এই ব্লগের সব মৌলিক লেখার স্বত্ব লেখকের নিজস্ব। মৌলিক লেখা অনুমতি ব্যতিরেকে অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
ছাত্রলীগ একটি আদর্শ ছাত্রসংগঠন। এখান থেকে ছেলেরা জীবন গড়ে। ....তোমরা নিজেরা নিজেরা মারামারি না করে ছাত্র শিবিরের সাথে মারামারি কর....।
...ছাত্রলীগ হামলা করলে তার দায় আওয়ামী লীগের নয়....। .....এই সব বিচ্ছ্ন্নি ঘটনা, দু'একটা ঘটতেই পারে......
ওপরের মন্তব্যগুলো আমার না, কাদের তা আপনারা সকলেই জানেন। আসুন আজকের একটা খবর পড়ি। যায়যায়দিন, যুগান্তর, সব পত্রিকায়ই এসেছে। মিলিয়ে নিন।
সিলেটে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হলো এমসি কলেজের গণিত তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র উদয়েন্দু সিংহ পলাশ (২২)। নগরীর টিলাগড় কল্যাণপুর এলাকায় সোমবার দুপুর ১টায় নিজ সংগঠনের কর্মীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপ-জেলার গুলের হাওর প্রকাশিত ভা-ারীগাঁও গ্রামে। পিতা ধীরেশ সিংহ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত করপোরাল ও মুক্তিযোদ্ধা। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ইয়াকুব আলী নামে এমসি কলেজের এক ছাত্রলীগকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এমসি কলেজ ও টিলাগড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি দেবাংশু দাস মিঠু ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগ সেক্রেটারি পঙ্কজ দেবনাথ সমর্থিত গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত পলাশ মিঠু গ্রুপের কর্মী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে দেলোয়ার নামে এক ছাত্রকে মারধর করে দেবাংশু দাস মিঠু সমর্থিত ছাত্রলীগকর্মী ডায়মন্ড, ইসা আলম, মঞ্জুর আলম ও বেলাল। এর জেরে পঙ্কজ দেবনাথ সমর্থিত ছাত্রলীগকর্মী সঞ্জয়, শিপন, জসিম, দেলওয়ার ও টিপু দুপুর ১টায় কল্যাণপুর এলাকায় পলাশকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
পরে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজির উদ্দিন তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বেলা দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পলাশের বোন ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্রী অনামিকা সিনহা একমাত্র ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
আশা করা যায় এই ঘটনায়ও আওয়ামী লীগ কোন দায় দায়িত্ব নেবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।