অকাট মূর্খ যাকে বলে আমি তাই। সুতরাং জ্ঞানীরা বেশি জ্ঞান দিলে আমি চাইয়া চাইয়া দেখা ছাড়া কিচ্ছু করতে পারিনা। পোড়া কপাল!!
গতবছর মাত্র দুই ঈদে বাড়ি গেছিলাম। সারা বছরে ওই মাত্র দুইবার। তাই মৌসুমী ফলফলাদী থেকে শুরু করে বাড়ীর মুখরোচক সব সীজনাল খাবারের স্বাদ বঞ্চিত হয়ে ছিলাম পুরোটা বছর।
এবারও অবস্থা সেরকমই ঠেকতেছে। মনে হয়না ঈদের আগে আর বাড়িতে যাইতে পারব। তো বাসা থেকে নিয়মিত ফোন দিয়ে বলে মৌসুমী ফলটল একটু খাইস। হাবিজাবি না খাইয়া ফল-টল খাইস।
সেদিন দেখলাম ভ্যানের উপর ফালি করে কেটে তরমুজ বিক্রি করতেছে।
একটা আস্ত তরমুজ কেনার মত পকেটের জোর নাই। তাই ভ্যানের দিকেই এগিয়ে গেলাম। একফালি মাত্র ৫ টাকা। কিনলাম একফালি। কিনে হাঁটছি আর খাচ্ছি।
কেমন যেন একটু অন্যরকম লাগছিল। কিন্তু তাও সবটাখেয়ে শেষ করলাম। খাওয়া শেষে তরমুজের অবশিষ্টাংশ ফেলে দিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, হাত লালচে হয়ে আছে। সন্দেহ হল। রূমে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম, দাঁত মুখ সব লাল।
এরকম রঙ দিয়ে ফলও বিক্রি হচ্ছে। ডাবের ভিতরও ইঞ্জেকশান দিয়ে পানি ভরা হয়। তরমুজে রঙ আর স্যাকারিন ভ্রা হচ্ছে। কলা, পেঁপে সবই আজ পাঁকছে কেমিক্যালের বদৌলতে। ফল-ফলাদীরই এই অবস্থা।
যেগুলো মানুষ নিজে বানাচ্ছে সেগুলোর অবস্থা তো জানেনই।
এইসব খেয়ে কতদিন বেঁচে থাকা সম্ভব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।