আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্ত্রী পুত্রসহ ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

আমি পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি, তাইতো সবার সাথে শেয়ার করছি...

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, তার স্ত্রী সাজেদা হোসেন ও ছেলে আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে কমিটি সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এ সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাওয়ার নির্মাণ, মিথ্যা ঘোষণাপত্র দিয়ে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি, অপরিকল্পিতভাবে র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু এবং গুলশানে বাড়ি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার প্রমাণ পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। তাই সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপুকে আহ্বায়ক করে গঠিত সাব কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার মঈনুল, তার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৯টি সুপারিশ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়।

এসময় কমিটি সদস্য প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মো. আব্দুস সাত্তার, আসাদুজ্জামান খান, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, লুৎফুর রহমান, নসরুল হামিদ, এনামুল হক ও সাফিয়া খাতুন বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া এসব দুর্নীতির অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে প্রেরণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, মঈনুল ক্ষমতায় থাকাকালে কাকরাইলে অবস্থিত মুসাফির প্রপার্টিজ লিমিটেড তৈরির সময় সোয়া চার ফুট ফুটপাত দখল করে। অঙ্গীকারনামা অনুসরণ না করে ভবন নির্মাণ করে। সাব কমিটি তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে ভবনটি নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালের ২১ জুন রাজউক থেকে অনুমোদন নিলেও এর অনেক আগেই ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

নকশাটি ১২তলার হলেও পরে ১৫তলা করা হয়। এ ভবনের ব্যবস্থাপনায় থাকা মঈনুলের ছেলে আরশাদ হোসেন ও রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ ও দখল করা ফুটপাতের অংশ ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করেছে কমিটি। ব্যারিস্টার মঈনুলের স্ত্রী সাজেদা হোসেন নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো এফিডেভিট না করে মিথ্যা ঘোষণাপত্র ও হলফ নামা দিয়ে সাজু হোসেন নামে কনকর্ড টাওয়ারে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করেছেন এবং জব্বার টাওয়ারে ফ্ল্যাট বুকিং দিয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গা সম্পর্কিত আদালতের রায় ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথে অপরিকল্পিতভাবে অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গার সময় ১৪ শ্রমিক মারা যায়। এ কারণে মঈনুলসহ রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। তিনি আরো বলেন, গুলশান-১ আবাসিক এলাকায় আরশাদ হোসেন একটি বাড়ি দখল করে মান্ত্রা নামে এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িটি মালিকের প্রকৃত কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.