আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেভারিট লোগোটাই এবার স্পেনের যন্ত্রণা



এর আগে নয়টি বিশ্বকাপে স্পেন তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ১৯৫০ সালে চতুর্থ হলেও কখনোই দলটি সোনার কাপ জেতার জন্য ফেভারিটের তালিকায় ছিল না। বড়জোর ডার্ক হর্স হিসেবেই ধরা হয়েছে স্পেনকে, যারা অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে ফেভারিটদের হারিয়ে। সেই ১৯৬৪ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। তারপর থেকে দীর্ঘদিন বিশ্ব ফুটবলে বড় কোনো সাফল্যই নেই তাদের। কিন্তু দৃশ্যপট বদলে গেছে স্পেন সর্বশেষ ইউরো ২০০৮-এ চ্যাম্পিয়ন হতেই।

তারপর থেকেই বিশ্ব ফুটবলে স্পেনের একাধিপত্য, যার সঙ্গে তুলনা চলে কেবল ব্রাজিলের। বাছাই পর্বে ১০ ম্যাচের সবকটিতে জিতে স্পেন টিকিট পায় বিশ্বকাপের। টানা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতে ভাগ বসায় ব্রাজিলের রেকর্ডে। এই মুহূর্তে ফিফা র্যাংকিং এবং বিশ্বকাপ বাছাই দুটিতেই শীর্ষে স্পেন। আর এমন সাফল্যই প্রথমবারের স্পেনকে বিশ্বকাপ ফুটবলে ফেভারিটের মর্যাদা এনে দিয়েছে।

বাজিকর থেকে বোদ্ধা, সবারই মতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম দাবিদার স্পেন। কিন্তু ফেভারিটের এ লোগোটাই দলের ওপর বোঝা বলে মনে করছেন স্পেনের অন্যতম তারকা ফার্নান্ডো টোরেস। লিভারপুল স্ট্রাইকার সাফ বলেছেন, ‘ফেভারিটের এই তকমাটা আমাদের মোটেই পছন্দ নয়। কিন্তু আমরা না চাইলে কী হবে, এটা দলের সঙ্গে লেগে গেছে। ’ তবে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি, ‘মজার ব্যাপার হলো স্পেনে আমাদেরই সবাই ফেভারিট বলে।

আবার যখন ইংল্যান্ডে যাই তখন আমাদের সঙ্গে ফেভারিট ধরা হয় ইংল্যান্ডকেও। আবার ফ্রান্সে আমাদের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় ফরাসিদের। আর ব্রাজিলকে তো শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে এক ব্র্যাকেটে রেখে দেয়া হয়েছে। কোনো মতেই এই ফেভারিট হওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। সেটা আঠা দিয়ে এবার সেঁটে দেয়া হয়েছে আমাদের সঙ্গে।

’ টোরেস যাই বলুন না কেন, সর্বশেষ সাফল্য এবং খেলোয়াড় তালিকা দেখলে স্পেনকে সমীহ না করে তথাকথিত বাকি সব ফেভারিট দলগুলোর কোনো উপায় নেই। গোলে ইকার ক্যাসিয়াস, রক্ষণে নেতা কার্লোস পুওল, মাঝমাঠে দুই জেনারেল জাভি হার্নান্ডেজ ও ইনিয়েস্তা। এদের সঙ্গে যোগ করুন সিসে ফ্রাবেগাস, টোরেস এবং ডেভিড ভিলাকে। এমন টিমকে ফেভারিট না বলে উপায় কি? টোরেসের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন কোচ ভিনসেন্ট দেল বস্কোও। বলেছেন, ‘স্পেনে প্রত্যেকে মনে করছে এবার যদি আমরা বিশ্বকাপ না জিতি তাহলে সেটা হবে ব্যর্থতাই।

কিন্তু এটা একটু বাড়াবাড়িই। আমরা গত কয়েক বছর সাফল্যের মধ্যেই আছি। কিন্তু বিশ্বকাপ মানে বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেখানে আগ বাড়িয়ে কোনো কিছু বলার উপায় নেই। আমি শুধু বলতে চাই, সেরা ফর্মটাই আমরা ধরে রাখতে চাই বিশ্বকাপে।

সেটাই হবে লক্ষ্য। ’ ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো এক নম্বর হওয়া স্পেন গ্রুপ পর্বে পড়েছে সহজ দলগুলোর সঙ্গেই। তাদের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী সুইজারল্যান্ড, চিলি এবং হন্ডুরাস। কাজেই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা কোনো সমস্যাই নয় ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু তারপরই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারে স্পেন।

কারণ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে তাদের পরের রাউন্ডে খেলতে হতে পারে আইভরি কোস্ট, পর্তুগাল কিংবা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিপক্ষে। অধিনায়ক ক্যাসিয়াস অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। জানিয়ে দিয়েছেন শিরোপা জিততে যে কোনো প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে তৈরি তার দল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.