সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ রাজন নামের একজনকে আটক করলেও তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে কলেজের পার্শ্ববর্তী টিলাগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রোববারের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রধারীদের আটক করতে গতকাল রাতে অভিযানে নামে শাহপরাণ থানার সহকারী কমিশনার মো. আইয়ূবের নেতৃত্বে সাদা পোশাকধারী পুলিশের একটি দল। রাত পৌনে নয়টার দিকে টিলাগড়ের একটি রেস্তোরাঁয় বসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব করার সময় পুলিশ রাজন নামের একজনকে আটক করে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রথমে তা বুঝতে না পারলেও পরে টের পান।
এরপর তাঁরা পুলিশের কাছ থেকে রাজনকে ছিনিয়ে পালিয়ে যান।
জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম-উল্লেখ না করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘সাদা পোশাকের পুলিশ একটি রেস্তোরাঁ থেকে অস্ত্রধারী একজনকে আটক করে। ওই সময় তাঁর সহযোগীরা পুলিশের হাত থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
’
ওসি জানান, ওই ঘটনার পর রাজনসহ অন্য অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে রাত থেকে অভিযান চলছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।