ছোটবেলায় মনে হত বড়দের কত মজা, তারা যা খুশি তা করে বেড়ায়। একটু বড় হলাম, স্কুলে পড়ি তখন মনে হলো, যারা চাকরি করে তাদের কত মজা, পরীক্ষা দিতে হয় না। তখন মনে হত কবে যে পড়াশুনা শেষ হবে আর একটা চাকরি পাব।
সময় নিজের মত করে চলে। একটা চলন্ত ট্রেন যেমন ক্রমাগত বাড়িঘর, ধানক্ষেত পিছনে ফেলে ছুটে চলে জীবনটা ও যেন তেমনি করে বর্তমানকে অতীত করে দেয়।
জীবনের প্রতিটা মূহুর্তের সাথে মিশে আছে আনন্দ, বেদনা, সাফল্য, ব্যর্থতা।
ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে হলে আবার ইচ্ছা করে ফিরে যাই ছোটবেলায়। কতোনা মজার ছিল সময়গুলো। মায়ের সাথে কেটে যেত সারাদিন। মা আদর করে খাওয়াতো, ঘুম পারাতো, গল্প শুনাতো, খেলা করতো।
মায়ের কাছ থেকে শুনেছি আমার জন্ম নাকি হয়েছিল রবিবার। আমার বাবা বড় ২ ভাইকে নিয়ে এসেছিলেন আমাকে দেখতে। ভাইরা ত পারলে আমাকে তখনই বাসায় নিয়ে যায়। কত গবেষণা আমাকে নিয়ে। কিন্তু আমি তখন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি।
দিন যায় আমিও একটু একটু করে বড় হতে থাকি। ভাইরা পড়াশুনা করে, স্কু্লে যায়। আমার ও পড়াশুনা করার স্বাদ জাগে। সুজোগ পেলে ওদের খাতাতে আঁকাআঁকি করি। পরে বকা খাই।
কিন্তু তখন মনে হত কি হয় আমাকে একটু লিখতে দিলে।
একসময় আমাকে স্কুলে ভর্তি করা হয়। তবে গোবাচারা ছিলাম বলে আমার টিফিন খেয়ে নিত বন্ধুরা। সেই কথা বলে মা এখন ও হাসে।
মা আমাকে কবিতা আবৃত্তি শিখাত।
আমার বড় ভাই ক্যাডেটে পড়ত। ছুটিতে বাড়ি আসত। আমার খেলার সাথী ছিল ছোট ভাই। আমার কাছে সে ছিল বড় ইঞ্জিনিয়ার। পিড়া আর বেয়ারিং দিয়ে একধরনের গাড়ি বানাত।
অনেক মজা পেতাম সেটাতে চড়ে। ভাইয়ার সাথে ফুটবল খেলতাম। বিশাল রুম আর দুই পাশে ছিল দুটো খাট। তাই ছিল গোলপোষ্ট।
মাঝে মাঝে মনে হয় কেন মানুষ বড় হয়? জানি যে দিন যায় তা ফিরে আসে না কোনদিন তারপর ও আমরা বর্তমানকে উপভোগ করি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।