আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওবাদী দমন অভিযান : নিজ জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ

অন্যায়ভাবে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই । ।
ঝাড়খন্ডে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপারেশন গ্রিন হান্ট নামে অভিযানে নিহত দরিদ্র আদিবাসী ওই অভিযানে ৪০ হাজার আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ জড়িত। রাতের অন্ধকারে লক্ষ্যবস্তু দেখা যায় এমন স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও হেলিকপ্টার গানশিপ ছিল তাদের কাছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের কিছু কিছু এলাকা থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করা।

যে কোনোভাবেই হোক না কেন এ অভিযান অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। অন্তত ভারত সরকারের ভাষায় উপজাতীয় এলাকা পুরোপুরি ‘নিরাপদ’ এবং সামরিকভাবে নকশালরা পরাভূত না হওয়া পর্যন্ত ওই অবস্থা চলবে। গ্রিন হান্টের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও সমন্বয় করছে কেন্দ্র। অতীতে যখন রাজ্য সরকারগুলো এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছিল তখনও কেন্দ্র সাহায্য করেছে। এবার সবচেয়ে বিরক্তিকর একটা জোরালো ইঙ্গিত হলো এই যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স ছত্তিশগড়ে স্থাপন করা হয়েছে।

ছত্তিশগড় হলো গুরুত্বপূর্ণ উপজাতীয় অঞ্চলের সবচেয়ে অশান্ত এলাকা। আরো লজ্জাজনক বিষয় এই যে, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই একটা বিতর্ক দেখা দেয়। ওই বিতর্কটা ছিল বিশেষ বিদ্রোহ দমন বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত বিধি-বিধান নিয়ে। ‘গারুদস’ নামে পরিচিত ওই বাহিনীর কাছে অভিযানের আয়োজনে প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টার প্রদান করার কথা ছিল। বিতর্কের মূল বিষয় ছিল যে, আক্রান্ত হলে কোন পরিস্থিতিতে তারা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে।

দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য নিয়োজিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোকে এই প্রথমবারের মতো ভারতের মূল ভূখন্ডে অবস্থিত নিজেদের অসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা বলা হয়েছে। একাধিক বিশ্বাসযোগ্য ও প্রামাণিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, আদিবাসী এলাকায় প্রতি সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ জন উপজাতীয় লোককে হত্যা করা হয়। প্রায় দু’লাখ লোক ইতোমধ্যে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। ২০০৮-০৯ সালে ছত্তিশগড় সরকারের অর্থায়নে ও অন্ধ্রে মিলিশিয়ার উদ্যোগে সালওয়া জুদুম কর্তৃক যে ৫০ হাজার লোককে গৃহহীন করা হয়েছিল তাদের ওই সংখ্যার মধ্যে গণনা করা হয়নি। ওই ৫০ হাজার লোক আর বাড়ি ফিরতে পারেনি।

তারা আশ্রয় নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে এবং সীমান্তের কাছাকাছি বনজঙ্গলে। আধা-সামরিক বাহিনী ছাড়াও উপজাতীয় লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণের শিকার হয় ব্যক্তিগত মিলিশিয়া অথবা বিশেষ পুলিশ অফিসারদের নেতৃত্বে। রাজ্য সরকার সমর্থিত এই মিলিশিয়া ও পুলিশ অফিসারদের বাইরে কখনো কখনো মাওবাদী গেরিলা নামধারীদেরও আক্রমণের শিকার হয় এসব উপজাতীয় মানুষ। অনেক আক্রান্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সমর্থিত রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, বিশেষ পুলিশ ও ব্যক্তিগত গুন্ডারা অ-যোদ্ধা অসামরিক লোকেরা যারা মাওবাদীদের সমর্থন করে তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের কিছু কিছু এলাকায় ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনাও ব্যাপক।

এসব অপারেশনে মাওবাদীদের চেয়ে অসামারিক লোকদের নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। ঝাড়খন্ডে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপারেশন গ্রিন হান্ট নামে অভিযানে নিহত দরিদ্র আদিবাসী -ইন্টারনেট মাওবাদীরা দুর্বল ও অপর্যাপ্তভাবে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের ওপর আক্রমণ জোরদার করেছে। তারা সম্প্রতি এ ধরনের একটা আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের সিলদায়। কিষেনজির মতে, ওই আক্রমণকে অপারেশন গ্রিন হান্ট-এর প্রতিশোধ হিসেবে গণ্য করা যায়। এর ফলে নিরপরাধ অসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আরো প্রচন্ডতার আশ্রয় গ্রহণ করবে।

ঠান্ডা মাথায় এমন হত্যাকান্ডকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। মাওবাদীরা যে ধরনের প্রতিশোধের রাজনীতি, প্রচন্ড প্রতিশোধ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে তা প্রশ্নাতীত নয়। মাওবাদীরা দাবি করে যে, তারা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক ‘উন্নয়ন’ প্রজেক্টের কারণে স্থানচ্যুত ও সম্পদ থেকে বঞ্চিত অতি দরিদ্র উপজাতীয় লোকদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করছে। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই মাওবাদী ও তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সংগ্রামের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। একথা বিশ্বাস করার কারণ আছে যে, কিছু গ্রুপ মাওবাদী নামে বল প্রয়োগে অর্থ আদায় ও প্রচন্ডতার আশ্রয় নেয়।

