ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে ১. ১৯৯১ এর বিএনপির আমলে ক্লাস ৮ পাস খালেদা জিয়া ইন্টারনেটের মাহাত্ম বুঝেন নাই। বিনামূল্যে নেট পাবার সেই সুযোগ জাতি হেলায় হারাইলো। বহুৎ ঘাটের জল ঘোলা কইরা আর গাদাখানেক টাকা দিয়া আমাদের ডিজিটাল ডঃ শেখ হাসিনা সেই ইন্টারনেট পরে আনলেন।
২. বাংলাদেশে ৩-৪ জি সব নেটই এসেছে। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের জন্য ব্রডব্যান্ড বা ডিএসএল সুবিধা--যেটা বিশ্বের সব জায়গাতে নেট সেবার মূল ব্যাকবোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটা কতটুকু হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেট মানুষের "অন দ্যা গো" হিসাবে সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশেই ইন্টারনেট মানেই মোবাইল ইন্টারনেট। আর সেইটার স্পিড? আশে-পাশের দেশের তুলনায় আমাদের ব্যবহারকারীরা কোন প্রস্তর যুগে আছে সেটা যারা বাইরে আসে তারা টের পায়।
৩. ডিজিটাল সরকার ইন্টারনেটের মাহাত্ম এখন বুঝেন। যখন নিজেদের প্রয়োজনে ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহৃত হয়, তখন সব ঠিকাছে।
ব্যত্ময় ঘটলেই "কারিগরী ক্রুটি" তৈরি হয়। আর এবার তো বলে কয়ে ৭৫% করা হয়েছে আপলোড। বিটিআরসির মত বেকুব একটা সংস্হা বের করতে পারে না কারা, কোথা থেকে ভিওআইপি করছে। সুতরাং দে বন্ধ করে সারা বাংলাদেশে আপলোড। যদিও দুষ্ট লোকেরা সরকার বিরোধী নানা ভিডিও যাতে নেটে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সে কারণেই এই পদক্ষেপ বলে কানাঘুষা করছে।
৪. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কয়টা পিএইচডি ডিগ্রী আছে, উনি স্বয়ং জানেন কিনা সন্দেহ। এই সব ট্রফি ডিগ্রীর সাথে উনার আর একটা ডিগ্রী যোগ করার সময় হয়েছে, ডিজিটাল ডিগ্রী। উনার ছেলে জয় গত আওয়ামী সরকারের সময় থেকেই কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্যের গডফাদার। উনি পারিবারিক ভাবে পদ্মা সেতুর টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে এখন দেশে দেশে সাংবাদিকদের কাছে নাজেহাল হচ্ছেন। দেশে ইউটিউব বন্ধ কেন কিংবা নেটের আপলোড স্পিড ৭৫% কমানো হচ্ছে কেন, এইসব বিষয়ের উপর উনি অবশ্যই একটি পিএইচডি সম্মাননা পেতে পারেন।
আফটার অল এইটা ডিজিটাল সরকার কিনা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।