ফেসবুক আইডি:নাই
এইসব স্মৃতি এইবার ক্ষমতায় আসার আগের ঘটনা। এই মেয়াদে এইসব সব ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় উঠে যাবে আওয়ামী লীগ এই কারণে আগাম শুভেচ্ছা।
১। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপি দেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচনী অপরাধ।
২।
স্বাধীন দেশের প্রজাতন্ত্রের নিয়োগে প্রথম আওয়ামী দূর্নীতি - বিসিএসে তোফায়েল ক্যাডার প্রতিষ্ঠা, তারই ধারাবাহিকতায় ৯৬ এর জনতার মঞ্চ; প্রশাসন দলীয়করনের নির্লজ্জ উদাহরন যার ক্ষত বাংলাদেশ আজো বয়ে বেড়াচ্ছে।
৩। সিরাজ সিকদার হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সূচনা এবং সংসদে দাঁড়িয়ে 'কোথায় সিরাজ সিকদার' বলে শেখ মুজিবের দূর্বীনীত আস্ফালন।
৪। বিরুদ্ধ মত দমনের জন্য রক্ষী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক কর্মী হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের উদ্বোধন।
৫। রূপমহল সিনেমা হলে আয়োজিত মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা করে তা পন্ড করে দিয়ে রাজনৈতিক দমন পীড়নের শুভ মহরত অনুষ্ঠান।
৬। দূর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের জন্য আসা কম্বল চুরি করে রিলিফ চুরির প্রথম নজির স্থাপন এবং শেখ মুজিবের চোরের খনি আবিস্কারের সদর্প ঘোষনা।
৭।
চরম লুটপাট আর অব্যাবস্থাপনায় দেশের ইতিহাসে প্রথম দূর্ভিক্ষ সৃষ্টি অথচ নেতার পুত্রের বিয়েতে অভুতপূর্ব সাড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন করে নিরন্ন, নিবস্ত্র বাসন্তিদের অসহায়ত্ব নিয়ে পরিহাস।
৮। বিরুদ্ধ মত প্রবল হলে অবস্থা বেগতিক দেখে গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে চরম স্বৈরতান্ত্রিক,গণতন্ত্রবিরোধী একদলীয় বাকশাল কায়েম। দেশের সকল নাগরিককে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা, চারটি বাদে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণ।
৯।
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অচল করে দিয়ে রক্ষীবাহিনীকে দেশের সেনাবাহিনীর স্থলাভিসিক্ত করার দূরভিসন্ধি প্রনয়ন।
১০। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় আসা এরশাদের স্বৈরশাসনকে সমর্থন দিয়ে ৮৬ এর নির্বাচনে অংশগ্রহন এবং স্বঘোষিত জাতীয় বেঈমানের কালিমা নিজের গায়ে লাগিয়ে স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িতকরণ।
১১। '৯১ এর নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগে সংসদ অকার্যকর করার সমুদয় হঠকারী কার্যক্রম গ্রহন এবং ততকালীন সরকারকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না বলে প্রকাশ্য ঘোষনা প্রদান।
তারই ধারাবাহিকতায় একের পর এক হরতাল দিয়ে দেশের ইতিহাসে ১৭৩ দিনের হরতালের রেকর্ড সৃষ্টিকরণ। দিনের পর দিন চট্টগ্রাম বন্দর অচল করে রাখা, তথাকথিত অসহযোগ আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকরণ।
১২। চাতুর্যপূর্ণ ভন্ডামীপনায় হাতে তসবিহ, মাথায় হেজাব আর চোখে পানি রেখে ভোট ভিক্ষা চেয়ে চরম প্রশাসনিক কারসাজির নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পর ক্ষমতারোহন।
১৩।
ক্ষমতারোহনের দুই মাসের মাথায় শেয়ার বাজার কেলেংকারীর মাধ্যমে দেশের নিরীহ বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়ে ৬০০০ কোটি টাকা লুটপাট।
১৪। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার চাতুর্যপূর্ণ অভিপ্রায়ে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে চোরাচালানকে উতসাহিত করে দেশীয় উতপাদন ব্যাহতকরণ এবং বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের পণ্যের বাজারে পরিণতকরণ।
১৫। একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ ফেলার বাসনায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশকে জয়নাল হাজারি, শামীম ওসমান, হাজি সেলিম, মকবুল, ডা. ইকবাল, কামাল মজুমদার, মায়া চৌধুরী, দীপু চোধুরী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ হেলাল, গফরগাঁওয়ের গোলন্দাজ, সুনামগঞ্জের বোমা মানিক এবং আরো অসংখ্য সন্ত্রাসী গডফাদারদের চারণভূমিতে পরিণতকরণ।
১৬। হরতাল সফল করার জন্য গানপাউডার দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ যাত্রী এবং গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে সিএনজি চালক হত্যা করা।
১৭। আওয়ামী নেতা মির্জা আজমের দুলাভাই শায়খ আব্দুর রহমানকে দিয়ে জংগী সৃষ্টি করে দেশকে মৌলবাদী নামে পরিচিতকরণ।
১৮।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রলীগের কর্মী মানিকদের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষনের সেঞ্চুরী উদযাপন।
১৯। রাষ্ট্রীয় লুটপাট ও দূর্নীতির মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের এক নম্বর দূর্নীতিবাজ উপাধি প্রথমবারের মত পাইয়ে দেওয়া।
২০। একুশ বছরের ক্ষুধার ক্ষুন্নিবৃত্তির খাতিরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ খোদ গণভবণ গিলে খাওয়ার ন্যাক্কারজনক প্রচেষ্টা।
২১। আদালতের রায় নিজেদের অনুকুলে নেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে লাঠি মিছিল করা।
২২। আদালতের রায়ের প্রতি উপহাস করে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বস্তি স্থাপনের মত জঘন্য আদালত অবমাননাকরণ।
২৩।
হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রী ক্রয় করতে যেয়ে দেশের অর্থ ব্যয়ের বিলাসিতা প্রদর্শন।
২৪। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকরণ ও পরিশেষে রাষ্ট্রের কোষাগারে দেশের ইতিহাসে সর্বনিন্ম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেখে ক্ষমতা ত্যাগ।
২৫। ২০০১ সালের নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে স্থুল কারচুপির ধুয়া তুলে সরকার পতনের ট্রাম্পকার্ড খেলা শুরুকরণ।
২৬। বিরোধী দলে গেলেও হরতাল দেবে না বলে দেওয়া অংগীকারের প্রতি বুড়ো আংগুল দেখিয়ে একের পর এক হরতাল আহবান।
২৭। বিগত সরকারের বিদায়কালে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে মানূষ মেরে সেই লাশের উপর পৈশাচিক হিংস্রতায় নৃত্য প্রদর্শন।
২৮।
বংগভবনের আলো, পানি ও অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়ার ধৃষ্টতাপূর্ণ আস্ফালন।
২৯। রাতের আঁধারে খেলফত মজলিসের ন্যায় চরম প্রতিক্রিয়াশীল দলের সাথে চুক্তি প্রনয়ন শুধুমাত্র ক্ষমতালাভের অসত অভিপ্রায়ে।
৩০। সর্বশেষ দেশের পতিত স্বৈরাচার, প্রমানিত দূর্নীতিবাজ ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংগে গাঁটছড়া বেঁধে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার চেষ্টা এবং পতিত স্বৈরাচার, লম্পট এরশাদকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন করবার চেষ্টা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।