Cheiro Sharier এর বাংলা ব্লগ
(১)
পিতা ডেকে কহে সন্তানে’রে
“কন্যা-জায়া-জননী”
হে, কি তোমার নাম?
ঃ নারী? !!!
তবে ঘৃনা করি,
জন্মেছো দূর্বল সন্তান।
লোকে কি কহিবে মোরে,
আর কি ভাবিবে….?
হীন চাহনিতে মোর পানে,!
সান্তনা’র প্রেরনা?
আর করিবে করুনা?
জন্মেছে কন্যা!
থু..! ধিক্ ঐ শান্তনা
উপহাস করুনার দান…….!
একি নহে পিতৃত্বের অপমান?
হেট হইয়া যাইবে মাথা,
দম্ভ করিয়া দাপিয়া বেড়াইবে
“ছেলে” সন্তানের পিতা। !
(২)
আমি পিতা-আমি বিধাতা!
নহে কোন দূর্বলের জন্মদাতা,
তাই ঘৃ্না করি-
কন্যা-নারী, শাড়ী-চুড়ি,
উড়না-বোরখা,চাদর-ঘোমটা
অসহায়- আর লাজুক চেহারা।
আরে নারী!!!
সে’তো দূর্বলের স্বরুপ ,
ব্যাভিচার-নিপিড়নের রুপ,
অসহায়-ভীরু-নির্যাতিতের মুখ ,
দয়া-দাক্ষিনে’ই যার সুখ,!
আভিশাপের ফল!!!
চোখের জল-অশ্রু টলমল,
এ তো নহে মোর-সন্তানের নাম
পুরুষের “গোলাম”। !
(৩)
যুগে-যুগে কালে-কালে
দলিত-মথিত- প্রেথিত হয়েছে
ধুলোয় মিশেছে যার প্রান,
না… না… না…,
এ নহে মোর সন্তান।
!
এ তো রহে সকলের পদতলে,
অন্দরে-বাহিরে- বৈরী আচরনে,
ভোগ্যসামগ্রী সমমান!
হায়! পুরুষ…………..
একে পন্য বলে!!!
পূং-লিঙ্গ-স্ফুলিঙ্গ!
ঐ রক্ত চক্ষুর সস্মুখে,
নারী অসহায় চোখে চাহিয়া থাকে।
কেঁদে-কেঁদে বুক ভাসায়,
আর জৈবিক চাহিদা মেটায়
পুরুষের প্রয়োজনে,!
এর নাই কোন মান….,
এ নহে মোর সন্তান। !
(৪)
যদি হও মোর সন্তান
তবে কহিবেনা ভ্রমে “নারী”
কহিলাম সর্বশেষ
এ মোর আদেশ।
তবে বীর দর্পে হও আগুয়ান,
আদায় করো শ্রেষ্ঠের সন্মান,
হিংস্র হায়নার দল,
বারে-বারে শংকিত করিবে
লুটে নেব সভ্রম ,
যা ঘরের কোনে,
পুরুষের পদতলেই
তোর স্থান…..!
(৫)
পিতাঃ তবে বল ওদের
“সভ্রম” কি সেটা?!
মূ্ল্যহীন শব্দের নাম?!
নারী বলে? !
শুধুই আমার তরে??
যাবেনা তোর মান???
যুগে-যুগে কালে-কালে
ঐ পুরুষ আর ঋষি-মনিষীরা
বিভিন্ন ছলে- অপকৌশলে
তোরে বদ্ধ করে রেখেছে বলে,
“নারী” শব্দটা ডেকেছে বলে,
দূর্বল ভাবতে শিখিয়েছে তোরে,
হত্যা করেছে তুই মানুষ’টারে ,
আর তুই গড্ডালিকা প্রবাহে,
ভুলেছিস্ স্বীয় সত্তা’টারে
নিজের ই অগচরে। !
হায়রে নারী
তোমায় করেছে তারা
“স্ববিরোধী”!
স্বয়ং নারী হয়ে জন্ম নিয়ে
কন্যা সন্তান- পছন্দ নহে!!!
(৬)
ওরে ...
