল’ ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এর থেকে বড় ভ্রান্তি আর কী হতে পারে? আসলে ছাত্রলীগের অবস্থা চন্দ্রের মতো। সূর্যের আলোর ছটাতেই সে আলোকিত।
এ প্রসঙ্গে ১০ জুলাই ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী যা বলেন, সেটা উল্লেখযোগ্য। একটি সংবাদপত্র রিপোর্টে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রসঙ্গ উলে¬খ করে তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলুন ছাত্রলীগ কি খুনোখুনি করে? বিএনপি-জামায়াত জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গত ৭ বছরে এই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই তো পড়ে পড়ে মার খেয়েছে।
তারা এসবের সঙ্গে জড়িত নয়। তবে চক্রান্তকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগে ঢুকে পড়েছে। এরাই সংগঠনে নাশকতা চালাচ্ছে। ’ (সমকাল ১১.৭.১০)
এসব বক্তব্য কি সঠিক ও সত্য? তা যদি হয় তাহলে মিথ্যা আর কাকে বলে? মন্ত্রী এমনভাবে কথা বলেছেন, যার থেকে মনে হয় ছাত্রলীগ
খুনোখুনি করে না। অথচ প্রায় প্রতিদিন খবরের কাগজে সচিত্র রিপোর্টে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্মীরা পিস্তল, চাপাতি, দা, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে অথবা সরাসরি আক্রমণ করছে।
সে প্রতিপক্ষ অন্য কোন সংগঠনের হোক অথবা হোক খোদ ছাত্রলীগেরই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্ট অন্য গ্রুপ। কাজেই ‘ছাত্রলীগ কি খুনোখুনি করে?’ এভাবে প্রশ্ন করে তিনি ছাত্রলীগকে নিরামিষ বানানোর যে চেষ্টা করেছেন, সেটা যে সত্যকে আড়াল করে মিথ্যার ঝুড়ি সামনে রাখার ব্যাপার এ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। এতে বিস্মিত হওয়ারও কিছু নেই। কারণ এভাবে সত্যকে আড়াল করে মিথ্যার প্রচার তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী ছাত্রলীগকে নিরীহ সংগঠন হিসেবে উপস্থিত করার জন্য এভাবে চেষ্টা করলেও তাকে প্রকারান্তরে স্বীকার করতে হয়েছে, ছাত্রলীগ নানাভাবে নাশকতামূলক কাজ করছে।
এ কারণে তিনি বলছেন, ‘চক্রান্তকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগে ঢুকে পড়েছে। এরাই সংগঠনে ঢুকে নাশকতা চালাচ্ছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘চক্রান্তকারী কিছু অশুভ শক্তি অপকর্ম করে ছাত্রলীগের নামে কুৎসা রটাচ্ছে। ’ (ঐ) এর অর্থ দাঁড়ায় ছাত্রলীগের এমন বিশুদ্ধ চরিত্র যে, তার কর্মীরা সংজ্ঞা অনুসারেই কোন খারাপ কাজ, বিশেষত খুনখারাবি করতে পারে না। কাজেই যখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ধরনের কাজ করে বলে দেখা যায়, তখন সেটা কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর কাজ নয়।
সে কাজ হল বাইরের, অন্য সংগঠনের, চক্রান্তকারীদের কাজ যারা ছাত্রলীগে, যুবলীগে অনুপ্রবেশ করে অপকর্ম করছে! এসব শুনে মনে হয় বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেসব অপকর্ম করছেন সেগুলোও আওয়ামী লীগের কাজ নয়, সেসব হল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী অনুপ্রবেশকারীদের কাজ!! এ আলোচনার শুরুতেই সত্যকে অস্বীকার করার যে কথা বলা হয়েছে, এর থেকে তার উৎকৃষ্ট ও প্রামাণ্য উদাহরণ আর কী হতে পারে?
