আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ এই পথে মোর হেটেঁ যেথেন নূরনবী হজরত
ব্রিটেনে এখন কনসারভেটিভদের সাথে লিব-ডেম মিলে সরকার গঠন করে ফেলায় গর্ডন ব্রাউন রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। নির্বাচনে লেবার দলের পরাজয়ের ফলে গুডবাই বলে ফেলতে তার দেরি হয়নি। ফলে এখন লেবার পার্টির একজন নতুন নেতা দরকার। আমাদের দেশ হলে গর্ডন ব্রাউন সাহেব মরার আগ পর্যন্ত সার্ভিস দেয়ে যেতেন। আর কোন কারনে মারা গেলে তার মেয়ে কিংবা বউ হাজির হতেন প্রবল দাপটের সাথে।
কিন্তু ইহা ব্রিটেন। রাজতন্ত্রের জরায়ু থেকে এরা গনতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে।
যাইহোক এই নতুন নেতা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যারা প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাদের মধ্য ডেভিড মিলিব্যান্ড এবং এড মিলিব্যান্ড আপন দুই ভাই। এরা একই স্কুল থেকে (Haverstock School in Camden) এবং একই কলেজ থেকে (Oxford college) একই ডিগ্রি অর্জনকারী। ১৯৩৮ সালের পর প্রথমবারের মত দুই ভাই একই সাথে মন্ত্রী ছিলেন।
১৯৪০ সালে ব্রিটেনে আগত তাদের বেলজিয়ান বাবা রাল্ফ (Ralph) একজন মার্কসবাদী বুদ্বিজীবি ছিলেন। ব্য়সে সাড়ে চার বছরের বড় ডেভিড মিলিব্যান্ড গত লেবার সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন আগের প্রধান মন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ডান হাত। হেড অব পলিসি। অন্যদিকে এড মিলিব্যান্ড ছিলেন এনার্জি এবং ক্লাইমেট মন্ত্রী, গর্ডন ব্রাউনের ডান হাত।
মজার বিষয় তাদের মা দুই ভাইয়ের কাউকেই সাপোর্ট করছেন না বলে জানিয়েছেন জুনিয়র মিলিব্যান্ড। মায়ের পছন্দ বাম পন্থি এমপি জন ক্রুডাস (John Cruddas)।
তবে মিলিব্যান্ড ভাইয়েরা তাদের এই পারস্পরিক প্রতিযোগিতাকে "civilised contest" বলে আখ্যায়িত করেন। জুনিয়র মিলিব্যান্ড তো বলেই দিলেন যে সিনিয়র মিলিব্যান্ড তার সব চেয়ে ভাল বন্ধু ("David is my best friend in the world. I love him dearly. There is no way I'm going to take lumps out of him either on the record, off-the-record or behind the scenes. It is not my way of doing politics.") ।
(তার উক্তিটি এখানে সরাসরি উল্লেখ না করে পারছিনা বলে দুঃখিত।
)
আসলে দুই ভাই ই খুব মেধা সম্পন্ন, সৎ ও বুদ্বিমান। যেই নির্বাচিত হউন তিনি হবেন আগামী দিনের লেবারের কান্ডারী। ভবিষ্যত প্রধান মন্ত্রী ও হয়তবা।
এইসব দেশের যেকোন ঘটনার সাথে আমি বাংলাদেশকে মেলানোর চেষ্ঠা করি সবসময়। এক্ষেত্রে ঘটনা বাংলাদেশে হলে দুই ভাই একে অপরের বিরোদ্ধে কুৎসা রটনা থেকে শুরু করে কে বাপের আসল পুত্র তা নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিতেন।
হায়। বাংলাদেশ। আমরা কোথায় আছি। আর কোথায় যেতে হবে।
(তথ্য সুত্র: বিবিসি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।