মানুষ ৩ রকম, ১। আগুনে পুড়ে যায়, ২। আগুনে গলে যায়, ৩। আগুনে ঋদ্ধ হয়
চোখের পাতা আটকে আছে, খোলা যাচ্ছে না। খুব কষ্টে শিশুটা চোখ মেলল, শ্বাস নিল........ …….ওঁয়া…..য়া……য়া……টানা চিৎকার।
সবার হর্ষ ধ্বনি ছাপিয়ে চিৎকারটাই শুধু শোনা যাচ্ছে। সাকেরা চোখ মেলতে চাইছে, চিৎকারের উৎস খুঁজছে, অতল কিসের টান, কেমন যেন!!! মনে হচ্ছে একটা ঘূর্ণি............. নাহ ঘূর্ণি না একটা ফুল, তীব্র গন্ধ…….আবিষ্ট হয়ে যাচ্ছে……..কোথায় শিশুটা? কেন কাদঁছে? চোখ খুলতে চাইছে, চোখ বুজে আসছে……..
চোখ মেলে সাকেরা একটা ঘর দেখল। ছোট্ট একটা ঘর। আবছা রঙের, স্বচ্ছ। না সবুজ না নীল।
মাঝামাঝি কিছু। আশেপাশে স্বছ কিছু জিনিষের চলাচল……তরলের মত, আকার নিচ্ছে…..আবার হারিয়ে যাচ্ছে……তীব্র একটা চিৎকার, আগের চিৎকারটার মত না……তীক্ষ্ণ………চিৎকারটা সওয়া যাচ্ছে না……আলোটাও না. ….হাত তোলার চেষ্টা করল সাকেরা…..সামনে যেন কে বসা!!! খুব স্নিগ্ধ মুখ, মসৃন ত্বক, হাল্কা মিষ্টি একট গন্ধ, মিষ্টি হাসি মুখ…….হাত ধরতে চাইছে……সাকেরা আবার জ্ঞান হারালো।
জ্ঞান ফিরলে দেখল সামনে সাজ্জাদ বসা, মলিন মুখ। সাকেরার হাসি পেয়ে গেল, ছেলেটা খুব অল্পে ঘাবড়ে যায়। শার্টের একটা বোতাম লাগানো হয় নাই।
মাঝের একটা বোতাম কিভাবে সব সময় মিস করে? কথা বলার শক্তি পাচ্ছে না। সাজ্জাদকে মলিন মুখে দেখে খুব মায়া লাগছে। অনায়েসে একটা হাসি ফুটে উঠে মুখে……একটা হাসি, শুধু একটা হাসি। তাতেই বলে দেয়া “এই তো আমি”
সাকেরার দূর্বল হাসিটা দেখে চোখে পানি এসে পরল সাজ্জাদের। আস্তে করে সাকেরার হাতটা ধরল, খুব যত্নে, খুব কোমল ভাবে, যেন মোম।
ধরলেই গলে যাবে। খুব গাঢ় গলায় বলল, “সাসা এখনও আমাকে বাবা ডাকে নাই, মনে হয় তোমাকে আগে মা না ডেকে আমার সাথে কথা বলবে না। প্রায় আড়াই দিন ঘুমিয়েছ। এবার উঠ, সাসা তোমাকে মা না ডেকে আমাকে বাবা ডাকবে না বলছে……..”
উৎসর্গ: স্বপ্নীলের আব্বু-আম্মু’কে। ২ জন আজকে আমাকে বহু যন্ত্রনা দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।