বিডিআর ঘটনার পরে টক শো শুনে এবং পত্রিকা গুলি পড়ে মনে হত সরকার খুবই বলদ। এছাড়া সবাই খুবই বুদ্ধিমান। পাড়ার কলিমুদ্দিন কে দায়িত্ব দিলে সেও অনেক ভালো সমাধান করতো। মাসুদ রানা অথবা জেট লি এর মত কোন এজেন্ট পিলখানায় গিয়ে সব বিডিআর মেরে ফেলে সব জিম্মি উদ্ধার করে রাইফেল স্কয়ারে গিয়ে হট ডগ খেতো।
যাই হোক এ সম্পর্কিত একটি লেখা যৌক্তিক মনে হল বলে আপনাদের মুল্যবান মতামতের জন্য পোষ্টটি দিলাম।
বিডিআর বিদ্রোহ মোকাবিলায় শেখ হাসিনার মনস্তত্ত্ব এবং কৌশল সম্পর্কে আমার উপলব্ধি
নাঈমুল ইসলাম খান:
বিডিআর বিদ্রোহ সামলাতে সরকার কী করেছে সেটা সম্পর্কে ক্রটিমুক্ত বিশ্লেষণ দূরূহ। বিশেষত সাংবাদিকতায় নিয়োজিত আমরা মিলিটারি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রাখি না, তারপরও সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চলাফেরায় যেটুকু ধারণা হয়েছে এবং সাধারণভাবে যেকোনো পরিস্থিতি বিশ্লেষণের যে সীমিত যোগ্যতা আমাদের রয়েছে সেটাকে ভরসা করেই আমরা আন্তরিক সততায় পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তথা বিডিআর সংকট মোকাবিলায় সামরিক সমাধান সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছিলেন এ ধারণা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি হয়তো সম্পূর্ণ এককভাবে মিলিটারি লাইন অব অপারেশন-এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেননি, এর পরিবর্তে মিক্সড মেথড নিয়েছিলেন যেখানে একদিকে সেনা-বিমান ও কমান্ডো বাহিনীর যৌথ প্রস্তুতি জোরদার করে বিডিআর বিদ্রোহীদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়ে তাদেরকে সমঝোতায় বাধ্য করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এসবের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতার সংলাপ ও মিডিয়ার ভূমিকা নিজেদের অনুকূলে আনতে একইসঙ্গে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
পিলখানার ঘটনা অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ সেনাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করে সামরিক বাহিনীকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং সেই মোতাবেক যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনী পিলখানার কাছাকাছি তাদের অবস্থানও নিয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী তো অন্ধের মতো পিলখানায় ঝাঁপিয়ে পড়লে হতো না, যেকোনো যুদ্ধে আক্রমণ করার তো কিছু কায়দা-কানুন আছে, নীতিমালা আছে। প্রতিপক্ষের অবস্থান, তাদের শক্তি-সামর্থ (ফায়ার পাওয়ার) এবং মনস্তত্ত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে তবেই আক্রমণের পরিকল্পনা করতে হয়। আমি যতদূর জানতে পেরেছি পিলখানায় বিডিআরের অস্ত্রশক্তি ছিল এরকমÑ ৫,০০০ রাইফেল, ৫০০ এসএমজি, ৪০০ এলএমজি, ২৪টি মেশিন গান, ২৪টি রিকয়েললেস রাইফেল, ২৪টি ৮২ মিলিমিটার মর্টার, ৬০টি ৬০ মিলিমিটার মর্টার, ৪টি আর্মাড পার্সনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), ৭০০০ গ্রেনেড এবং শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
অস্ত্র ছাড়াও তাদের হাতে জিম্মি ছিল আনুমানিক ৩০ জন সামরিক অফিসারের পরিবার।
