বিদেশে পড়তে গেলে যেকোনো আন্তর্জাতিক ছাত্র/ছাত্রীই যে কমন টার্মের সাথে পরিচিত হয়, সেটা হলো 'কালচারাল শক'
পড়াশোনা শেষ করে টরে দেশে ফেরত এসে আমার এক ভাই যা খেয়ে বেড়াচ্ছে, সেগুলো রীতিমতন কালচারাল শকের পর্যায়ে না পড়লেও, 'ইলেক্ট্রিক শট' এর মতন লাগছে... :/
ভাই এর ভাষায়..............
যাদের মধ্যে #১ হচ্ছেঃ আমার আশেপাশে যাবতীয় মানুষদের (ঘরে এবং বাইরে) জী-বাংলা'র ভারতীয় বাংলা সিরিয়াল প্রীতি (!) এবং হিন্দী গানের প্রতি অমোঘ ইমোশান প্রদর্শন।
#২ হলোঃ পাকিস্তান প্রীতি। আজকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ক্রিকেট খেলা চলাকালীন সময়ে একটা চা'র দোকানে বসে ছিলাম। পাশেই একটা বাস কাউন্টারে মানুষ ভীড় করে খেলা দেখছিলো। হঠাৎ করে তাদের উল্লাসধ্বনি শুনে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, পাকিস্তান জিতে গেছে, এইজন্যই তারা এত্ত খুশি! :/ একটা ১৩-১৪ বছরের ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, 'কিরে! তুই কি পাকিস্তান সাপোর্ট করোস?'
তার জবাবঃ ধুর মিয়া! জন্ম দিয়া পাকিস্তান সাপোর্ট দিয়া আইতাসি মিয়া! কি জিগান??? >.<
লাস্ট বাট নট লীস্টঃ নিজেদের গৌরবের প্রতি অবজ্ঞাপ্রদর্শন। সেদিন সিনেপ্লেক্সে গিয়ে ছায়াছবি দেখার আগে চালিত জাতীয় সংগীত চলাকালীন সময়ে দেখলাম, কিছু খানকি-মাগির পুতেরা বসে বসে মোবাইল টিপছে।
অথচ গিয়ে দেখুন, 'মুক্তিযোদ্ধা কোঠা' ব্যবহার করে কার বাপ, কার চাচা কার দাদা পরিচয়ে ভাল ভাল জায়গায় চাকরি-বাকরি/ সীট দখল করে জারজগুলো বসে আছে!
আমি জায়গায় টাস্কি খেয়ে সিমপলি ভোকচোদ হয়ে টাস্কি খেয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। নতুন প্রজন্মের দোষ আর কই? নিজস্ব পরিচয় বলতে তো আমরা আদতেই কিছু আর বাকি রাখি নি। আমি যথেষ্ট পরিমাণ সন্দেহ পোষণ করি, কুকুরের বীর্যে কখনোই মানুষের জন্ম হওয়া সম্ভবপর নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।