ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার
কাজের তাগিদে পুরো দেশ জুড়ে ঘুরতে হয় আমাকে সারাটি বছর ধরে। আর নানা মুখী অভিজ্ঞাতর সম্মুখীন হতে হয় । বিশেষ করে বাস স্টপ, লঞ্চঘাট, রেল ষ্টেশন গুলিতে প্রকাশ্য অনিয়মের পরিলক্ষিত হয় । কখনো জোর প্রতিবাদ কখনো নীরব গালি কী আর করার থাকে , তবুও চলতে হয় জীবিকার তাগিদে । ১৯৯৬-৯৮ সনে প্রায়ই যাতায়াত করতে হতো রুপসা ফেরীঘাট হয়ে মাদারীপুর, বরিশাল বা অন্য কোথাও ।
এক চৈত্রের দুপুরে কোন এক মন্ত্রী মহাশয় ফেরী পার হবেন বলে অনেক্ষন ঘাটে অপেক্ষা করতে হয় । হঠাত বাসের পিছনের দিক থেকে একজন সদ্যভুমিষ্ট শিশুর আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়ে । তখনই একটা চিন্তা হয় এই কাহীনি নিয়ে একটা ছোট গল্প লিখব । যার নাম হবে "ফেরী ঘাটে দেরী' । লেখার সময় আর হয়ে ওঠেনি ।
হঠাত আবার অনেক দিন পরে খুলনার উদ্দ্যেশে বাসে উঠেছি.....পাটুরিয়া ঘাট হয়ে। তিন থেকে চার ঘন্টা অপেক্ষা করে ফেরী পেলাম । কিন্ত আমার বাস কোম্পানী কোন উপঢৌকন দিতে চান না । অথচ যে কোন বাস. ট্রাক ফেরী ঘাটের কর্মী দের হাতে ৩০০/৪০০ গুজে দিচ্ছে সেটা দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে । সবকিছুই ঘটছে পুলিশের সামনে ।
একটা পুলিশ কে ঘটনাটি জিজ্ঞাসা করলে বলেন ওগুলো ভি,আই,পি যাত্রীবহনকারী গাড়ী ।
ঘুষ আজকাল খাচ্ছে সন্তানের সামনে বাবা, শ্বশুরের সামনে জামাই, মায়ের সামনে ছেলে এটি এখন খুবই সাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে । একজন সামান্য মুদী দোকানী থেকে শিল্পপতি সবাই এখন এক্ই গোত্রের । খেয়াল করে দেখবেন আপনার বাড়ীর পাশে মসজিদে নামাজে লোক ধরছে না, কোরবানীর বিলাসিতায় দেখবেন আয়ের চাইতে বেশী অনুপাতে খরচ করছে । মহাজন হাজী সাহেব রোজার আগে মাল মজুত করে দ্বিগুন লাবে বিক্রি করবে বলে......কারন তার আর একবার হজ্জে যাবার ইচ্ছে আছে ।
কারন গত হজ্জ পালনের পর অনেক পাপ জমে গেছে ।
দ্রষ্টব্য: ধর্মীয় খোচায় কারো আঘাত লাগলে হাতের কাছে ডেটল রাখবেন । কারন ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ বল্লে আমরা বেশী পরিমানে মুসলিম হয়ে যাই ।
" লেখাটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র প্রতি শ্রদ্ধায় রচিত''
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।