এছাড়াও বিডিআরের ১০০ জন জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যদের পরিবার। একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টার অবস্থিত হওয়ার সেখানে যেকোনো আক্রমণ চালাতে সবার আগে নির্দিষ্ট পরিমণ্ডল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য ও কৌশলগত অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা করেই সাধারণত কোন মাপের অপারেশন হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় (লেভেল অব অপারেশন)। প্রতিপক্ষ যদি এক প্লাটুন হয় আক্রমণের জন্য দরকার হবে একটি কোম্পানি। আবার প্রতিপক্ষ যদি হয় একটি কোম্পানি তবে তাদের উপর আক্রমণ চালাতে লাগবে ব্যাটালিয়ন।
অর্থাৎ প্রতিপক্ষ ১ জন হলে আক্রমণের জন্য দরকার কমপক্ষে ৩ জন, এ হিসাব মেলানোও ছিল জরুরি। এসব হিসাব মেলাতে ও প্রয়োজনীয় রিইনফোর্সমেন্ট নিতে প্রয়োজন ছিল সময়ের।
বিডিআরের বিদ্রোহ কেবলমাত্র ঢাকার পিলখানায় সীমিত ছিল এ ধারণাও সঠিক নয়। দেশের প্রায় ৪৮টি বিডিআর কেন্দ্রে এবং সীমান্ত এলাকায় যে অসংখ্য বিডিআর আউট পোস্ট (বিওপি) তাদের মধ্যেও স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া টের পাওয়া গেছে এবং পিলখানার উপর আক্রমণ করা হলে সারা দেশে ছড়ানো ৬৮ হাজার বিডিআর কী প্রতিক্রিয়া দেখাতো সেই আশঙ্কাও সরকার ও সেনাবাহিনীকে হিসাব কষতে হয়েছে। সীমান্তে বিডিআর আউট পোস্ট-এ যেকোনো হিংসাত্মক ঘটনা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জন্য উস্কানিমূলক কিছু হয়ে যেতে পারত, তাই ঢাকায় বিডিআরের উপর সর্বাত্মক আক্রমণ সারা দেশে গৃহযুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করতে পারত, এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতেরও যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়ে যেতে পারত।
আরেকটা বিষয় আমাদের বিবেচনায় আনতে হবেÑ বিডিআরের ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে কিছু সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ওয়ান ইলেভেনের কারণে সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু যৌক্তিক এবং আরো কিছু অযৌক্তিক বিরূপ মনোভাব ছিল। বলা যায় সেই মনোভাব আরেকটু খারাপ হয়ে যায় নতুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যাওয়ার পর। সংসদের ভেতরে-বাইরে এমনকি টিভির টক-শোতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সেনাবাহিনীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সেই সময় এই তীব্র নেতিবাচক মনোভাবের বারুদে আগুন দেয়ার মতোই বিডিআর জওয়ানদের সেনাবাহিনী-বিরোধী অভিযোগগুলো যেভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে এবং টক-শোগুলোতেও কিছু কিছু আলোচক যেরকম বক্তব্য বিশ্লেষণ করেছিলেন তাতে বিদ্রোহী বিডিআরদের পক্ষে একটি ব্যাপক তাৎক্ষণিক জনমতও তৈরি হয়ে যায়। এটাই পুরো ২৫ ফেব্র“য়ারির বাস্তবতা, অনেকখানি ২৬ ফেব্র“য়ারিরও।
আমাদের সতর্কভাবে মনে করে দেখতে হবে যে, ২৬ ফেব্র“য়ারি অপরাহ্ন থেকে সরকারি সমঝোতা প্রয়াসের ফলে জীবিত জিম্মি অফিসার ও অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি পরিবার মুক্ত হয়ে আসার পর তাদের দেয়া ঘটনার বিবরণ এবং অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের খবরাখবর প্রচারিত হওয়ার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে দেশের মানুষের সহানুভূতি সেনাবাহিনীর পাল্লায় বাড়তে শুরু করে।
