বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন সম্প্রতি ছয়টি অভ্যন্তরীণ কনটেইনারবাহী জাহাজ নির্মাণের আদেশ পেয়েছে। এ সব জাহাজের ড্রইং ও ডিজাইন জার্মানির শার লয়েড এবং বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর অনুমোদন করেছে।
আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ওয়েস্টার্ন মেরিন জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ছয়টি কনটেইনারবাহী জাহাজ নির্মাণের চুক্তিপত্র সই করেছে। এর মধ্যে দুটি জাহাজ আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পণ্য পরিবহন শুরু করতে পারবে। ওয়েস্টার্ন মেরিনের এসব জাহাজের দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার, কনটেইনার পরিবহন ক্ষমতা ১৭৬টি, প্রতিটি জাহাজের ড্রাফট ৩ দশমিক ৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০ নট।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলোর নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যার মধ্যে জাহাজের দৈর্ঘ্য ও গভীরতা প্রধান। ওয়েস্টার্ন মেরিন নির্মিত জাহাজগুলোর এ ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানীগঞ্জে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কনটেইনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে পানগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবহন শুরু করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভয়াবহ যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করলে খরচ ও সময় অনেক কমে আসবে।
পানগাঁও টার্মিনালের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পানগাঁও এক্সপ্রেস, পানগাঁও সাকসেস ও পানগাঁও প্রোগ্রেস নামে তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ কিনেছে এবং সরকার ইতিমধ্যে এই রুটে পরিবহনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪০টি কনটেইনার লাইসেন্স ইস্যু করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।