মোস্তফা জব্বার তার বাগাড়ম্বতায় সবসময়ই ধরা খায়। কিন্তু সেটা হয়তো সে বুঝতেও পারে না। যেমন পাগলে বুঝে না যে সে পাগল।
কাগুরে বাশ দেওয়ার জন্যে একটা ছবির আমদানী দেখলাম (সংযুক্ত)
ছবিটা দেখে অনেকেই উল্লসিত কাগুর কাপড় খুলে গেছে দেখে। কিন্তু আমি রীতিমতো হতাশ হয়ে গেলাম আমাদের সততার চিত্র দেখে।
সব সেক্টরেই সততা একটা বিশাল ফ্যাক্টর ব্যবসা ধরে রাখার জন্যে। এটা মাত্র একবারই হারানো যায়। পারালে আর ফেরত পাওয়া যায় না।
বেতন ভুক্ত প্রোগ্রামার হিসেবে কোনো সফটওয়্যারে যদি গোপনে ইস্টার এগ ম্যাসেজ বা ব্যাকডোর খুলে রাখাহয় ভবিষ্যতে হ্যাক করার জন্যে সেটা নিঃসন্দেহে চরম অসৎ মনোবৃত্তির পরিচায়ক। যে কাজটা সংযুক্ত স্ক্রীনশটে আমরা দেখতে পাই।
আর বিভিন্ন মিডিয়ায় এটার ব্যাপক প্রচার কাগুর কাপড় খোলার সাথে সাথে প্রোগ্রামার হিসেবে আমাদেরও কাপড় খুলে রেখে যায়।
শেষে একটি ঘটনার কথা বলি। সিসটেক লিমিটেড একটি মেডিক্যাল কোম্পানীর জন্যে একটি সফটওয়্যার তৈরী করে দেয়। (সফটওয়্যার প্যাকেজ তারা আগেই তৈলী করে রেখেছিলো, শুধু কাস্টমাইজ করে দেয়)। কাজ আগানোর এক পর্যায়ে কোম্পানী কাজের অর্ডার বাতিল করে।
পরে জানা যায় ঐ মেডিকেল কোম্পানী ৫০% কম খরচে একই সফটওয়্যার পেয়ে গেছে। বলেন তো কারা সাপ্লাই দিয়েছিলো? হ্যা, সিসটেকেরই এক বেতনভুক্ত ডেভেলপার। (পরে তার চাকরি যায়)। এরকম ঘটনা অহরহই ঘটছে , তবে সবগুলোর পিছনের ঘটনা হয়তো আমরা জানি না।
স্ক্রীনশটটি দেখে মনে হলো আসলেই আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
এক মোস্তফা জব্বারকে আমরা চিনি, তাকে এড়িয়ে চলতে পারি। কতশত মোস্তফা জব্বার আমাদের আশেপাশে ঘাপটি মেরে আছে তাদের হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পাবো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।