এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।
বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশের সাথে পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের ক্রিকেট ম্যাচই বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের জন্য সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচ হবে। ভুলেভালে দু-একটা ব্যতিক্রম ঘটে গেলে সেটা আমাদের চরম দুর্ভাগ্যের ব্যাপার বটে।
(একবার আমি কিছুদিনের জন্য পাকিস্তানে ছিলাম (দুঃখিত, এ কথাটা আমি মাঝে মাঝেই বলে থাকি)। দেখেছি, ঐশ্বরিয়া রায়, শ্রীদেবী, মাধুরী, সুচিত্রা (পপ সিঙ্গার), সুনিতা রাও- এঁদের নামে পাকিস্তানীরা খুব পাগল। মোট কথা, ভারতের শো-বিজ আর সেলিব্রেটিরা পাকিস্তানীদের কাছেও উপভোগ্য ও হার্ট থ্রোব। কিন্তু ক্রিকেটের মাঠে? পাকিস্তানিরা বলে, পৃথিবীর দুর্বলতম দেশের কাছেও আমরা হারতে রাজি আছি, কিন্তু ইনডিয়ার কাছে নয়। ... পাকিস্তানিদের এই দেশাত্মবোধ থেকে আমার মনে হয় আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি ... অবাক হই, যখন দেখি কেউ বাংলাদেশের খেলা দেখতে চরম অনীহা দেখায়, অথচ পাকিস্তান বা ইনডিয়ার খেলা হলে রাত জেগে উল্লাস করে ম্যাচ দেখতে থাকে)
ক্রিকেট খেলতে পারি না যদিও, কিন্তু দেখি।
ক্রিকেটই মনে হয় এখন আমার সবচেয়ে উপভোগ্য খেলা।
বলছিলাম ক্রিকেট দেখতে উত্তেজনার কথা। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ দলের খেলা ছাড়া নিচের ম্যাচগুলোতে আমাদের দেশে বেশি সেনসেশন সৃষ্টি হয় :
১। পাকিস্তান-ইনডিয়া
২। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া
৩।
ইনডিয়া-অস্ট্রেলিয়া
৪। শ্রীলংকা-পাকিস্তান
৫। শ্রীলংকা-ইনডিয়া
৬। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ইনডিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান
৭। সাউথ আফ্রিকার সাথে ইনডিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান
৮।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ইনডিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান
৯। সাউথ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আমার মনে হয়, আমাদের দেশে নিচের ম্যাচগুলো সবচেয়ে নিরানন্দ ও অনাকর্ষণীয় :
সাউথ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ে - এদের মধ্যকার ম্যাচ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।