সেই সহানুভূতি ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে এখন দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর প্রতি ব্যাপক সমর্থন সৃষ্টি সম্ভব করেছে। সুতরাং আজকে সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের মনোভাবের বাস্তবতায় ২৫ ফেব্র“য়ারির বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীতই বলা যেতে পারে।
সরকার সেনাবাহিনী তথা সামরিক পদক্ষেপের চিন্তা সবসময়ই সক্রিয় কার্যক্রমে প্রস্তুত রেখেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় পিলখানার আশপাশে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে ক্রমাগত। একসময়ে এপিসি যোগ হয়েছে, ট্যাঙ্ক এসেছে, কমান্ডোদের তৈরি রাখা হয়েছে, বিমান বাহিনীকেও প্রস্তুত করা হয়, এমনকি ২৬ ফেব্র“য়ারি বিডিআরের আশপাশের এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
একদিকে সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য পর্যাপ্ত সামরিক শক্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকার অন্যান্য প্রচেষ্টাও গ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি ছিল সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ও সংলাপের ভেতর দিয়ে জিম্মি দশা থেকে অনেককেই মুক্ত করে নিয়ে আসা, কিছু অস্ত্র সমর্পণ এবং চূড়ান্ত অস্ত্র সমর্পণের জন্যে ২৬ ফেব্র“য়ারির প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও ছিল চূড়ান্ত সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা (হুমকি)। এ সবই চলেছে পাশাপাশি।
এ সময় সরকার ও সেনাবাহিনী আরো একটি প্রচেষ্টা নিয়েছিল সেটা হলোÑ মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা সামাল দিয়ে সেটা পাল্টাতে চেষ্টা করা। ব্যাপক মানুষের মনোভাব সেনাবাহিনীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও ইতিবাচক করাও ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার যদি সাধারণ মানুষের মনোভাব তোয়াক্কা না করে, বিডিআরের শক্তির হিসাব-নিকাশ না করে ভেতরে জিম্মি অফিসার ও তাদের পরিবারের জীবিতদের গুরুত্ব না দিয়ে আশপাশের বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে অন্ধের মতো, বস্তুত বোকার মতোই ঝাঁপিয়ে পড়তো তখন একদিকে ভেতরে অবশিষ্ট অফিসার ও তাদের পরিবার যেমন মুহূর্তেই জীবন হারাতেন তেমনি সেনা কর্মকর্তাদের এই মৃত্যুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আক্রমণকারী সেনাবাহিনীও যখন দেখত বিডিআর জওয়ানের গুলিতে তার সহকর্মী ধরাশায়ী তখন আর আক্রমণকারী সেনাবাহিনীকেও সুস্থভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না। তারাও হয়তো বেপরোয়া আক্রমণে নির্বিচারে, ঢালাওভাবে হত্যা করতেন হাজারো বিডিআর সৈনিককে। এর পারস্পরিক উš§ত্ততায় নিহত হতে পারত শত শত বেসামরিক নাগরিক, পঙ্গু অথবা আহত হতেন হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষ।
এই যদি হতো ঢাকার অবস্থা আমরা কীভাবে কল্পনা করতে পারি যে ঢাকার বাইরে ৪৮টি বিডিআর ক্যাম্প ও অসংখ্য বর্ডার আউট পোস্ট-এ বিডিআর জওয়ানরা অফিসার-নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় নির্বিকারভাবে নিষ্ক্রিয় থাকতেন আর যদি তারা সক্রিয়ই হতেন তাহলে পুরো দেশের অবস্থা কী হতো? ৬৮ হাজার বিডিআর সেনার সঙ্গে ভ্রাতৃঘাতী ব্যাপক যুদ্ধে লিপ্ত হতো দেড় লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী। এর সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকের জীবনের খেশারত যেত কত সেটা তো হিসাব করতেও ভয় হয়।
