রংপুরের এসপি ওসি ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসককে আদালতে তলবঃ
নিরাপত্তা হেফাজতের নামে নির্যাতিত নাগরিককে কারাগারে আটক রাখাকে কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকৃত নিরাপত্তা হেফাজত তৈরীর নির্দেশ সরকারকে কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছে। বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ প্রদান করেন।
সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট কেএম হাফিজুল আলম, ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও ইমরানুল হাই সজীব জনস্বার্থে এক রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ মে রংপুরে এক তরুণী ধর্ষিত হয়।
মোঃ বুলেট মিঞা নামে যুবলীগের এক নেতা ১০ দিন ওই তরুণীকে আটক রেখে ধর্ষণ করে বলে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়। রিট আবেদনে আরো বলা হয়, গত ৩১ মে ওই তরুণী রংপুরের কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। ওই দিন পুলিশ রংপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তরুণীকে বাবা মায়ের হেফাজতে না দিয়ে কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট গতকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে ওই তরুণীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে প্রকৃত নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর জন্য রংপুরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় নিজেদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য রংপুরের এসপি, কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), রংপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চেয়ারম্যানকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।