আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুড়ি

দিন তারিখ খেয়াল নেই। শুধু এটকু মনে আছে,চুলের সঙ্গে কুস্তি লড়ছিলাম। ঘানি ভাঙ্গা সরিষা তেল চুলের ডগা বেয়ে নামছিল বৃষ্টির ছাটের মতো। সেদিন চকচকে রোদ ছিল নাকি বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছিল তা মনে নেই। হাঁড়া কাপানো শীত,না ভ্যাপসা গরম-তাও বলতে পারবো না।

অনেক মনে করার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতোই উড়তে থাকলো প্রশুটা-প্রথম কবে স্কুলে গিয়েছিলাম ? কবে? এখনকার বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির এন্তেজাম শুরু হয় প্রায় বছরখানেক সময় হাতে রেখে। ফর্ম ডাউনলোড থেকে শুরু করে মা-বাবার পকেট এবং আইকিউয়ের পুলসিরাত টপকানোর ডন দিতে হয়তো,তাই। বাবা-মাও চেষ্টা করেন আরেকটু স্মার্ট হতে। অফিসের বসকে তারা বাঁ হাতে খেলান ,কিন্তু স্কুলে প্রিন্সিপ্যালের সামনে গেলেই হাঁটু কাপে।

ভাগ্যত্রক্রমে একবার যদি স্কুলগেট দিয়ে ঢোকার ছাড়পত্র মেলে, তখন দানা বাঁধে অন্য টেনশন। ‘আমার ছেলে সোনার ডিম পাঁড়া রাঁজহাস'-আপ্তবাক্যটি নিজমুখে ফেনা তোলার সঙ্গে বাকিদের দিয়ে বলানোরও প্রানান্ত চেষ্টা চলে। ব্যর্থ হলে,সোজা কাস টিচারের পায়ে গড় প্রণাম। কুড়ি বছর পিছিয়ে গেলে কি দেখবো ? মন্টেশ্বরী কিংবা কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে সেকেলে বাবা-মায়ের পরিচিতি ছিল না। হ্যাঁ,দ্বিতীয় শ্বন্ধটা জন্মেছিল,তবে ‘কেজি’ নামে।

কিন্তু এখনকার মতো নিজ রক্তবীজকে তারা কেউই ‘ফার্মের মোরগ/মুরগী বানিয়ে রাখতেন না। ‘আমার বাচ্চা আমার হলেও,আলাদা প্রাণ,এতটুকু সংযম ছিল তাদের। তাহলে ‘দখল’ শ্বন্ধটাই বুঝি কুড়ি বছর আগে-পরের মাঝের তফাত। রাষ্ট্রযন্ত্র চাইছে জনগনকে দখলে রাখতে। দর্শক বোতলবন্দী হচ্ছে গণমাধ্যমে।

বাবা-মায়েরাও বাগে আনতে চাইছেন তাদের সন্তানকে। তাই স্কুলে পা রাখার প্রথম দিনটি থেকেই কচি মনে মুখের হাতুরিতে চলে পেড়েক ঠোকা,'স্কুল ড্রেস ময়লা করোনা। তোমার বাবা-মায়ের পয়সায় কেনা। এই তোমার টিফিন। একা খেও।

’ আমাদের বাসায় এমন হাতুড়ি ছিল না। তাই ঠোকাঠুকি হয়নি। নানান রংয়ের সেই দিনগুলি কেটেছে ‘রাফে’র রাজ্যে। আচ্ছা...সেই বাদামী রংয়ের ‘ডন’ খাতাগুলো পাওয়া যায় এখনও ? মিহিদানার মতো ছোট ছোট পাতা ওল্টালেই সরলরেখার কাটাকুটিতে তৈরি বেশ কয়েকটি খোপ.... এখনো মেলে নাকি মুদি দোকানে? উড়ে এসে হঠাৎ জুড়ে বসলো প্রশ্নটা। বাচ্চা ছেলে-মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়নি কতদিন।

তাদের পেটফোলা স্কুল ব্যাগের ভেতরটায় উঁকি মেরে দেখা হয়নি.....তাই জানাও হয়ে ওঠেনি। পেটে আদর্শ খাদ্য পড়তে ভুল হয়েছে অনেকদিন। কিন্তু চৌকো খোপকাটা খাতাটি স্কুল ব্যাগে তুলে নিতে ভুল হয়নি কখনো। খাতার ওপর লেখা ছিল ‘অংক। ’ বিষয়টাকে কখনোই হজম করতে পারিনি।

