প্রত্যেক নাস্তিক ও তার নিজস্ব নাস্তিকত্বে আস্তিক,যেমন সকল নাস্তিক ই বলে আল্লাহ নাই ভগবান নাই,আমরা বান্দর থেইক্কা মানুষ হইছি ইত্যাদি কিন্তু এইটাও যে নাস্তিকতার আস্তিকতা সেইটা কি তারা বুঝে!!
আজকে অফিসে আসার সময় এক বালক কে দেখলাম হাতে ঘুড়ি নিয়ে যেতে দেখে মনটা হারিয়ে গেল সেই ফেলে আসা সময়ে যেখানে আমি ছিলাম সেই বালক আর আমার হাতে ছিল সেই ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ির মধ্যে আমার কাছে সাদা রঙের ঘুড়িই ভাল লাগত। টিফিনের পয়সা থেকে জমিয়ে কেনা সুতো, সে সুতোয় কত কষ্ট করে মাঞ্জা দিতাম। মনে আছে টিউব লাইটের ভাঙ্গা গুড়ো অতি যতনে কাগজে মুড়ে মায়ের নজর থেকে লুকিয়ে রাখতাম। টিউব লাইটের ভাঙ্গা গুড়ো ভাতের মাড় আর মন চাইলে তাতে রঙ মিসিয়ে মাঞ্জা দেয়া।
একজন মাড় দেয়া কৌটা ধরত অন্য জন কাগজ দিয়ে কাচের গুড়ো শেষ মাথায় নাটাই দিয়ে সুতো গোছানো। মাঞ্জা দেয়ার পর ঘুড়ি উড়িয়ে সেই সুতা শুকানো। তারপর বিকেল হলে ঘুড়ি উড়িয়ে হিসেব রাখা কার ঘুড়ি কয়টা কাটা পড়লো। কে আজকের বিকেলের মহারাজা। আর ঘুড়ি যখন কেটে যেত তার পেছনে দৌড় কী এক আজানা টানে ছুটে চলতাম কেটে যাওয়া ঘুড়িটা ধরতে।
কেটে যাওয়া ঘুড়ি ধরতে ছুটতো অনেকেই কিন্তু শেষে তার মালিক হতো একজন ই। যে ঘুড়িটা আগে ধরত ঘুড়িটা তার ই। আজ কোথায় আমার সেই দিনগুলি আজতো নাটাই সুতো কেনার টাকা আমার পকেটেই কিন্তু কিনতে পারিনা। সেই সময়ের বড় অভাব।
আমার সন্তান কে আমি ঘুড়ি কিনে দেব কিনে দেব তার মনের নাটাই।
তারপর দুজন মিলে উড়াব ঘুড়ি। আমাদের স্বপ্নের ঘুড়ি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।