মজার ব্যাপার হল, ছাত্রলীগের নিরীহ চরিত্র বিষয়ে এত কথা বলার পর মন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি কর। এটা না করে ওদের (যুদ্ধাপরাধীদের) মারতে পার না?’ (ওই) তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াল এই, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসলেই যে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এটা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মহোদয় স্বীকার করছেন। তারপর তিনি তাদের উপদেশ দেয়ার মতো করে বলছেন নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে যুদ্ধাপরাধীদের মারতে! তাহলে তার মতে যুদ্ধাপরাধীদের আইন অনুযায়ী বিচার না করে তাদের মারাই হল এদের কাছে শুধু সমর্থনযোগ্য নয়, একেবারে আসল কাজ!! এই চিন্তা একজন ফ্যাসিস্ট মনোভাবাপন্ন লোকের মাথা ছাড়া আর কার মাথায় আসতে পারে?
এখানেই শেষ নয়, টাঙ্গাইলবাসী এই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা ডাকাত’ আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছিঁচকে চোর। আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে পুলিশকে প্যাকেট বিরিয়ানি খাইয়ে সরাসরি নিজেরা জেল থেকে বের হয়ে আসত। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে টুকু সাহেবের (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) সহযোগিতা নেন।
’ (ওই) অর্থাৎ আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্য কোন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তাদের ছাড়িয়ে আনেন!
তাহলে এই মন্ত্রীর কথা থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়া গেল, বিএনপির নেতাকর্মীদের মতো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ডাকাত না হলেও ছিঁচকে চোর! আর ছিঁচকে চোরদের পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার কাজ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং ক্ষমতাবান নেতারাই করে থাকেন!! উল্লেখযোগ্য যে, ওই সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তার সহকর্মী মন্ত্রীর এই বক্তব্যের কোন প্রতিবাদ করেননি!!!
ডাকাত হচ্ছে দুর্ধর্ষ অপরাধী। কিন্তু ছিঁচকে চোর হল নিম্নশ্রেণীর নীচ অপরাধী এবং কাপুরুষও বটে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ডাকাত না ছিঁচকে চোর, এ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে মন্ত্রীর উক্তি অনুযায়ী এটা অবশ্যই বলা চলে তারাও অপরাধী। অন্যের টাকা-পয়সা, সম্পত্তি অপহরণ ও আত্মসাৎ করার কাজ তারাও করে থাকে। নিজের দলের লুটপাটের মাত্রা কম করে দেখানোর জন্য উপরোক্ত মন্ত্রী তাদের ‘ছিঁচকে চোর’ বলে অভিহিত করলেও আসলে তারা শুধু ছিঁচকে চোরই নয়, অন্য অনেক ধরনের অপরাধই তাদের নিত্যকর্ম।
এর অনেক দৃষ্টান্ত সংবাদপত্রেই পাওয়া যায়।
সংবাদপত্র রিপোর্ট অনুযায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক অফিসার মিরপুর এলাকার এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর কারণ ওই সংসদ সদস্য আশুলিয়ায় যানজটে আটকে পড়ে ট্রাফিক পুলিশকে হুকুম করেন অন্য গাড়ি সরিয়ে তাকে রাস্তা করে দিতে। এটা সম্ভব না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ অফিসারটির গালে থাপ্পড় মারেন! ক্ষমতা মদমত্ত হয়ে এর থেকে নিম্ন রুচির আচরণ কল্পনারও বাইরে। এই
লোকরাই যে অন্য পরিস্থিতিতে বড় আকারে ও জঘন্যভাবে সন্ত্রাসের মতো অপকর্ম করে থাকেন, এটা কি দেশের লোকের অজানা আছে?
এ আলোচনা শেষ করার আগে এটা বলা দরকার, আওয়ামী লীগের নেতানেত্রী কর্মীরা কোন সাধু চরিত্রের লোক নন।
তারা যে শুধু ছিঁচকে চোর তাও নয়। সব রকম অপরাধই যে তাদের অনেকে করে থাকেন, এটা জনগণের সাধারণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই তারা জানেন। ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের থেকেই তাদের বর্তমান আচরণবিধি আয়ত্ত করেছে। এদিক দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টার দ্বারা আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা নিজেদের ভাবমূর্তি জনগণের সামনে খেলো করে দেয়া ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারেন না।
হাজার চেষ্টা করলেও নয়। আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যা করছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পর্দার ভেতরে-বাইরে সে একই কাজ করছেন। এরা সবাই একই পালকের পক্ষী।
[সূত্রঃ যুগান্তর, ১৮/০৭/১০]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।