অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
মন্ত্রণালয়ের যে কক্ষটিতে আমি ইদানিং বসি তার অন্যমাথায় মন্ত্রণালয়ের সচিবের কক্ষ। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সে কক্ষটিতে বসতেন প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন। বুয়েটে পড়তে আসার পর আমার যখন লেখালেখির শখ হল তখন তাঁর সঙ্গে পরিচয়। আমি যখন বুয়েটে পড়তে আসি তখন আমার হলে ছিলেন রুমি ভাই (মাহমুদুজ্জামান, আমার রুমমেট ছিলেন একবছর, এখন আমেরিকায়) আর স্বপন দা (স্বপন বিশ্বাস, এখন সিঙ্গাপুরে আছেন)।
স্বপনদার মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞান চেতনা কেন্দ্র শুরু। মালিবাগে সিজারদের (সিরাজুল ইসলাম, সাইবারনেটিক্স সিস্টেমের এমডি) বাসায় প্রতি শুক্রবার আমাদের বিজ্ঞান আড্ডা হতো। যোগ দিতেন শাকের ভাই (স্থপতি, মশিউদ্দিন শাকের, সূর্যদীঘল বাড়ি), ফরহাদ ভাই (ফরহাদ মাহমুদ, সাংবাদিক, সংবাদ, প্রথম আলো হয়ে এখন কালের কন্ঠে), জুয়ের ভাই (জুলফিকার হাফিজ, ঢাবি’র আইআইটির পরিচালক)সহ আরো অনেকে (কেন্দ্রের গল্প আর একদিন করা যাবে!)। সেই কেন্দ্র থেকে একদিন ফরহাদ ভাই-এর কর্মস্থলে গেলে তিনি আমাকে আবদুল্লাহ আল মুতী স্যারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৮৮ সালে।
তারপর থেকে স্যারের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্যারের সঙ্গে আমার অনেক কাজ করার সুযোগ হয়েছে । বলছিলাম স্যার যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ছিলেন তখন তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরু করেন। অন্যতম ছিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিমালা। ২০০৬ সালে সেটি চূড়ান্ত হয়ে গৃহীত হয়েছে (এখানে পাওয়া যাবে )। মাস কয়েক আগে, একটি গবেষণা কাজের অংশ হিসাবে আমরা যখন এটিকে বিশ্লেষন করি, তখন আমরা স্যারে দূরদৃষ্টির ব্যাপারটা ভালমতো টের পেয়েছি।
এরই মধ্যে কর্ণফুলীতে অনেক পানি গড়িয়েছে। কাজে এই নীতিমালাটি সংশোধন ও হালনাগাদ করা প্রয়োজন। ১৯৯৮ সালে একবার চেষ্টা হলেও সেটি শেষ হয়নি। ২০০৯ সালে বর্তমান বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রীমহোদয়ের উদ্যোগে সে কাজটি শুরু হয়েছে (বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ে ২০০৯-১০ সালে এমন সব কাজ করেছে যা গত ৪০ বছরেও হয়নি! যেমন বিজ্ঞান জাদুঘরের আইনী কাঠামো। ১৯৬৫ সাল থেকে এটি প্রসাশনিক নির্দেশে চলছিল।
এই মার্চে এর আইন পাশ হয়েছে। )। নয়ীম চৌধুরী, বাসের সচিব এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তণ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি এটি পরিমার্জনা করে খসড়া করেছে। সবার মতামত সংগ্রহের জন্য এই খসড়াটি বিজ্ঞান এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ওয়বেসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে । মতামত দেওয়ার কায়দাও সেখানে বলা হয়েছে।
সবাই আলোচনা করলে, মতামত পাঠালে সেটি পরিমার্জিত করা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।