২৫ এবং ২৬ ফেব্র“য়ারি জনমনে বিডিআরের প্রতি যে সহানুভূতি এবং সেনাবাহিনীর প্রতি যে সমালোচনামূলক মনোভাব তেমন অবস্থায় পিলখানায় আক্রমণ হলে সেনাবাহিনীর পক্ষে মনোভাব ফিরে আসা হয়ে পড়তো প্রায় অসম্ভব। বিডিআরের প্রতি সহানুভূতি হতো আরো দৃঢ়মূল বিশ্বাসের পর্যায়ে। সেনাবাহিনীর ব্যাপারে সমালোচনা গড়াতো বিদ্বেষে। এর চেয়ে জাতীয় অকল্যাণ আর কী হতে পারে।
টেলিভিশনের আলোচক, রাজনীতিক এমনকি কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা যারা মনে করেন বিডিআরের উপর আক্রমণ করে ১০ মিনিটে এই বিদ্রোহ শেষ (ক্রাশ) করে দেয়া যেত, তারা কি এর বহুমাত্রিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিন্তা করে দেখেছেন? ২৫ ফেব্র“য়ারি বিডিআর সেনারা মিডিয়ার সমর্থনপুষ্ট হয়ে মনোবলে ছিল তুঙ্গে।
আশপাশের এলাকায় তাদের সমর্থনে মিছিলও হয়েছে। এই দিন বিকেল থেকেই কেবল তারা উপলব্ধি করতে শুরু করে যে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না আর তখন থেকেই তারা একাধারে লাশ মাটি চাপা দেয়া, সমঝোতা করা এবং পালানোরও পথ নিতে শুরু করে। তাই ২৫ তারিখ দ্বিপ্রহরের মধ্যে তাদের জওয়ানি জোশ বা ‘তেজি’ মনোভাবের মধ্যে তাদের উপর আঘাত করলে তারাও মারাত্মক ও সর্বাত্মক প্রত্যাঘাত করতো বলে ধরে নেয়াই যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে সামরিক ও বেসামরিক বিশ্লেষকরা সম্ভবত ভুল হিসাব কষছিলেন। এছাড়া এখন আমরা যতদূর জানতে পেরেছি পিলখানায় যে কয়জন অফিসার হত্যা করা হয়েছে সেটা ২৫ ফেব্র“য়ারি দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই।
আর এই সর্বাত্মক আক্রমণ যদি করতেই হতো সেটা ২৫ তারিখ অপরাহ্নের আগে করার কোনো যথাযথ ও নিয়মমাফিক প্রস্তুতি সেনাবাহিনীর পক্ষে নেয়া সম্ভব ছিল কিনা সেটাতো একটা বিরাট প্রশ্ন।
সেই দ্বিপ্রহরে মিলিটারি যদি আক্রমণে যেতেও পারত, তাহলে আমরা কী সফলতা পেতাম? আমরা যে ৩৫ জন অফিসার জীবিত পেয়েছি তাদেরকেও হয়তো পেতাম না। সকল সেনা কর্মকর্তার পরিবার-পরিজনকেও জীবিত পাওয়া যেত না। তার সঙ্গে যোগ হতো আরো ১০০ বিডিআর কর্মকর্তার পরিবার, অনিশ্চয়তায় পড়তো পিলখানার আশপাশের বেসামরিক জীবন। তারা মারা যেতে পারতেন শয়ে শয়ে।
প্রায় নিশ্চিতই মারা পড়তেন শত শত বিডিআর বিদ্রোহী এমনকি সেনাবাহিনীর পক্ষেও এই অপারেশনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই মারা যেতে পারতেন। সারাদেশ জড়িয়ে পড়তো এক ভয়ঙ্কর ভাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধে। আর সর্বোপরি সাধারণ মানুষের বিচারে দীর্ঘকাল আসামির কাঠগড়ায় থেকে যেত সেনাবাহিনী। সহানুভূতি ও সমবেদনা থাকত কেবলই বিডিআরের জন্য। তারাই হতেন ট্র্যাজেডির হিরো।
আল্লাহ আমাদের সহায় ছিলেন। আমরা সকল মৃত্যু ঠেকাতে না পারলেও হতাহতের সংখ্যা সীমিত রাখতে পেরেছি। অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার ভেতর দিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করে অনেক উঁচুতে অধিষ্ঠিত করতে পেরেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।