লন্ডন প্রবাসীদের শহর হিসেবে পরিচিত সিলেটের মানুষ আরো এক বার যেন লন্ডনের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলো নিজেদের শহরের। আর এবারের এই মিলের উপলক্ষ লন্ডনের লাল ডাবল ডেকার বাস। এই বাসে চাকা ও লাইট সব আছে। ভেতরে চালকের আসন আছে ঠিকঠাক। হর্নও বেজে ওঠে।
তবে এই বাসে চড়ে যাত্রীরা কোথাও যান না । খেতে বসেন।
এটাই দেশের প্রথম কোন ডাইনিং বাস।
পর্যটন নগরী খ্যাত সিলেটে নতুন চালু হওয়া এই ডাইনিং বাসে তরুণ তরুণী ও পর্যটকরা ভিড় করছেন এখন।
তরুণ কয়েকজন উদ্যোক্তার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ ‘ডাইনিং বাস’।
কেবল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়, পর্যটন আকর্ষণের সঙ্গে পর্যটক ও তরুণ-তরুণীদের খাবার পরিবেশনে ভিন্ন আমেজ দিতেই ডাইনিং বাস চালু করা হয় হয় বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
দু’তলা বাসের পেছনে আবার তিনতলা ভবন। পার্টি সেন্টার। একসঙ্গে ১৫০টি আসন সাজানো গোছানো। বর্ণিল কারুকাজে সজ্জিত পেছনের তিনতলা ভবন জুড়েই রয়েছে আকর্ষণ।
বাঁকা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের আদলে সাজানো পার্টি সেন্টার।
১২০ স্কয়ার ফুট স্থান নিয়ে ডাইনিং বাস। নগরীর মিরাবাজারের দাদা পীরের মোকামের পাশে নানা রঙের সংকেত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাসের কাছে। যেন থেমে রাখা ডাবল ডেকার বাস। চড়তে গেলে খেতে হয়।
বস্তুত এই বাস চলে না। তবে অবিকল বাসের মতোই এই ডাবল ডেকার বাস খাবারের ভিন্ন আমেজ দেবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তাদের একজন আব্দুল হাবি তেহাম।
বাস ঘুরে দেখিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে এটি চালু আছে। দেশে কোথাও এমনটি নেই। সিলেটে একের পর এক পর্যটন আকর্ষণ বাড়ছে।
এর সঙ্গে খাবারের একটা বৈচিত্র আমেজ নিয়ে আসতেই ডাইনিং বাস চালু। আর সিলেটের সঙ্গে লন্ডনের যে ওতপ্রোত একটি যোগাযোগ আছে সেটি বোঝাতে এটি লাল ডাবল ডেকার।
তুলনামূলক সস্তায় এখানে খাবার পাওয়া যায়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশনা ও নতুনত্ব সবারই ভালো লাগবে বলে আশা করছেন প্রবাসী এই উদ্যোক্তা।
বুকিং দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৮০ ১৯৮ ৭৭৫ এই নাম্বারে।
অথবা ক্লিক করতে পারেন http://www.diningbusbd.com এই ওয়েব সাইটে।
যাতায়াত:
সিলেট তামাবিল সড়কে জাফলং যাওয়ার পথে শহরের এক কিলোমিটারের মধ্যে মিরাবাজারে এর অবস্থান। মিরাবাজার মোকামের সামনে এলে ডাবল ডেকার ডাইনিং বাসের সাইনবোর্ড। সিলেটের নানা পর্যটন আকর্ষণের ছবি। ঠিক এরপাশে লাল ডাবল ডেকার বাস।
বাংলাদেশের ‘প্রথম ডাইনিং বাস’।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।