আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারাগারে সঞ্জয়ের পারিশ্রমিক ২৫ রুপি!

কারাগারে সঞ্জয় দত্ত যে কাজই করবেন, তাতে প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে পাবেন ২৫ রুপি। এরই মধ্যে কারাগারে রান্নার কাজ করতে চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে কাঠমিস্ত্রি, শতরঞ্জির কারিগর ও বাবুর্চি হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সেগুলো থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন সঞ্জয়। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে তাঁর প্রতিদিন আয় ২৫ থেকে বেড়ে ৫০ রুপি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।

এ ছাড়া হাতখরচের জন্য প্রতি মাসে সঞ্জয়কে দেড় হাজার রুপি দেওয়া হবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে।
কারাগারে বন্দী অবস্থায় প্রতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সঞ্জয়। তবে তাঁদের সঙ্গে ২০ মিনিটের বেশি কথা বলতে পারবেন না।
এদিকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে সঞ্জয়কে রাখা হয়েছে ১০ নম্বর ব্যারাকের একটি আন্ডা সেলে। ডিমের মতো দেখতে ৮ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের এই কুঠরিতে সাধারণত দাগি ও ভয়ংকর অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসবাদীদের রাখা হয়।

ছোট্ট এই কুঠরির অর্ধেকটা মাটির নিচে। তাই ভালো করে আলো ঢোকে না। এখানে নাকি আগে ছিলেন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী আজমল কাসাব। এখন এই সেলের পাশেই আছেন কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি আবু জান্দাল।
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রায় সারা রাত ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছেন সঞ্জয়।

সকালে উঠে শরীরচর্চা করেন। তখন তাঁকে যথেষ্ট অস্থির দেখাচ্ছিল। আদালতের সম্মতিতে কারাগারে আসার সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সঞ্জয়ের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা, রামায়ণ ও হনুমান চালিশা। এ ছাড়া মশার কামড় থেকে বাঁচতে তিন টিউব লোশনও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সঞ্জয়কে আপাতত কয়েদিদের জন্য নির্ধারিত পোশাক দেওয়া হয়নি।

পরছেন বাসা থেকে আনা সাদা কুর্তা আর পাজামা।
সঞ্জয়ের কারাকক্ষের এক রক্ষী জানান, শুক্রবার রাতের খাবার খাওয়ার পর এক বোতল পানি চেয়ে নেন সঞ্জয়। কারাগারে প্রথম দুটি রাত একেবারেই ঘুমাতে পারেননি। কেবলই পাশ ফিরেছেন, বারবার উঠে বসেছেন।
মুম্বাই পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কারা) মিরা বরওয়াকার জানান, সঞ্জয়কে অন্য কারাগারে নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো কথা হয়নি।


ভারতের মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন এই বলিউড তারকা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরই মধ্যে দেড় বছর কারাভোগ করেছেন সঞ্জয়। এবার তাঁকে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.