আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সৎসঙ্গের ব্যাপক জাগরণ

h

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সৎসঙ্গের ব্যাপক জাগরণ পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদার পবিত্র আশির্বাদে ও পরম পূজনীয় বাবাইদার ঐশী প্রেরণায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শহরগুলোতে ধারাবাহিক সৎসঙ্গের এক বিশাল কর্মপারকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে অস্টেলিয়ার ক্যানভেরার হয়ে গেল একটি বিশাল সৎসঙ্গ অধিবেশন। লিভারপুলের স্থানীয় কমিউনিটি হলে এ সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়। এই অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিজির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শ্রীহরিশ চন্দ্র শর্মা। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ইয়েমেনের সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিটারেচার বিভাগের প্রধান, প্রফেসর দামোদর ঠাকুর।

‘বন্দে পুরুষোত্তম’ ধ্বনিতে হলঘর কাপিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরুতে শ্রীহরিশ শর্মা সুসজ্জিত ঠাকুরের আসনের সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন এবং প্রণাম নিবেদন করেন। তারপর প্রফেসর শ্রীদামোধর ঠাকুর, প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। মূল অনুষ্ঠানের শুরতে ‘শ্রীশ্রীঠাকুর ও সৎসঙ্গ’ শিরোণামে শ্রীকুমার মণীষের সম্পাদনায় তৈরিকৃত একটি স্লাইড শো প্রদর্শিত হয়। এই স্লাইডশো’র মূল প্রতিপাদ্য ছিল পাবনায় শ্রীশ্রীঠাকুরের বর্নাঢ্য কর্মযজ্ঞ।

স্লাইডশো শেষ হতে হতেই সান্ধ্য প্রার্থনা শুরু হয়। প্রার্থনান্তে ধ্যান ও সত্যানুসরণ,the message, magna dicta ও নারীর নীতি গ্রন্থ থেকে বানী পাঠ করা হয়। শ্রীরাজ শর্মা ছিলেন এ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তারপর তিনি আহবান জানান ফিজি থেকে আগত প্রখ্যাত ভজন শিল্পী শ্রীরমেশ কুমার সিং’কে। তিনি ভজনের মাধ্যমে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে দিব্যভাবের সৃষ্টি করেন।

আলোচনা পর্বে প্রফেসর ড. শ্রী অম্বুপদ ঠাকুর, পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন ও দর্শণ এবং সৎসঙ্গের উদ্দেশ্য উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সৎসঙ্গের থিম হলো সকলের বাঁচা বাড়াকে বেগবান করা ও সকল ধর্মের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো। ফিজির সুপরিচিতি ওস্তাদ শ্রীবলরাম দাস কবিরের ভজনের মাধ্যমে দশর্কদের মাতিয়ে তোলেন। তারপর বক্তব্য রাখেন এডিলেডে একটি গবেষণা প্রতিষ্টানে সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত শ্রীশ্রীঠাকুরের পবিত্র পাঞ্জাধারী কর্মী শ্রী সুভাষ নন্দী ( ঝচজ)। তিনি কিভাবে আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরকে ধরে এবং প্রধান আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদার ঐশী প্রেরণায় চলে একত্রিত হতে পারি তার উপরে সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।

আবার ভজন পরিবেশন করেন ড. শ্রীঅম্বুপদ ঠাকুর। বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের অংশগ্রহনের কারনে অনুষ্ঠানটি অনন্য রুপ ধারণ করে। অনুষ্ঠানের অন্যতম মূলবক্তা ছিলেন জনাব আব্বাস রাজা আলভি, যিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও সিডনিতে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের শিক্ষা ও ইসলামের শিক্ষা কতখানি মিল তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। তারপর প্রফেসর শ্রীদামোদর ঠাকুর তার জ্ঞান ও উৎসাহমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে দর্শকদের মূগ্ধ করেন।

তিনি ব্যাক্তিত্ব ও চারিত্রিক ভিন্নতার কারনে মানুষের মধ্যে যে বিশাল দূরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরেন। শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবনে জীবন্ত আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে কিভাবে আমরা সার্বজনীন ব্যাক্তিত্ব অর্জন করতে পারি তাও তিনি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, শ্রীহরিশ শর্মা তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমি শ্রীশ্রীঠাকুর ও সৎসঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তিনি বলেন, আমার জীবনের এ অধ্যায়টি অন্ধকারই থেকে যেত যদি আজকে আমি এখানে উপস্থিত না হতাম। তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের মহান আদর্শ খুব দ্রুত বিশ্বে ছড়ানো উচিত বলে মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে উপস্থিত কয়েকজন শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎ মন্ত্রে দীক্ষা লাভ করেন। এই অনুষ্টানটি সিডনির সচেতন জনসাধারণের কাছে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকেই শ্রীশ্রীঠাকুরের গ্রন্থাদি সংগ্রহ করে তাঁকে জানার চেষ্টা করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.