আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা ছিনেমা

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

আমি যখন পাচ ক্লাসে পড়ি আমার বন্ধুর সংগী হয়ে স্কুল পালিয়ে গিয়েছিলাম কাছের এক ছিনেমা হলে ছিনেমা দেখতে। ওটাই আমার প্রথম হলে গিয়ে ছিনেমা দর্শন, ছবিটার নামটা এখন আর মনে নেই। তবে মাঝে মাঝেই চোখ বুলিয়ে দেখি কি ছিনেমা চলছে হল গুলোতে। যদিও ঢাকাই সিনেমার অশ্লীলতা সম্পর্কে ভদ্রসমাজের প্রপাগান্ডা প্রথম ব্যাপকভাবে আমার—এবং সম্ভবত আরো অনেকের—নজরে আসে একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকের ‘ছি!নেমা’ শিরোনামের নিয়মিত কলামে। পাশাপাশি কোনো ‘সিরিয়াস’ কলামে ঢাকাই সিনেমার হালহকিকত বিশ্লেষিত না হওয়ায় আমরা ধরে নিতে পারি, পত্রিকার নীতিনির্ধারকদের কাছে ব্যাপারটি রঙ্গব্যঙ্গের জন্যই যুৎসই মনে হয়েছে।

তার চেয়ে বড় কথা, ঢাকার, এবং সম্ভবত সারা দেশের, ভদ্রলোক মধ্যবিত্তের মধ্যে এ ব্যাপারে বিরল ঐকমত্য দেখা গেছে। তার প্রমাণ পাই ভদ্রলোকশ্রেণীর সব ধরনের মিডিয়ায় প্রায় সমধর্মী মতামতের প্রতিফলনে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এদের—বিশেষত মেয়েদের—প্রায় কেউই হলে গিয়ে ছবি দ্যাখে না। অনেকে জীবনে একবারও হলে যায়নি। তাহলে সিনেমার অশ্লীলতা বিষয়ে তারা এ বিরল ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছাল কীভাবে? ভাববার কথা।

আরো ভাবা দরকার, অশ্লীলতা-বিরোধী প্রপাগান্ডার এরূপ ব্যাপক সাফল্যের কারণ কী? আর এ সাফল্যের নিট মুনাফাটাই বা কী? সে আজ প্রায় দেড় দশক আগের কথা। তখন থেকে অনেক দিন ঢাকার পত্রপত্রিকায় ‘অশ্লীল’ ছবি প্রদর্শনের খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পক্ষগুলোও তৎপর হয় বা হতে বাধ্য হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ‘অশ্লীল’ ছবি আটক হবার খবর আসে; চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ঢাকাই ছবির অধোগতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। সিনেমার অধোগতি তো জাতীয় অধোগতিরই স্মারক।

তবে হাজারো অরুচিকর ছবির মাঝে দু চারটা সামাজিক ছিনেমার আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাফল্য আমাদের আহ্লদিত করে। তাই তাকিয়ে থাকি কবে মুক্তি পাবে আরেকটা সুস্থ ধারার ছিনেমা?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.