যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
বার্লিনে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার আগে বার্লিনের কিছু ইতিহাস না লিখলেই নয়। ১২৪৪ সালে প্রথম বার্লিন সমন্ধে জানা যায়। প্রথম একটি লেখায় মানুষ জানতে পারে বার্লিন নামের একটি স্থানের অবস্থান।
১৪৫১ সালে 'হোহেনজোর্লান' পরিবার বার্লিন নগরীকে নিজেদের সাম্রাজ্যের অধিনস্ত একটি নগরী বলে দাবী করেন এবং পুরো পরিবার নিয়ে বার্লিনে বসবাস করতে শুরু করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, 'হোহেনজোর্লান' পরিবার ছিল প্রুসিয়ার (বর্তমান পোল্যান্ডের একটি প্রাচীন নগরী) সম্রাট পরিবার।
এই পরিবারটি বার্লিনকে নিজেদের অধিনস্ত করে নেয়। আরেকটি বিশেষ দিক সমন্ধে উল্ল্যেখ না করলেই নয়, যে পোল্যান্ড রাষ্ট্রের দূরত্ব বার্লিন থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফিরে যাই পুরোনো ইতিহাসে: ১৬১৮ -১৬৪৮ (৩০ বছর) পর্যন্ত জার্মানির অভ্যন্তরে যুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধ ছিলো ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলোর মাঝে ধর্মযুদ্ধ। প্রতিটি দেশে খ্রীষ্টান ধর্মের দুটি বিশেষ গোষ্ঠীর (ক্যাথলিক ও প্রোটেসস্টাইন) মাঝে চলছিল এই যুদ্ধ।
যে যুদ্ধের একটি শক্তি ছিলো রোমান সম্রাজ্ঞীগণ, রাজা ফারদিনান্দ (||| বা ৩য়) এবং হাবসবুর্গ। আর বিপক্ষ শক্তি ছিলো জার্মান,স্পেন, ফ্রান্স এবং সুইডেন। এ যুদ্ধের ক্ষতির পরিমাণ যে কত তা হিসাব করে দেখানো যাবেনা। তবে এ যুদ্ধের পর বার্লিনে মাত্র ৬ হাজার মানুষ জীবিত ছিলো। ১৭০১ সালে বার্লিন হয়ে যায় প্রুসিয়ার রাজধানী।
১৭০৯ সালে প্রতিবেশী শহর ক্লুনকে (কোলন নয়) জুড়ে দেয়া হয় বার্লিনের সাথে। নতুন করে সাজানো হয় বার্লিনকে। ১৮০৬ সালে ফ্রান্সের রাজা নেপোলিয়ান বোনাপারটের সৈনিকদল বার্লিনে চলে আসে। ১৮৭১ সালে সমগ্র জার্মান সাম্রাজ্যের রাজধানী বনে যায় বার্লিন।
১৯২০ সালে পুরোনো বার্লিনের সাথে জুড়ে দেয়া হয় আরো কিছু প্রতিবেশী শহর।
বার্লিন হয়ে যায় 'গ্রেটার বার্লিন'। যার মানে বাংলায় দাড়ায় বিশাল বার্লিন সাম্রাজ্য। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনে চারভাগে ভাগ করে নেয় রাশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স। ১৯৪৯ সালে জার্মানিকে দুইভাগে ভাগ করার পর বার্লিনকেও দু-টুকরা করা হয়। যার একটি অংশ পশ্চিম বার্লিন এবং অন্যটি পূর্ব বার্লিন নামে পরিচিত।
১৯৬১ সালে বার্লিন প্রাচীর তৈরী করা হয়। যা দুই জার্মানির ভাগকে আরো প্রকট করে তুলে। ১৯৮৯ সালে ভেঙে ফেলা হয় বার্লিন প্রাচীর। দুই জার্মানির বিভেদ মিটে গেলে ১৯৯০ সালে আবারো বার্লিনকে করা হয় সমগ্র জার্মানির রাজধানী।
চলবে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।