কিন্তু চৌখুপি খাতাটির চৌকো দাগগুলো খুব ভাল লাগতো। কেমন দিব্যি কাটা-গোল্লা খেলা যেত,আলাদা করে ঘর কাটতে হতোনা। তবে অংকু করতে হতো একটু-আধটু। সেই সুবাদেই পাড়ার কোন এক বড়প্পির কাছে প্রথম শিখেছিলাম ‘রাফ’ ব্যাপারটা। অঙ্কর ডান দিকে স্কেল সোজা চেপে ধরে পেন্সিলের গাঢ় দাগে যে এলাকা তৈরি হতো সেটা ‘রাফ।

’ অর্থাৎ এটা হলো নেট প্র্যাকটিসের জায়গা। অঙ্কের ড্রেসিং রুম। বাঁ পাশে আসল ময়দান। সেখানে ক্যাচ ফেলার সুযোগ নেই। রাফের সঙ্গে আমার দোস্তির সেই শুরু।

ওই আলাদা পাড়াটায় লুকিয়ে নেমে পড়তাম যখন-তখন। তিতকুটে অঙ্কের রাজ্য থেকে টুক করে জমি কেটে নিয়ে ওই যে ইচ্ছেখুশির দেদার চাষ- এই ব্যাপারটাই আমার দিব্যি লেগেছিল। রাফ করতাম অল্পই, বেশিরভাগ সময়েই এঁকে চলতাম রেলগাড়ি, রাস্তাঘাট, পাহাড়, গাছপালা... আরও কত কী। ওটুকুই ছিল আমার কল্পনার জঙ্গল, যাচ্ছেতাই-এর উর্বরভূমি। দেখতে দেখতে আমার ওই বয়েসের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে উঠল ওই একফালি লম্বা জমিটুকু।

কেবল অঙ্ক নয়, ওই বয়েসে সবকিছু থেকে বাঁচতে আমি পালিয়ে ঢুকে পড়তাম ওর ভেতরে। চট করে একটা স্কেল বের করে সোজা লাইন টেনে- ঝপাস! ব্যস। নিশ্চিন্ত। সেই আশ্চর্য খাতাগুলো কি এখনো পাওয়া যায় ? জানা নেই আমার। যদি পাওয়া যায়, ভেবেছি, আবার কিনে আনব।

আমার জীবনের অঙ্কগুলো তো ঠিকঠাক মিলল না, সত্যি বলতে কী, বাঁদিকের অঙ্ক-এলাকায় আজও হাত খুলে নেমে পড়তে পারিনি। বরং উল্টো গোটা জীবনটাই দিব্যি ডুব মেরে আছে ডানদিকের লম্বা রাফ-পাড়ায়। সেখানে আজও আমি ইচ্ছেমতো এঁকে চলেছি আমার যাচ্ছে-তাই ব্যাপারস্যাপার। শালগাড়িয়া গোডাউন পাড়ায় থাকতাম। পাড়ার নাম বটতৈল।

এখনকার মতো ইট-কাঠের রাজ্য তখনও গড়ে ওঠেনি। ব্যস্টøতার রাজ্যেও ঢুকে পড়েনি মানুষজন...তাই মাঝচৈত্রে মোড়ের পাশে বুড়ো বটপাতার মর্মর ধ্বনি শোনার মতো সময় ও অনভূতি দুটোই তাদের ছিল। দোতলা বাড়ির বিশাল বারান্দাটা ছিল আমার দখলে। স্যারের সই নকল করে স্কুল কামাই দিতে পারলেই,চটি হাতে হাঁমাগুড়ি ক্রিকেট চলতো দোতলা বারান্দায়। গোলাকার কচু-ঘেচু কিংবা সুপারীকে বল বানিয়ে তা আছড়ে ফেলতাম কাঁচের বাসন-কোসনের গ্যালারীতে।

আর মনে মনে অপেক্ষা করতাম সন্ধ্যে হওয়ার। ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে গোধূলী বেলায় কালিদাস স্যারের বাসায় যেতাম অঙ্ক কষতে। সন্ধ্যে লাগোয়ো হলেই বাবা গিয়ে নিয়ে আসতেন। কাঁচা-পাকা রাস্তাটা ধরে একটু এগুলেই ‘বইপোকা। ’ না শুয়োপোঁকা নয়,দোকান।

শতচ্ছিন্ন মলিন কাপড়ের মতো তালপাতার বেড়ায় ছাওয়া সে দোকান। তারই মাঝে কেঠো টুলে বসে থাকতেন একজন। কুতকুতে চোখে মোটা লেন্সের চশমা,তেঁতুল বিচির মতো দাত। ঠোঁট ভাজ করলে শদন্ত বেরিয়ে থাকতো। বন্ধুদের কাছে তিনি সিন্দাবাদের ‘কেহেরমান।

