পুনর্পাঠ
ফিতা
মাদারিপুরের স্তনের দিকে ধাবমান সিদ্ধিরগঞ্জ...
বাতাসে ব্লেড উড়ছে
বাতাসে ব্লেড উড়ছে...
কেওড়ার ডালে
মৃত ময়ূরীর চুল দেখা যায়...
... এ ছায়া কর্দমাক্ত
ঠিক মানুষ নয়, মানুষের মত অবয়ব।
শূন্য পাকস্থলী ফুঁড়ে জন্ম নিচ্ছে অজগর
দিদিরা যমুনামুখী অভ্যন্তর ফেলে দিতে
জরায়ন পরিত্যাগ করি...
আমি আর কেউটে সাপ অভিযাত্রী পরস্পর।
সু-প্রভাত নামে গ্রামের জঠরে...
রেলের বগিতে চড়ে চড়ুই পাখিটি যাচ্ছে
দাউ দাউ মহানগরের দিকে
আমাদের বেড়িবাঁধের পরে
রাত্রিময় পড়ে রয়েছিল দুধসাদা বিবমিষা না কি পূর্ণিমা!
চক্ষুদ্বয়ে আসমান গলে যেতে থাকে
চক্ষুদ্বয়ে আসমান গলে যেতে থাকে...
আমি আর রেলগাড়ি
নদী পাড়ি দেই অস্তিত্বের ডিঙিতে চড়ে
জলে কর্ণ-গেঁথে শুনা যায়
আধখানা বাঘ, মহিষের হৃৎপিন্ডের আওয়াজ...
আর বেশি দূরে নয়
ঘূর্ণাবর্তে পিষে যাচ্ছি আলো
ল্যাম্পপোস্টে দন্ডিত হবে আলো, শিশুর ক্রন্দন...
স্বর্গের সরুপথ দিয়ে
আমরাও পৌঁছে যাব আপন জংশনে,
দূর বন্দরে রূপসীদের দেখা যায় মাংস-বোঝাই জাহাজের মাথায়
আমি দেখব না
ঢালাইয়ের নীচে চাপা-পড়ে-থাকা সন্তান পাথর
অহ শিশু, পাথর শাবক!
এ যজ্ঞে শুয়ে থাকি মর্গের ভেতর...
গন্ধ ফেটে পড়ে যোনী ও নেপথেলিনের
ইঁদুরের দেহে দূর্ভিক্ষের মত কাম আসে
ইঁদুরের তিনটি পা উরু বেয়ে উঠে আসছে
নাসারন্ধ্রের জমাট রক্তে, অবশিষ্ট ছায়ায়...
ক্রমে কালো হচ্ছে সাদা সাদা শবের বরফ।
আমার প্রেয়সী হায়!
মরু জ্যোৎস্নায় সে তো এক মেঘের জিরাফ
কেউ আমায় নিতে আসে না
কেউ আমায় নিতে আসে না...
মর্গে একা শুয়ে থাকি
জল ও অগ্নি বহুটা আংরা হলে ঘুম আসে, ঘুম আসে...
দূর গাঁয়ে তোমার লন্ঠনের আলো নিভে যাচ্ছে মা
দূর গাঁয়ে তোমার লন্ঠনের আলো নিভে যাচ্ছে মা...
দেলোয়ার হোসেন মণ্জু
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।