আমার মন খারাপের পরেও, আমি আছিরে তোর পাশে...
ছেলেটি ভালোবেসে মেয়েটির হাত ধরে বললো…….”তুমি আমার হলে সারাজীবন তোমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখবো। “ মেয়েটি স্মিত হেসে দুরের জঙ্গলের রাস্তা দেখিয়ে বললো…”ওই জঙ্গলে একটি মাত্র গোলাপ গাছ। আমাকে যদি কাল সূর্য ডোবার আগে সে গাছের একটি গোলাপ এনে দিতে পারো তবেই আমি তোমার হতে পারি। “
ছেলেটি ছুটলো গোলাপ গাছের সন্ধানে। গহীন জঙ্গলের কোন মাথায় সে গাছ? দেখা হলো গাছে গাছে চড়ে বেড়ানো বানরের সাথে।
সে বললো “ওই গাছে তো এখন আর ফুল ফোটেনা”। ছেলেটি বললো, “আমি যাবো গাছটির কাছে। তাকে বলবো আমার কথা। “ ছেলেটির কাছে তার ভালোবাসায় গল্প শুনে বানর রাস্তা বলে দিলো।
তখন গোধূলী শেষ লগ্নে।
চলতে চলতে ক্লান্ত যুবক। কোথা থেকে হঠাৎ একটি বক পাখি এসে দাঁড়ায় যুবকের সামনে। সব শুনে পিঠে তুলে নেয় তাকে বক পাখি। হাজির হয় গোলাপ গাছের সামনে। যুবক-কে নামিয়ে দিয়ে সে চলে যায়।
মৃতপ্রায় গোলাপ গাছের মাথায় বর্নহীন, নির্জীব গোলাপ ধরে আছে। যুবকের গল্প শুনে গোলাপ গাছের অন্তর কেঁদে ওঠে। তখন সে সন্ধান দেয় এক বুলবুলি পাখির। সেই বুলবুলি-র বুকের রক্ত এনে যদি ঢেলে দেওয়া হয় তার নির্জীব ফুলটির উপর, তবে সেই ফুল প্রান ফিরে পাবে। হয়ে উঠবে তরতাজা, টকটকে লাল গোলাপ।
যুবক ছুটে চলে বুলবুলি-র সন্ধানে। রাত পার হয়ে ভোর হয়। গহীন জঙ্গলে সূর্য তার আবির্ভাব পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেনা। ছেলেটি দেৌঁড়াতে শুরু করে। হাতে সময় নেই যে।
ক্ষুধা-তৃষ্নার বোধ নেই তার। বুলবুলি-র দেখা মেলে।
সব শুনে বুলবুলির মায়া হয় ছেলেটির জন্যে। এত ভালোবাসা যুবক তার বক্ষে ধারণ করছে! একটি গোলাপ-এর জন্যে তার এই ভালোবাসা ব্যর্থ হতে দেওয়া যায়না। হঠাৎ বুলবুলি উপরে উড়ে যা্য়।
তারপর আছড়ে পড়ে একটি গাছের সরু ডালের উপর। বুকটা চিরে যায় তার। টুপটুপ করে রক্ত পড়তে থাকে তার বুক থেকে। যুবক কাঁদতে কাঁদতে বুলবুলির বুকের রক্ত দু’হাতের আঁজলা ভরে নেয়। দেৌড়াতে শুরু করে আবার।
গোলাপ গাছের কাছে পেৌছেঁ সবটুকু রক্ত ঢেলে দেয় তার উপর। মুহূর্তেই একটি টকটকে লাল গোলাপ হয়ে ওঠে নির্জীব ফুলটি।
ছেলেটি ফুল হাতে নিয়ে দেৌঁড়ায়। গোধূলী শেষ হতে বেশী বাকী নেই আর। যখন মেয়েটির কাছে পেৌছেঁ তখন সূর্য ডুবিডুবি।
ক্লান্ত, শ্রান্ত যুবক গোলাপ তুলে দেয় তার স্বপ্নের রাজকন্যার হাতে। ঠিক তখনি ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে। সূর্য ডুবে যায়। মেয়েটি মিষ্টি হাসে। গোলাপটি হাতে নিয়ে একটি একটি করে পাপড়ি ছেঁড়ে।
ছেলেটি অবাক তাকিয়ে থাকে। সবগুলো পাঁপড়ি ছেঁড়া হলে মেয়েটি তার হাত বাড়িয়ে বলে “এই যে হীরা-র আংটি-টা দেখছো, এটা দিয়ে গতরাতে আমার এনগেজমেন্ট হয়ে গেল। “
বলে হেসে চলে যায় ভেতরে।
ছেলেটি বিমূঢ় দাঁড়িয়ে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।