’ কিন্তু আমার কাছে ‘আইডল। ’ প্রতি সন্ধ্যায় পিলসুজে আলোয় সাজানো বইপোকায় ঢুঁ মারতেন বাবা। কেহেরমানের সঙ্গে আড্ডা দিতে। বাবার কনিষ্ঠা ধরে আমিও ঢুকতাম। থরে থরে সাজানো আশ্চর্য পাতার রাজ্যে তাকিয়ে থাকতাম ক্ষুধার্ত চোখে ।

সেখানে বসত করতো টিনটিন,চাচা চৌধুরি, হাকলবেরি ফিন,টমসয়্যার,পাগলা দাশু,টেনিদা,জ্যাক লন্ডন,রবার্ট লুই স্টিভেনসন। তাদের রুপ-রং-রসের কথা ভেবে কত অলস স্কুল-কামাই দুপুর কেটেছে আমার। বাবা যখন আড্ডায় মশগুল,সেই ফাঁকে আমি যতটুকু পাড়ি পড়ে নেয়ার চেষ্টা করতাম। এই সুযোগটা কেহেরমান নিজেই করে দিতেন। তিনি জানতেন,প্রতি সপ্তায় ওইসব সর্বনাশাপাতা কিনে দেয়ার মতো অবস্থা নেই বাবার।

অথচ আমার পড়বার আকুল ইচ্ছেটা উনি খুব পছন্দ করতেন। তাই বাবার আড্ডার ফাঁক গলে আমি ঢুকে পড়তাম গোয়েন্দা টমসয়ায়ের রাজ্যে। ছুঁয়ে আসতে পারতাম কঙ্কাল দ্বীপের খুলিগুহা। মাঝেমধ্যে আমার আইডল বাবাকে বলতেন,‘কিনে নিন না ভাই একটা বই?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বই নামিয়ে রাখতাম । ছোট হলেও বুঝতাম, বাবা পারবে না এখন।

আর সেই না-পারাটা আমার কাছে তিনি মেলে ধরতে পারবে না। বইগুলো তাই রেখে দিতাম। টোষ্টেষ্টরেন বাড়ার মাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারপর অনেক পথ হেঁটেছি। এখনও হাঁটছি। কিন্তু আজও চোখ বুজলে সেই পিলসুজে বইপোকাকে আমি জীবন্ত অনুভূতিতে ছুঁয়ে দেখি।

দর্জিবাড়ি ফুলপ্যান্টের মাপ দেয়ার আগেই সাইকেল দেখলে চোখ চকচক করতো। প্যাডেল চাপলেই গতি। স্বপ্নে দেখা বাবার গাড়ীটার মতো। সাইকেলের সিটে ওঠার আগের দিনগুলোতে কি পাগলামিই না করেছি। একদিনকার কথা-বাবা জরুরী কাজে বাইরে।

আমাকে বাজারে যেতে হবে। কিন্তু সাইকেল ছাড়া আমার পা নড়বে না। যদিও সিট ছুঁতে পারতাম না। তাই ফন্দি এঁটে চাকার বাতাস দিলাম ছেড়ে। তারপর ঠেলে নিয়ে বাজারে গেলাম।

পথিমধ্যে অনেকে জিজ্ঞেস করলো-কিরে টুকুন,সাইকেল ঠেলিস ক্যান ? আমি বললাম-চাকা ফুট্টুস,পাম দেওয়া লাগবি। ’ গিনেসের পাতায় কি ছাতা হারানোর কোন রেকর্ড আছে ? না থাকলে,আমি একবার চেষ্টা করে দেখতাম। সাইকেল বগলদাবা করার সঙ্গে আমার এক্তিয়ারে ছাতাও এসেছিল। তখন গুটিয়ে শুটুয়ে এত ছোট্ট করে ফেলা যেত না তাকে, বেশ বড়সড় হয়ে ব্যাগের ভেতর থেকে আধপোড়া আধভেজা মুখ উজিয়েই থাকত। কিন্তু বেঢপ সেই ছাতার সঙ্গে দিব্যি মিতালি পাতিয়েছিলাম।

বন্ধুদের সঙ্গেও তার বিস্তর আলাপ পরিচয় ছিল। ফেরার পথের প্রবল বৃষ্টিতে প্রায় পুরোটাই ভিজিয়ে দিয়েও তার যে না-ভেজানোর চেষ্টা,সেটা খুব পছন্দ হতো। কিন্তু খুব বেশিদিন সইল না। হারালাম তাকে। বোধহয় কোন সিনেমা হলে মনভুলে হাফটিকেটের সিটে রেখে এসেছিলাম।

সেই শুরু। তার পর থেকে থামিনি। নানা রঙের ছোটবড় কত ছাতা হারিয়ে ফিরেছি কত কত জায়গা থেকে। তার ইয়ত্তা নেই। অবশ্য কেবল ছাতাদের আর হারিয়েছি কই।

