সবকিছুতেই নির্মোক থাকছি, সবকিছুই ইদানীং অর্থহীন মনে হয়; নিজের এই নেতিবাচক প্রবণতায় নিজেই লজ্জিত । :(
বার্লিন দেয়াল সমন্ধে মনে হয় আর কিছুই বলার নাই। স্করপিয়নের সেই বিখ্যাত গান ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’ সবারই শোনা আছে, যেটা ১৯৮৯ সালে স্করপিয়নের মস্কো সফরের সময় লেখা, বার্লিন দেয়াল ভাঙার গান হিসাবেই সমাধিক পরিচিত।
২৮ বছর ১ দিন এই দেয়ালটি পূর্ব জার্মানী (ডেমোক্রেটিক জার্মানী, সেভিয়েত প্রভাবিত)আর পশ্চিম জার্মানী (ফেডারেল জার্মানী, মিত্রশক্তি- আমেরিকান-ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চ প্রভাবিত) আলাদা করে রেখেছিলো জনগনের আবেগকে পায়ে দলে। স্নায়ুযুদ্ধের উপজাত এই দেয়াল টিকে ছিলো ১৯৮৯ পর্যন্ত, যা শুধু বার্লিন বা জার্মানী নয় , পুরো ইউরোপকেই পূর্ব আর পশ্চিম – এই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিলো ।
এই দেয়ালের সবচাইতে বিখ্যাত অংশ হচ্ছে ‘ইস্ট সাইড গ্যালারি’, এটা অস্টব্যানহফ সাব এর কাছে। দেড় কিলোমিটার দেয়ালে প্রায় ১০৬ টার মত ছবি/ গ্রাফিতি আছে। ইস্ট সাইড গ্যালারির চিত্রকরদের মাঝে পৃথিবীর অনেক দেশের লোক আছে ; আছে বার্লিনের সাধারণ লোকজন।
এই লেখাটি লেখার সময়ই একটা অফিসিয়াল সাইট পেলাম এই ওপেন গ্যালারিরঃ
http://www.eastsidegallery.com
Dancing To Freedom
No More Wars, No More Walls, A United World.
এই ছবিটাই আমার সবচাইতে প্রিয়। আমার এখনকার প্রোফাইল ছবি ও এটাই।
মুক্তি!
বাঁধ ভাঙার আওয়াজ।
ঐক্য।
গ্রাফিতিটা ভালো করে খেয়াল করেন। দুইজন হাত মেলাতে চায়, হিংস্র বিভাজনকারীরা হায়েনার হাসি দিয়ে চায় আলাদা করতে... সাধারণ মানুষের ঐক্যের আকাঙ্খা এভাবেই শাসক-শোষকদের হায়েনার হাসিতে বিলীন...
সেভ প্যালেস্টাইন, কেউ একজন তার আকুতি লিখে গেছে। কিন্তু কে করবে? কীভাবে?
QUISE QUI !
মানে কি?
বিভাজন।
পুরোপরি বুঝা যায় না ছবিটা , কিছুটা ...।
মুক্তির আকাঙ্খা , ছুঁয়েছে শান্তিকে...
বুটের তলায় চাওয়াগুলো...
TEARS…
Save Our Planet.
এই দেয়ালের (শেষ ছবিটার, যেটা চেকপয়েন্ট চার্লির কাছে) পিছনেই ছিলো কুখ্যাত এসএস আর গেস্টাপো হেডকোয়ার্টার, এখন ধধংসস্তুপ। ‘টপোগ্রাফি অভ টেরর নামে’ প্রদর্শনী চলে সেই ধধংসস্তুপের উপর। এর খুব কাছেই হিটলারের বাঙ্কার, যেখানে হিটলার আত্মহত্যা করেন। দেয়ালের এই অংশের দৈর্ঘ্য ২০০ মিটারের কাছাকাছি।
মনে হয় এর পরের মোড়েই (ফ্রেডারিকস্ট্রাসের কাছে) কিছুদিন আগে বিমা ভাইয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক বাংলা ব্লগার সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়, রাশুদা এবং বিমা ভাইয়ের ‘জোরালো’ উপস্থিতিতে।
ঐ মোড়েই আছে ‘চেকপয়েন্ট চার্লি’;
আমরা চার সহকর্মী গিয়েছিলাম সেপ্টেম্বর এর পঁচিশ তারিখ এর দিকে, বোকার মত সন্ধ্যার আগে আগে যাওয়ায় ইস্ট সাইড গ্যালারির পুরো দেয়ালটা দেখা হয়নি, রাতে দেখে মজা নাই। তবে দুদিন পর ফ্রেডারিকস্ট্রাসে আর পোস্টড্যামার প্লাটজ এর মাঝের ছোট অংশটা বেশ সময় নিয়ে দেখেছিলাম।
*সবগুলো ছবির কোয়ালিটি ৮০% কমিয়ে , রিসাইজ করে আপলোড করেছি, যাতে সবার দেখতে সুবিধা হয়।
বাকী অংশ আর দেখা হয়নি ।
যতটুকু হলো, তাইই শেয়ার করলাম।
আমাদের বিজয়ের মাসে অশউইৎস (নাজী কনসেনস্ট্রেশান চেম্বার, গ্যাস চেম্বার নামে পরিচিত, যেখানে ১৫ লক্ষ মানবসন্তানকে হত্যা করা হয়েছিলো ) ভ্রমণ নিয়ে একটা পোস্ট দেবার জন্য প্রস্তুত করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।