বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৮টার দিকে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের নামা পারেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
ক্ষতবিক্ষত ওই সাংবাদিককে মুম্বাইয়ের যাসলক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, একটি সাময়িকীতে কর্মরত এই সংবাদকর্মী নামা পারেলের বন্ধ হয়ে যাওয়া শক্তি মিলে এক ছেলেবন্ধুসহ অ্যাসাইনমেন্টে গিয়েছিলেন। ওই সময় দুই ব্যক্তি তাকে হেনস্থা করে মারধর শুরু করলে এর প্রতিবাদ করেন তার বন্ধু।
কিন্তু তাকে বেঁধে ফেলে ওই নারী সংবাদকর্মীকে টেনে হিঁচড়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনাস্থলে আরো তিনজনকে ডেকে নিয়ে এসে পাঁচজনে মিলে ধর্ষণ করে ওই ফটোসংবাদিককে।
ভুক্তভোগীদের বিবৃতি অনুযায়ী পাঁচ সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে বিশজনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িতদের চারজনের বয়স বিশের কাছাকাছি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলকারীদের মধ্যে দুজন একে অপরকে রুপেশ ও সাজিদ নামে সম্বোধন করছিল বলে নির্যাতিতা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তার বন্ধুকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল শক্তি মিল পরিদর্শনে যায়। শক্তি মিলের পাশেই মহালক্ষ্মী রেল স্টেশন। ধর্ষণের পর দুষ্কৃতকারীরা ট্রেনে করে পালিয়ে গেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আর আর পাতিল বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংবাদকর্মীকে দেখতে গিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একই ধরনের ধর্ষণের ঘটনায় আহত এক মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু হলে ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারত। ধর্ষকদের ফাঁসিরও দাবি তোলেন আন্দোলনকর্মীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।