সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
হরতাল চাইনা। উন্নয়ন আর গনতন্ত্র চাই। কথা গুলোতে সবাই একমত। কিন্তু তার জন্য আরও বেশী সংশ্লিষ্ট যে শর্ত এবং সূত্র সমূহ প্রযোজ্য তা যখন অনুপস্থিত থাকে.. তখন কি কতর্ব্য?????
হরতাল অবশ্যই ক্ষতিকর। তবে কখন? ক্ষেত্রভেদ বুঝতে হবে।
১৯৭০ এ আমরা যখন প্রতিবাদ করেছি তখন কোন সংবিধান বা আইন দেখে বা মেনে করিনি। আমাদের সামগ্রীক অস্তিত্বের দাবী বা প্রয়োজনেই নির্ণিত হয়েছে কর্ম। আমার বিজয়ী হয়েছি।
আজ দেশের ক্রান্তিকালে আমাদের আবার চরম সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসেছে। ১/১১ র ভুত তথা অদ্ভুত ! নির্বাচনে বিজয়ী সরকার যখন টালমাটাল, হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য আচরন করছে.. তখন আমরা কি করবো???
পায়ে পচন ধরেছে... পাটা পচন সহ রাখবো নাকি অপারেশনের ঝুকি নেব!!!!!!
চলুন দেখী অনেকের দাবীকৃত উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের চলতি নমুনাদেখী
কিভাবে উন্নয়ন আর গণতন্ত্র দেখতে চান???
তারা নির্দোষ, ফেরেশতা, তাদের কুন সমালোচনা করা যাবে না, করলে শাস্তি পেতে হবে এই মিথ মেনে!!!!
গনতন্ত্রের প্রধান মাধ্যম পত্রিকা এবং টেলী মিডিয়া একের পর বন্ধের মাধ্যমে!!!
জয়ের ৫ মিলিয়ন ডলার দূর্নিতির খবর ছাপানোর অপরাধে পত্রিকার মালীককে রিমান্ডের নেয়ার মাধ্যমে!!!
প্রাক্তন মন্ত্রীকে ভ্যানিটিব্যাগ ছিনতাই আর ৬০ বছরের বুড়ি ধর্ষনের মতো মিথ্যা মামলায় মাসের পর মাস আটক রাখার সমর্তনের মাদ্যমে!!!
আম জনতার আর বেইল কই??
ধর্ষনে সেঞ্চুরিয়ান মানিককে সরকারী চাকুরী দিয়ে গনতন্ত্র মজবুত করার এথিকস কে ধারন করে!!!!
কোটি কোটি টাকা দিয়ে নাম বদলে!!!
নিলজ্র্জ দলীয় করণে!!!!
বিচার ব্যবস্থাকে গলাধ:করণে!!!!
বিনা টেন্ডারে বিদ্যুতের হাজার কোটি টাকার কাজ দল আর আত্মীয়দের দিয়ে ইনডেমনিটি জারি করার মাধ্যমে!!!!
বন্ধু!!! নামের (উঠতিসামাজ্রবাদী শত্রু) দেশকে বিনাশর্তে লজ্জাজনক এবং দেশ স্বার্থবিরোধী চুক্তিতে সই করে দেবার মাধ্যমে!!!!
নিয়ন্ত্রনহীন ছাত্রলীগের কারণে শিক্ষাঙ্গন এবং ছাত্রদের অকাল জীবন দানের এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরবতার!! তথা অনুমোদনের মাধ্যমে!!!!
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন স্ফীতির পরও বাচাল ফারুক কে মন্ত্রীসভায় রাখার মাধ্যমে!!!!
একচোখা নীতি, বিশ্ব থেকে ক্রমশ বিচ্যুতির পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে!!!!
শ্রমবাজারে ধ্বসের পরও নির্বকার প্রশাসন আর রাজনৈতিক শক্তির চাপাবাজি আর বাচালতার মাধ্যমে!!!!
বিদ্যুতের কারণে জনজীবনে, কল কারখানায়, উৎপাদনে, রফতানিতে স্থবিরতা নামার পরও শুধু স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে!!! রাতের ঘুম হারিয়ে কোটি কুটি মানুষের মানসিক অবসাদগ্রস্থতা আর হয়রানি স্বীকারের মাদ্যমে!
রাতের ঘুম হারাম করা নির্বিকার সরকারের বিদ্যুত খাতের মূল্যবৃদ্ধির পরও নিরবে সমর্থনের মাধ্যমে!!!!!
আরও অসংখ্য উল্লেখ যোগ্য আছে যাতে কলেবরই শুধু বাড়বে...
আমরা কি এভাবেই উন্নয়ন আর গণত্রন্ত্র চাই!!!!!!
>>>
তবে আর কি চলুন.. কবরের নিরবতায় শান্তি আর সূখ খুজি!!!!
অত্যাচারের প্রতিবাদ আর অ্যনায়ের প্রতিরোধ শব্দগুলো ডিকশনারী থেকে মুছে ফেলি।
সুশীল পনার নামে স্বৈরাচার আর শেখতন্ত্রের দালালী করি!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।