ভেংগে ফেল ঐ জগৎ সংসার ,
যারা তোরে দিয়াছে কুসংকার ,
করিয়াছে “নারী” শব্দের অপব্যাবহার ,
কষে আঘাত কর- পশ্চাৎ দেশে ,
যারা দোররা’র আঘাতে
তোর কালিমা মোছে।
!!!
(৭)
কি তুই?
স্ত্রী-গৃহবধু-সেবিকা?
জননযন্ত্র-গৃহপরিচারীকা?
কোন পদবি তোর?। ।
স্বামীর আদেশ শির ধার্য্য!!
পতি যাহা করে-ক্ষতি নাহি রে,
কলংক যেন- তোরে নাহি ধরে,!
তোরে রাখিবে আবব্ধ-শৃংখঙলে,
নিজে নাচিয়া বেড়াইবে-
কত শত-সহস্র নারী পানে,!
মিটাইবে সুধা- জৈবিক ক্ষুধা ,
বড়ই পরিতৃপ্ত হইবে মনে ,!
“দম্ভ-পুরুষ”, ইহাই বড় সত্য!
তবে “নারী” শব্দটাই অনর্থ?!!!
(৮)
ধিক্ তারে শত ধিক্ ঐ বিশ্বাস,
ভুলেও যেন না দেখি তোর দীর্ঘশ্বাস ,
ছিড়ে ফেল- নুপুর বালা ,
মেহেদীর রঙ-ঐ লাজ-শরম ,
“দে গালে কষে চড়”
বলঃ-
“বেটা তুই আগে বোরখা পড়”। !
(৯)
“পুরুষ রাগে রাজা,
নারী দেহ প্রসারিনী”
তবে বলঃ-
নহে নারী-নহে মহারানী,
মানুষ আমি ,
এ আমার পরিচয় ।
“চূর্ন হোক ঐ দম্ভোক্তি,
হউক সাজা
হে অজ্ঞের উক্তির রাজা”।
(১০)
কত সজ্জন কলম ধরেছে
অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয়েছে,
কিন্তু পৌছায়নি উর্দিষ্ট কুলে,
শুধু “নারী” শব্দটার ভুলে!!! ,
তাই আগে দূর হোক শষ্যের ভূত ,
ভুলে যাও ঐ শব্দের নাম ,
দূর হউক লিঙ্গ ভেদাভেদ ,
মানুষ নামেই গাও সাম্যের গানঃ-
“অজ্ঞ নহে আমি আর
রহিবোনা অন্ধকারে,
যাই আজি মহাশূ্ন্যে,
যাইবো সাত আসমানে”।
(১১)
সন্তানঃ-
হে পিতা,
আর কহিব'না হেন কালে-“নারী”!
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ আমি,
ডাকিবে মোরে সন্তান বলে”।
পিতাঃ
তবে আজি ধন্য হলাম,!!!
শান্তি পাবো মরে ,
তুই মোর নহে কন্যা
সামিল- শ্রেষ্ঠ মানুষের তরে। !
(১২)
হে বলি বিধাতা- বলি তোমারেঃ-
“এ’কি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মাঝে
থাকিতে পারেনা কোন ব্যাবধান”।
পিতা যেন হীনমনে,
কভু নাহি ভাবে-
পুত্র নাই বলে তা’রে
কন্যা দানে- ,
করিয়াছো অপমান।
!
সন্তান কন্যা হলে
তুমি ই তো দানিয়াছো,
দিয়াছো পিতৃত্বেরর স্বাধ!
তাতে তো ছিলো না
মোর অপরাধ। !!!
(১৩)
তবে কেন
পিতার মৃতদেহ’টারে
কন্যা বহিবেনা কবরে?
শায়িত করিতে পারিবেনা চীরতরে???
আর ভীন ধর্মে
কেন চিতায় আগুন
দিতে পারিবেনা ধরায়ে???
সে কি নহে মোর সন্তান???
তা’রে কি পালন করিনি কষ্ট করে???
তবে কেন- পিতা’র মৃত্যুপরে
শেষ বিদায় দিতে পারিবেনা
পিতা’র নিথর দেহ’টারে?????????????!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।