একটি নুতন মিডিয়া ও ডিজাইন প্রতিষ্ঠানে জরুরী ভিত্তিতে ২-৩ জন অভিজ্ঞ ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক ডিজাইনার দরকার। দক্ষ ও ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারগণ আপনার বায়োডাটা সহ লিখুন। এডোবি ক্রিয়েটিভ সুইট ৫ বা ৬ এ দক্ষতা জরুরী, বিশেষ করে ইন-ডিজাইন, ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ এ অভিজ্ঞতা থ
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম্ নেয়া বাঙালী মেয়ে সারা হোসেন।
বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার এপিং শাখার এবং সিডনির মেইনষ্ট্রীম এপিং ওয়েস্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সারা হোসেনই প্রথম বাংলাভাষী যে বাংলা ভাষায় ব্যুৎপত্তির জন্য সম্মানজনক পুরস্কারটি লাভ করল। সারার জন্ম্ এবং বেড়ে ওঠাও অস্ট্রেলিয়াতে।
অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিদের বাসস্থান গড়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর হলেও কারো মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এটাই প্রথম।
ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।
গত সাত বছর ধরে সারা হোসেন ‘বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া’র বাংলা স্কুলে বাংলা লিখতে, পড়তে ও বলতে শিখেছে। যখন সারা কথা বলতে শিখেছে তখন থেকেই ওর বাংলায় হাতে খড়ি।
এছাড়া এবার বাংলায় অপর তিন বাঙালি সন্তান ‘কমেন্ডেড’ ও ‘হাইলি কমেন্ডেড’ পুরস্কার পেয়েছে।
এরাও বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন ভিন্ন স্কুল শাখার ছাত্র-ছাত্রী।
এরা হল বাংলা একাডেমির ব্ল্যাকটাউন শাখার ছাত্রী ‘বলকাম হিলস্ হাই স্কুলের শতাব্দী রাশেদ এবং লাকেম্বা শাখার ছাত্র ‘ওয়াইলী পাক পাবলিক স্কুলের এ এস এম শাহরিয়ার ইফতি। তারা দুজনই পেয়েছে কমেন্ডেড অ্যাওয়ার্ড।
অপরদিকে হাইলি কমেন্ডেড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে একাডেমির এপিং শাখার ছাত্রী ‘হরন্সবি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী আশা হোসেন।
ভাষা শিক্ষায় সার্বিকভাবে এগিয়ে আছে এমন দশজনকে প্রতিবছর ‘মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী এ পুরস্কার প্রদান করেন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জন ক্ল্যানসি মিলনায়তনে ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসর বসেছিল।
এ বছর ৬০টি সম্প্রদায়ের ভাষার মধ্যে ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথম দশজনের মধ্যে ঠাঁই পায় সারা।
বাংলা ভাষা ছাড়াও অন্য যে নয়টি ভাষা ২০১৩ সালের জন্য মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সেগুলো হল: আর্মেনিয়ান, সিংহলি, তামিল, পর্তুগিজ, চিনা, জাপানি, কোরিয়ান, উক্রাইনিয়ান ও পোলিশ।
বাংলা ভাষার বিস্তারে অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলা একাডেমি সব চাইতে বেশী সংখ্যক স্কুল নিয়ে এগিয়ে আছে। এপিং, ব্ল্যাকটাউন ও লাকেম্বাতে একাডেমি’র বাংলা স্কুল গুলোতে নিয়মত ক্লাস চলছে। ২০০৬ এ বাংলা একাডেমি প্রথম বাংলা ভাষার স্কুলের গোড়া পত্তন করে। সংগীত, আবৃত্তি, নাটক, পাঠচক্র, বিতক, উপস্থিত বক্তৃতা সহ নানাবিধ শিক্ষা নিয়ে বাংলা একাডেমির কেন্দ্র গুলো কাজ করছে। লাকেম্বা কেন্দ্রে এ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে গানের ক্লাস।
ক্লাসিকাল, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত শেখানো হবে এখানে। আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি কতৃর্পক্ষ ও শিক্ষকদের জন্য বিষয়টি সম্মানজনক ও আনন্দের। পরিচালক আনোয়ার আকাশ বললেন সবার মিলিত চেষ্টাতেই এ পুরস্কার পেয়েছি। এর যা কিছু আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই বৃহত্তর কমিউনিটির বাংলা ভাষার মানুষদের সাথে।
একাডেমি’র সৈয়দা নাজনীন হায়দার, রিজওয়ানা আলী, শারমিন সফিউদ্দিন, তাবাসসুম মাহযাবিন, প্রভাংশু অরহন্ত্, অনিন্দিতা আহমেদ, ইসরাত আরা, মাহমুদা আখতার সহ অন্যান্য সকল শিক্ষক বৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই প্রাপ্তি।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে সবচেয়ে বেশি বাঙালির বসবাস। এছাড়া মেলবোর্ন, ক্যানবেরা, ব্রিসবেন, পাথ, এডিলেড, তাসমানিয়া ও ডারউইনে বাঙালির বসবাস রয়েছে।
অভিভাবকদের উৎসাহী করার জন্য স্কুল গুলোতে বিনামূল্যে বাংলা একাডেমি এ শিক্ষা দিচ্ছে। বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে ছেলেমেয়েদের বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে ও বলতে পারায় আগ্রহী করে তোলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।