সবাইকে শুভেচ্ছা।
হরতালকে আমরা কেন এখনও হরতাল বলি? বিশেষ করে রাজনীতিবিদেরা? হলতাল হচ্ছে জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে সবকিছু বন্ধ রাখা অথবা ব্যক্তিস্বাধীনতা বিবেচনায় যার খুশি বন্ধ রাখবেন, যা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। কিন্তু হরতালে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, মানুষ হত্যা এসব আসলো কি করে! যদি কেউ বলে এসব হরতালের অংশ তা'হলে বলবো তিনি জ্ঞানপাপী অথবা সুযোগ সন্ধানী এবং হরতালের নামে, সোজা কথায়, সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। হরতাল একটি সংবিধানিক অধিকার এবং তার একটি certain definition আছে। কিন্তু সন্ত্রাস হচ্ছে একটি বেআইনি কর্মকান্ড এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং তারও একটি certain definition আছে।
"যে কর্মকান্ড সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করে অথবা ক্ষতিসাধন করতে উদ্যত হয়, এমনকি সাধারন মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে, তাই সন্ত্রা। " তাই যদি হয় তা'হলে আমরা কি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি না? এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যহত করছে, ভীতিসংকুল করে তুলছে। যে কোনও সভ্য রাষ্ট্র জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমুলেই উৎপাটন করবে সন্দেহ নেই এবং আমাদেরও তাই করা উচিত। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হচ্ছি সাংবিধানিক অধিকারের দোহাই দিয়ে। কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠি এখন আমাদের দেশে আর হরতালের ঘোষনা না দিয়ে সরাসরি বললেই পারে, 'দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ....দিন জ্বালাও-পোড়াও এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে।
' একটি সাংবিধানিক অধিকারকে পুঁজি করে কোন রাজনৈতিক দলের অধিকার নেই স্বার্থ হাসিলের জন্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার। এরপরও যদি তারা বিরত হতে না চায়, তা'হলে সংবিধান থেকে হরতাল বাতিল করা হোক। কারন এখন আমরা ধরে নিতে পারি 'হরতাল' তার স্বাভাবিক/প্রকৃত অর্থ/গঠন (natural form) হারিয়েছে। কোন বস্তু বা বিধান যদি তার নিজস্ব গুনাগুন বর্জিত হয়ে ভিন্ন চরিত্র ধারন করে তখন আর তাকে পূর্বের নামে ডাকা যায় না। এই ব্যাপারটিতে যত তারাতারি দৃষ্টি দেওয়া যাবে ততই আমাদের মঙ্গল।
নইলে আমরা জীবনের কঠিন হিসাব দিনের পর দিন গুনতেই থাকবো এবং খেলতে খেলতে একদিন আমরা অন্ধকারে হারিয়ে যাবো। আমরা আমাদের এই দেশে এক জাতি হয়েও এ পর্যন্ত যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হতে দেখেছি বা দেখছি তা সম্ভবতঃ আফ্রিকার বিভিন্ন উপজাতি বা গোষ্ঠির মধ্যে সহিংস সন্ত্রাসকেও হার মানাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।