এমনি করেই হয় তো । । নচিকেতা ভরদ্বাজ
ঘরে ফিরে তোমায় তো স্বামী-শিশু-জাগরী নিখিল
থাকবে থাকবে ঠিক। এক ফালি আলোর ঝরণা
এখানে ছড়িয়ে দিও- সে আলোয় নদী হবে নীল
আমিও পেরিয়ে যাব দান্তের উজ্জ্বল নরক-
সে থাক আমার সখি! ভীরু মোমে মৌনের চারণা
কয়েকটি স্মৃতির দীপ। আমার কেবল থাক
. কয়েকটি বৃষ্টির পালক।
ভোর আসে ভীরু পায়ে। পাখী ডাকে। হাওয়া এলোমেলো।
নির্জন নদীর চোখে ঘুমেরাও ঝরে পড়ল-আর
তুমিও বনেদী শাড়ী বুকে তুলে-সোনালী সংসার
হাতে তুলে নিলে ফেরঃ দূর থেকে কভু দেখা গেল
কয়েকবার হেঁটে গেলে এদিকে ওদিকে; কখন যে স্নিগ্ধ স্নান সেরে
ব্যালকনিতে দাঁড়ালে এসে-শুকোতে দিলে নরম কাপড়,
কনুই উলটো করে চুল ঝাড়লে -ভিজে গামছা-
. ভিজে-আলতা বড় লাল পেড়ে
শাড়ীর প্রান্তটুকু- কখনো বা এতদূর থেকে দেখা যায়
এ গলিতে অন্ধকার-এ হৃদয় অন্ধকার-তবু কচি আলোর নকশায়
তোমার চোখের আলো পৃথিবীর নবজন্ম-
. -পান্না হয় কান্নার শহর!
পরস্ত্রী দেখতে নেই! তবু আহা কখন যে সোনালী বিকেল
নামবে জোনাকি শাড়ী গায়ে তুলে! কেটে যাবে দুরূহ প্রহর।
আজ আর আসবে না হয় তো; এসছে বাসায়
কারা যেন।
এমনি করেই হয় তো মৃদু মোম জ্বলে যাবে
. কেউ নেই! শূণ্য পড়ে থাকবে ইজেল!!
নূতন দিনের কবিতা বিভাগ থেকে পূর্বের গুলো পড়ুন।
শিরোনামের সূত্র পোষ্টটি এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।