তারা বলে সম্ভব না, আমি বলি সম্ভাবনা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে আয়েশা আক্তার (২২) নামের এক তরুণী গতকাল মঙ্গলবার সকালে উঠে পড়েন ২৩০ কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ারে। তাঁকে দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় করে শত শত মানুষ। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা তাঁকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল নয়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা ভূঁইয়া সিটি আবাসন প্রকল্প এলাকায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনের ২৩০ কেভি (কিলো ভোল্ট) বৈদ্যুতিক লাইনের ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ারের মাথায় উঠে পড়েন আয়েশা আক্তার। তাঁকে এত উঁচুতে দেখে শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় টাওয়ারের নিচে।
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ছুটে আসেন বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ অতিক্রম করে ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী পার হওয়া মেঘনা-হাসনাবাদ জাতীয় সঞ্চালন লাইন। কিন্তু ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ারে ওঠার মতো কোনো মই সেখানকার বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে না থাকায় তাঁরা আয়েশাকে নামাতে ব্যর্থ হন। এ পর্যায়ে খবর দেওয়া হয় ঢাকায়।
দুপুর ১২টায় রমনা ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ দল এসে ১৫১ ফুট উঁচু মই ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুপুর পৌনে একটায় মইয়ের সাহায্যে কোমরে বেল্ট বেঁধে আয়েশাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারকর্মীরা নামিয়ে আনতে সক্ষম হন। অবসান হয় প্রায় চার ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির। দুপুর একটা ২৯ মিনিটে মেঘনাঘাট-হাসনাবাদ জাতীয় সঞ্চালন লাইন পুনরায় চালু করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, আয়েশা সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার আনিস মৃধার মেয়ে।
তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
সূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।