বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এই তো জীবন
তারাগঞ্জের পাশ্ববর্তী নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেন্যাবাড়ী গ্রামে বাড়ি মজনুর (২৫)। দুই বছর ধরে সে লোহার শেকলে বাঁধা। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মা-বাবাই শেকলে বেঁধে রেখেছেন তাকে।
(২৫শে জানুয়ারী ২০০৯, প্রথম আলো)
মজনুটা সত্যিই পাগল হয়ে গেল। এখন আর তার নেশার দরকার নেই।
আদম শুমারী হলে তার মাথাটা ঠিকই বাদ পড়ে যাবে। কোন প্রার্থী তার ভোট চাইবে না। সরকারের কোন কাজেই সে আসবে না। সে কোন সন্তান জন্ম দেবে না, কোন সুন্দর স্বপ্ন দেখবে না, মজার কোন রসিকতায় কখনও হেসে উঠবে না। সুমনের গানের মতই- সে কেবল পাগল হয়ে সাপ-লুডু খেলতে চাইবে বিধাতার সঙ্গে।
সে কখনও মজনু হতে পারবে না। কারণ সে একটা পাগল। কেবলই পাগল। এটাই এখন তার বর্তমান এবং একমাত্র পরিচয়।
নেশার গ্রাসে এই একটা মজনুর পাগল হওয়াতে বাংলাদেশের কিছু যায় আসে না।
ঢাকাভার্সিটি, বেসরকারীভার্সিটি সহ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে শত শত মেধাবী নেশা করছে। কৌতুহল, প্ররোচণা কিংবা হতাশা মেটানোর উত্তেজক উপায় হিসেবে নেশাকে তারা বেছে নিচ্ছে আরেক মজনুর মতই। চিকিৎসার অভাবে হয়ত তারা পাগল হচ্ছে না, শেকল বাঁধা হয়ে শক্ত খাট হয়ত তাদের আশ্রয় হচ্ছে না। তবু শেষ পর্যন্ত আরও বড় আশ্রয় ভর করে তাদের মাথার ওপর মৃত্যু। তার খবর কেউ রাখে না।
রাখতে চায় না। মোমের শিখায় ফয়েলে জ্বলে পুরিয়া-পুরিয়া হেরোইন, মগজ পরিপূর্ণ হয় ফেসডিলে, গাঁজায় বুদ হয়ে তারা মৃত্যুর স্বপ্ন দেখে মাদকাসক্ত এই সব পাগলেরা কেবলই সাপ-লুডু খেলছে মৃত্যুর সঙ্গে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।