আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুষ্ঠু বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

চিকিৎসক শেজাদী আপসার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই অনুরোধ জানান।
পরিবারের অভিযোগ, ১৩ মে শেজাদীকে তাঁর সেনাকর্মকর্তা স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া শেজাদীর ভাই চিকিৎসক জাভেদ হোসেনের ভাষ্য, সেনাবাহিনী তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলার অপর তিন আসামি মো. শফিকুল ইসলামের ভাই মফিজউদ্দিন, বন্ধু আবুল বাসেত ও ইমদাদুল হক তালুকদার সোহেলকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।


সংবাদ সম্মেলনে শেজাদীর সহপাঠীরা ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে তাঁরা আন্দোলনে যাবেন বলে জানান।
প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া জাভেদ হোসেনের ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন সকাল সাতটায় একমাত্র ছেলে আহনাফ ইনতিসারকে টিফিনের খরচ দিতে শেজাদী তাঁর স্বামীর মানিব্যাগ থেকে ১০ টাকা নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে শেজাদীকে রড দিয়ে পেটান। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ছেলে তার মাকে মৃত অবস্থায় দেখে।


জাভেদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন শেজাদীর চিৎকারে প্রতিবেশী শামীমা আহম্মদ (স্বামী মেজর মনোজ) গিয়ে শফিকুল ইসলামের হাত থেকে আমার বোনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। ’
পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, বিয়ের চার বছরের মাথায় শফিকুল ইসলামের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা তাঁরা প্রথম জানতে পারেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনলে লাইবেরিয়ায় শান্তি মিশন থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে মৌখিক প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আবার লাইবেরিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আসার পর থেকে শেজাদীর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন শুরু করেন শফিকুল।

সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল টিকতে না পেরে শেজাদী ফিরে যান নিজ পরিবারে। ৭ মে শফিকুল ও তাঁর ভাই মফিজউদ্দিনের অনুরোধে আবার কুমিল্লার সেনানিবাসে ফিরে যান শেজাদী।
শেজাদীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা শফিকুলের পরিবারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। এমনকি শফিকুলের ভাই ও মা বিভিন্ন সময় শেজাদীর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এ ছাড়া মফিজউদ্দিন, শফিকুলের বন্ধু আবুল বাসেত ও ইমদাদুল হক তালুকদার সোহেল বিভিন্ন সময় শেজাদীকে মারধরে শফিকুলকে প্ররোচনা দিয়েছেন।


এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও শফিকুল ইসলামের পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.