যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
শৈশব থেকে বার্লিন শহর সমন্ধে পড়েছি অসংখ্যবার। কতযে ইতিহাস আর কতযে কল্পকথা জড়িয়ে আছে এই বার্লিনে তা গুনে হিসাব করা যাবেনা। এই কৃষ্টি, শিল্প আর জাদুঘর রয়েছে এই নগরীতে ঢাকা শহরে বসে শুধু পড়ে বোঝার উপায় নেই। সেই শৈশবের স্মৃতিতে গাথা শিল্প-সাহিত্যের নগরী বার্লিন শহরে যখন দাড়ালাম আমি অভিভূত।
জার্মানির রাজধানী বার্লিন।
শুধু তাই নয় বার্লিন জার্মানির সবচেয়ে বড় শহর। ২০০৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বার্লিন নগরীতে ৩৪ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। বিশ্ব অর্থনিতীতে ধ্বস নামার ফলাফল অনুসারে, বার্লিন শহরে ২০% মানুষ বর্তমানে বেকার। যার মানে এই দাড়ায় প্রতি ৫ জনে ১ জন বেকার।
বার্লিন শহরটি জার্মানির পূর্বদিকে অবস্থিত।
বার্লিন নগরীর ওপর দিয়ে বয়ে বয়ে চলেছে হাভেল, ঢাহমে এবং স্প্রে নদী। অগণিত স্থাপত্যে ঘেরা এই নগরীর যেদিকে চোখ মেলে তাকানো যায় শুধু বিস্মিত হতে হয়। এ শহরে অনেক বিখ্যাত ভবন, স্থাপত্য আর জাদুঘর রয়েছে যেগুলো দেখতে হলে কমপক্ষে ২ মাস সময় বার্লিনে অবস্থান করতে হবে। এরইমাঝে জিগেসাওলে ( বিজয়ের নিদর্শনধারী মুর্তি বা স্থাপত্য), ব্রান্ডেন বুরগার গেট/ ট্যুর, রাইশটাগ ( সংসদ), হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেইট অপেরা বা থিয়েটার ভবন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনকে পূর্ব এবং পশ্চিম বার্লিনে ভাগ করা হয়।
১৯৬১ সালে বার্লিন প্রাচীর তৈরীর পর পূর্ব-জামার্নির খুব কম সংখ্যক মানুষ পশ্চিম জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি পেত। এই বার্লিন দেয়াল/ প্রাচীন পাড় হতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ হারিয়েছে নিজেদের প্রাণ। ১৯৮৯ সালে দুই জার্মানি এক হলে ভেঙে ফেলা হয় এই দেয়াল। কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে এখনো বার্লিন প্রাচীরের কিছু অংশ।
চলবে........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।