সেই সব কাঁচা হলুদ বয়সের রোদ মেঘ বৃষ্টিও তো হারিয়েছি। হারিয়েছি কত কারণে অকারণে কত আড়ালের গল্প। হারিয়েছি এক ছাতার তলায় বয়ে চলা একের পর এক সম্পর্কদের। আমার হারিয়ে খোঁজা ছাতার মতোই তাদেরই একজন শুভ। প্রথম যৌবনে আমি আর শুভ,শুভ আর আমি।

প্রতিদিন বিকেলে দেখা হতো। আসলে দেখা করে নিতে হতো। সারাদিন লুকিয়ে থাকতাম যে যার বাড়িতে। সল্পেব্দ্য হলেই ছন্মবেশ নিয়ে টো-টো। বাইরের পৃথিবীটা, দিনের আলোয় যে পৃথীবিটা ঝলমল করছে, সেটা বিস্বাদ মনে হত আমাদের।

যে-পৃথীবির রঙচঙে বাসে লাইন দিয়ে উঠে মনোরম সব অফিসের দিকে ছুটে চলেছে ফিটফাট ছেলেরা মেয়েরা, সে-পৃথিবীকে আমরা সমীহ, ভয় এবং হ্যাঁ, হয়তো কিছুটা ঘৃণাও করতাম। কারণ আমাদের তখনো চাকুরী জোটেনি। সারাদিন খোপে থেকে সন্ধ্যে হলে বেরিয়ে পড়তাম। অল্প একটু সাহস কোত্থেকে যেন জুটে যেত। শুভ আমার চেয়ে ভাল ছাত্র ছিল।

সুঠাম দেহের অধিকারি। তাই শুভকে দেখে স্বস্তির ট্যাবলেট গিলতাম। ভাবতাম,ওর মতো মাখনরঙা চেহারা এবং দস্তুর শরীর চাকুরী না পেলে আমার মতো হ্যাঙ্গারের চাকুরী নিয়ে ঘুম কাবার করা অর্থহীন। এইভাবে কতগুলো সন্ধ্যে কেটেছিল, তা নিয়ে কোনও বই লেখা হবে না। এমন সন্ধ্যে আমাদের দেশের কোটি কোটি যুবক-যুবতী পার করে, আমরাও তাদের মধ্যে দু’জন।

বেশ কিছু বছর কেটে গেছে তারপর...দুজনের বাবাই গত হয়েছে, আমাদের রাগ আর বিকেলের রোদ, দুটোই পড়ে এসেছে। জীবন শেষমেশ আমাদের দিয়ে চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে, একরকম চলে যাচ্ছে দু’জনেরই। দিনের পর দিন,সন্ধ্যে পর সন্ধ্যে আর আমাদের দেখা হয় না। যদি বা হয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনও শহুরে ক্যাফেতে। ঠোঁট ব্যস্ত থাকে কফির পেয়ালায়।

আজও সেই চুড়ান্ত রকমের হতাশ দুজনে। কেবল হতাশার কারণটা ঘুরে গেছে ৩৬০ ডিগ্রি-জীবনের সেরা সময়টা আমরা চাকরির ঘানি টেনে কাটিয়ে দিচ্ছি। ক্ষুদার্তের কালেভদ্রে অন্যের খাওয়া দেখে শান্তি পাওয়ার সান্তনা এটাই যে,আমার রেখাচিত্র একটি বিশাল সমাজের খন্ডকাব্য। কিন্তু আমি তো শুধু জানতে চেয়েছিলাম,প্রথম কবে স্কুলে গিয়েছিলাম ? মা বলতে পারলো না। বললো সেটুকুই,যেটুকু আমার মনে ছিল।

স্কুলে ছাত্র কম,বিধায় মার্বেল খেলা থেকে ‘কিডন্যাপ’ করে তিনি আমাকে নিয়ে যান স্কুলে। সেই স্কুলের ফসিলটুকুও এখন অবশিষ্ট নেই। ছন-নারকেলে ছাওয়া দোচালাটির জায়গায় এখন দিব্যি সংসার করছে দো-পেয়েদের বহুতল কবুতর খোপ । তবু ওই গলিটায় ঢুকতেই মনে পড়ে গেল,আমার চোখের জল-নাকের জল এক করার উত্তরে মা-র বলা একটা কথা, ’খবরদার স্কুলে গিয়ে আম্মু আম্মু করবেনা পাশে পাশে ঘুর ঘুর করবে না। সেখানে আমি কিন্ত তোমার শিক্ষক।

’ বাড়ি ফিরে দেখলাম, মা শুয়ে আছে। কোটরাগত চোখটা বোঁজা দেখে আর ডাকলাম না। শুধু আলতো করে কপালে হাতটা রাখলাম । ভাবলাম.....নাটাইয়ের সুতো ছেড়েছিলে বলেই কি কখনো কাটা পড়িনি ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।