হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।
যুদ্ধাপরাধের বিচার বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অংগীকার। আর যে তরুন সমাজ বিপুল ভোটে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তাদের প্রানের দাবী। বিগত দেড় বছরে সরকারের অগ্রগতি খুব আশাব্যাঞ্জক নয়। এমনি প্রেক্ষিতে জামাতের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিশেষ করে তরুণ সমাজ এই গ্রেফাতারে ব্যাপক খুশী। ব্লগের লেখা কিম্বা ছাত্রলীগের মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিলের খবরে তাই প্রতীয়মান হয়।
কিন্তু হতাশার ব্যাপার হলো তিন জামাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্মীয় মুল্যবোধে আঘাত দেয়া জনিত একটি ঠুনকো মামলায়, যেটি জামিনযোগ্য। ইতিমধ্যে তারা এই মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে তাদের আটকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন মামলা দেয়া হচ্ছে, রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।
আইনগত ভাবে এগুলো মোটেই শক্ত কেস নয়। জামাত নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এতেই সরকার সমর্থকরা/যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রার্থীরা খুশী কিন্তু প্রকৃত বিচারের কি হচ্ছে?
এই যুদ্ধাপরাধ মামলায় যদি জামাত নেতাদের গ্রেফতার করা হত তাহলে বুঝা যেত এর অগ্রগতি আশাব্যাঞ্জক। কিন্তু না করে যেভাবে গ্রাফতার করা হয়েছে তাতে এদের প্রতি কছু লোকের সহানুভুতি বাড়াবে, বিরোধীদল গুলোকে এক মঞ্চে নিয়ে আসবে, যেটি সরকারের জন্য খুব সুখকর হবার কথা নয়।
অন্যদিকে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। এই মামলায় শিবিরের একজন কে জামিন দেয়া হয়েছে আর জামাতের আরেকজন যার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খুব শক্তিশালী নয় তাকে ধরার ব্যাপারে সরকার খুব একটা ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে না।
ভয় টা এখানেই। আসলে নির্বাচনি তরনী পার হবার জন্য যুদ্ধাপরাধ এই ইস্যু জিইয়ে রাখা খুব দরকার। কাজেই এই সব মামলায় বিচার বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তার করে ২-৩ বছর জামাত নেতাদের জেলে রেখে দেয়া গেলে যুদ্ধাপরাধ বিষয়টি ধীর গতিতে চললেও জনমত বিগড়ে যাবার সম্ভবনা নেই। আর তা হলে পরের নির্বাচনে এই ইস্যুটিকে আবার ব্যাবহার করা যাবে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের বেপরোয়া সন্ত্রাস, বিদ্যুতের রেকর্ড দুর্ভোগ, দ্রব্যমুল্যের উর্ধমুল্য সহ বিভিন্ন বাস্তব কারনে সরকারে থাকলে জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামা নিদেন পক্ষে কমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক।
এমতাবস্থায় যুদ্ধাপরাধের মত একটি ইস্যু ভোটের আগে খুব দরকার।
জামাতের এই শীর্ষনেতাদের যুদ্ধাপরাধ ছাড়া অন্য মামলায় ধরার কি মানে থাকতে পারে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।