আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামের লেবাসধারী জামায়াত নেতাদের ব্লাসফেমীর অভিযোগে গ্রেফতার : লীগের সেকুলার লেবাস হারাতে হারাতে নেংটিও খুলতে বসেছে

.

যে ভাবে এলো গ্রেফতারি পরওয়ানা ও যেভাবে জামায়াত নেতারা গ্রেফতার হলো : > আবেদনকারী এদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ দায়ের করছে। >আঠাশে এপ্রিল হাজিরার দিন ছিল, তারা হাজির হয় নাই। >মামলাকারি ফলে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির আবেদন করেছিল। >আদালত সেই আবেদন নাকচ কইরা অভিযুক্তদের আবার সমন দিছে। >সেই সমনের হাজিরার দিনে, মানে আজকেও এরা হাজির হয় নাই।

>ফলে আবেদনকারির আবেদন গ্রহন করে আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করছে। >আদালতের একনিষ্ঠ বাধ্যগত বাংলাদেশ পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে। >গ্রেফতার করা হইছে ব্লাসফেমির মামলায় । ---------------------------------------------------------------------------- বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি টিকে থাকে জামায়াতের (বিক্রিযোগ্য মাল হইলো: স্বাধীনতা বিরোধি শক্তি, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ) 'বিরোধিতা' করে আর জামায়াতের রজানীতি টিকে থাকে আওয়ামী লীগের (বিক্রিযোগ্য মাল হইলো: ধর্মহীনতা, ভারতজুজু, সাম্রাজ্যবাদের দালারী, বাকশাল) 'বিরোধিতা' কইরা। লীগ আর জামায়াত দুই হরিহর আত্মা দোস্ত।

দুইটার একটার নিজের কোনো রাজনীতি মানে দেশের জন্য রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মসূচী নাই। >>> এসবই জানি। কিন্তু তারপরও এইটা লিখতাছি। কেন ? কারন কেউ কেউ এই সাম্প্রতিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে এই দুই দোস্ত দলের একটার মানে লীগের সাফাই গাইতে, মুখরক্ষার নামছেন। ---------------------------------------------------------------------- ফলে বিষয়টা পরিস্কার করা দরকার : 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করনেওয়ালা সরকার' হচ্ছে 'সেকুলার' আওয়ামী লীগ : এই 'অপবাদ' থেইকা যারা আওয়ামীলীগের বাঁচাইতে আগ্রহী তারা বলতেছেন; জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করা হইছে 'আদালত অবমাননা'র কারনে।

এই বক্তব্য একশত ভাগ মিথ্যা। জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করা হইছে ব্লাসফেমী'র মানে 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত' দেয়ার অভিযোগে। মামলার কোশ্চেন অফ ফ্যাক্টস হইলো : আবেদনকারীও আদালত অবমাননার অভিযোগ করে নাই। আর আদালতও নিজে থেকে মানে সুয়োমটো মানে স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে পরে সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নাই। তাছাড়া: বিশ্বজনীন আইনের দর্শন হইলো: আদালতে হাজির না হইলেই সেটা 'আদালত অবমাননা' হয় না, যদি না আদালত 'আদালত অবমাননা' বলে ধার্য করেন।

সবচেয়ে বড়ো কথা : যেই আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করছেন, সেই আদালতের কোনো এখতিয়ারই নাই আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার। বাংলাদেশের দুর্ভাগা বিচার ব্যবস্থার ভাগ্য এক্ষেত্রে ভালো যে আদালত সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন। তারাও সেই অভিযোগ আনেন নাই। কারন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ি: অ্যাসিস্ট্যান্ট জাজ আাদলত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিরুদ্ধে কখনো 'আদালত অবমাননা' বা 'কনটেম্পট অফ কোর্ট' হয় না। ----------------------------------------------------------------------- (মানে হলো কেউ যদি বলে, এরা 'আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতার' হইছে সেইটা যে পুরা মিছা।

বলা যায় বড়জোর 'আদালতে উপস্থিত না থাকার কারনে গ্রেফতার' হইছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এর পরই যদি আবার কেউ লেখে 'ব্লাসফেমীর জন্য নয়', তবে তা পাগলের প্রলাপ হবে। ব্লাসফেমীর মামলায় আদালতে হাজিরার দিনে উপস্থিত না থাকার কারনে পরওয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার তাও আবার, 'ব্লাসফেমীর জন্য নয়' ! পাগলেও হাসবো এই লাইন পরলে। ) ----------------------------------------------------------------------- ইসলামের নাম করে জামায়াত একাত্তরে যে ভয়াবহ অপরাধে সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানি সরকারকে, তখনই জামায়াতের শান্তির ধর্মের লেবাস উদাম হয়ে গেছে। আর স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সেকুলার লেবাস উদাম হতে হতে এখন নেংটিও হারাতে বসেছে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে গ্রেফতার করে সেকুলার আওয়ামী লীগ ! যেই দল কিনা ইদানিং শেখমুজিব কে খলিফাতুল মুসলিমিন উপাধি দেয়া শুরু করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.