তাশফী মাহমুদ
জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম শীর্ষ নেতা ভাগ্নে শহীদসহ (৩০) ছয় জঙ্গি ধরা পড়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের বিশেষ গোয়েন্দা দল গত কয়েক দিন ধরে বগুড়া ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনটির এই ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি, বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অবশ্য পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জান্নাতুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, ভাগ্নে শহীদ জেএমবির উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় প্রধান।
গত মে মাসে সংগঠনটির আমির সাইদুর রহমান ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শহীদ জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব নেন।
ভাগ্নে শহীদের প্রকৃত নাম আনোয়ার আলম। সংগঠনে তিনি ভাগ্নে শহীদ নামে বেশি পরিচিত। এ ছাড়া নাজমুল, খোকা, তারিক প্রভৃতি ছদ্মনামও ব্যবহার করতেন। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বীরগড় গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।
শহীদ এর আগে কিছুদিন জেএমবির কথিত সামরিক শাখারও প্রধান ছিলেন। ভাগ্নে শহীদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য পাঁচ জঙ্গি হলেন জেএমবির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক প্রধান শফিকুল ইসলাম ওরফে জামাই রফিক (২৮), গাইবান্ধা জেলার প্রধান গিয়াস ওরফে রাসেল (২৫), এহসার (আত্মোত্সর্গে প্রস্তুত কর্মী) শাকিল (২২) এবং দুই গায়েরে এহসার (সাধারণ সদস্য) আবদুল মজিদ (৫০) ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আনোয়ার (৪৮)। শেষের দুজন জেএমবির জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ভাগ্নে শহীদ ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাচ্ছেন—গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তারের বিশেষ গোয়েন্দা দলটি ঢাকা থেকে বগুড়ায় আসে।
তারা বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়ার বাইপাস সড়কের ছিলিমপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় ভাগ্নে শহীদকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে একটি ভারতীয় পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে শহীদ জানান, সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রধানপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাকি জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম ও জেএমবির কিছু পুস্তিকা উদ্ধার করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।