ঈশ্বর এর অস্তিত্ব প্রমানে- আইনষ্টাইনের ‘সৃজনী শক্তি’ সনাক্তকরণ
নিশ্চয়ই আল্লাহ আছেন। তবে গবেষণাগারে নিয়ম মাফিক পারা যায় না তাঁকে কোন প্রকার বিশ্লেষণ বা পুংখানুপুংখ রূপে বিচার করে দেখা। তিঁনি হচ্ছেন অপ্রাকৃতিক, আত্মিক, প্রজ্ঞাবান, সৃজনশীল,সর্বশক্তির আধার। বৈজ্ঞানিক নিয়ম প্রত্যেকটি সত্তার অস্তিত্ব হাতে কলমে দেখানোর বা প্রমাণ করার পক্ষে অপ্রতুল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মানুষকে প্রভাবান্বিত করতে পারে এমন সব শক্তির মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রেম অন্যতম।
কিন্তু প্রেম বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বা বিশ্লেষণকে অগ্রহ্য করতে পারে। ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি সৌন্দর্যবোধ বা সংগীতের রসজ্ঞান থেকে বঞ্চিত, তাকে কি করে সৌন্দর্য বা সংগীতের রস গ্রহণ করাতে হয় একথা কি বোঝানো যায়? কিন্তু প্রেম, সৌন্দর্য এবং সংগীতের যে মাধুর্য রয়েছে, তা কে অস্বীকার করতে পারে? যদিও আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে পক্ষে বা বিপক্ষ চূড়ান্ত প্রমাণের অভাব থাকতে পারে তবুও যুক্তি সংগত বৈজ্ঞানিক চিন্তা ধারার ক্ষেত্রে যেমন অনেক প্রমাণকে সত্য বলে মেনে নেয়া হয় , তেমনি শক্তিশালী প্রমাণ আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট বিদ্যমান।
নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, বর্তমান বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত জগতের কেউই সৃষ্টিতে যে পদ্ধতি বিজড়িত কখনও তার প্রমাণ পাবে না, কিন্তু আমাদের বৈজ্ঞানিক অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান সম্পূর্ণ জড়বাদী ব্যাখ্যার মধ্যে এত বেশী অসম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করে যে, প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষ সৃষ্টির একটি রূপ এবং বাইরের শক্তির প্রভাবকে স্বীকার করে নেয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত মনে হয়। আলবার্ট আইনষ্টাইন এই বুদ্ধিদীপ্ত সৃজনী শক্তিকে স্বীকৃকি দান প্রসঙ্গে ইহাকে ‘‘অসীম সর্বশ্রেষ্ঠ যুক্তিবাদী শক্তি’’ বলে উল্লেখ্য করে ‘‘ব্যাপক মহাবিশ্বে’’ এই শক্তি প্রতীয়মান বলে মন্তব্য করেছেন।
আমি এই শক্তিকেই আল্লাহ বলি।
নাস্তিক ভাইয়েরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনষ্টাইন এর এই
‘‘অসীম সর্বশ্রেষ্ঠ যুক্তিবাদী শক্তি’’কে কি বলে ব্যাখ্যা দিবেন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।