সিপিআই (মাওবাদী) কতটা ঐক্যবদ্ধ এবং বর্তমান কৌশলের বিষয়ে তাদের অভ্যন্তরে কতটা ঐকমত্য আছে তাও স্পষ্ট নয়। যা হোক, তিনটা বিষয় খুব স্পষ্ট। প্রথমত; নকশাল আন্দোলনের চার দশকের দীর্ঘ ইতিহাসে গরিব লোকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, উচ্চতর মজুরি বা রাজ্য সরকারের হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য যা অর্জিত হয়েছে তা খুবই কম। একমাত্র টেন্ডু পাতার (যে পাতা দিয়ে বিড়ি বানানো হয়) দাম বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো বড় ধরনের অর্জনের বিষয় উল্লেখ করা কষ্টকর। দ্বিতীয়ত, একই সঙ্গে নকশাল কার্যকলাপ বিশেষ করে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের উপজাতীয় এলাকায় যা প্রসারিত হয়েছে তার কারণ চরম দরিদ্রতা নিরসন, অনাহারে মৃত্যু ও অপুষ্টিতে প্রায় অনাহার অবস্থার রোধ অথবা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা।

দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, ছত্তিশগড় রাজ্যের ধামতারি জেলায় ড. বিনায়ক সেন তার স্বেচ্ছাসেবী ক্লিনিক পরিচালনা করেন। এর ৩০ কিলোমিটার এলাকায় স্বাস্থ্য পরিচর্যার অন্য কোনো সুযোগ নেই। অথচ ধামতারি জেলা এ রাজ্যের সবচেয়ে অনুন্নত জেলা নয়। জনগণকে সেবা করার মতো ব্যর্থ এ সরকার প্রায় কিছুই দিতে পারছে না। ন্যূনতম চাকরির সুযোগ ও খাদ্য, নিরাপত্তা, পানীয় জল, প্রাথমিক শিক্ষা, কৃষিঋণ, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সহায়তা, এমনকি আইন-শৃংখলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও এ সরকার কিছু করতে পারছে না।

সামগ্রিকভাবে শতকরা ৩০ ভাগ ভারতীয়ের তুলনায় ভারতের উপজাতীয় এলাকার অর্ধেকের বেশি লোক দৈহিক পুষ্টিমান সূচক ১৮.৫-এর নিচে (সাধারণ সূচক হলো ১৮.৫ থেকে ২৫)। এ সূচক থেকে বড় ধরনের অপুষ্টির কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশের শতকরা ৪০ ভাগের বেশি লোক প্রয়োজনের তুলনায় কম খেতে পায় এবং তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী ভারতের উপজাতীয় এলাকার লোকগুলো স্থায়ীভাবে দুর্ভিক্ষ অবস্থার শ্রেণীভুক্ত। নিয়ন্ত্রণহীন খনি-খনন : আদিবাসী এলাকার লোকদের চরম দরিদ্র্যতার আরো অবনতি ঘটেছে নিয়ন্ত্রণহীন খনি-খনন ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রকল্প, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করায়।

দৃষ্টান্ত হিসেবে উড়িষ্যার বেদান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করা যায়। এসব কাজের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে এবং তারা তাদের জমি হারায়। ঔপনিবেশিক আমল তথা ১৮৯৪ সালের কঠোর ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীনে তাদের জমি নিয়ে নেওয়া হয়। পসকো, মিত্তাল ও বেদান্তের মতো ব্যবসায়ী গ্রুপ তাদের বৈধ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাজার হাজার একর জমি দখল করে নিচ্ছে। এসব গ্রুপের কাজের ধারা আক্রমণাত্মক এবং সরকারের উচ্চস্তরের সঙ্গে তাদের যথেষ্ট যোগাযোগ আছে বলে সবাই জানে।

এছাড়াও বনের সম্পদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। বনসম্পদের সঙ্গে তাদের নির্ভরশীলতা ঐতিহ্যগত। এর ফলে তাদের নিঃস্ব অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে এ রাজ্য উন্নয়ন কাজে সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে। তৃতীয়ত, ভারতের উপজাতীয় এলাকায় রাজ্য তার বৈধ অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।

এটা দাবি করা হাস্যকর যে, জনসমর্থিত মাওবাদীদের তুলনায় রাজ্য সরকারের সামরিকীকরণ কর্মসূচির আকার বড়। এর পুলিশ বাহিনী অযোগ্য, দুর্নীতিপরায়ণ, বন্দুক চালিয়ে আনন্দ পায় এবং গরিববিরোধী। লুণ্ঠনকারী, মুনাফালোভী শিল্প গ্রুপ ও অতি মাত্রায় দুর্নীতিপরায়ণদের (যেমন মধু খোদা যিনি তিন বছরে ঝাড়খন্ডের কর রাজস্বের এক-চতুর্থাংশের সমপরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ আছে) প্রতিনিধি ছাড়া রাজ্য আর বিশেষ কিছু নয়। এটা কোনো আকস্মিক বিষয় নয় যে, প্রভূত খনিজ ও বনসম্পদ আছে এমন এলাকায় কেন্দ্র তার পূর্ণ দমনমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে এবং ওই সম্পদ এখন বেসরকারি মূলধনে হস্তান্তর করা হয়েছে। উগ্রতার জন্য মাওবাদী ও রাষ্ট্র উভয়কে ঘৃণা করা খুবই সহজ।

কিন্তু এ দুইয়ের মধ্যে একটা স্পষ্ট বিভাজন অবশ্যই করতে হবে। রাষ্ট্রকে জনগণ ও সংবিধানের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। মাওবাদীদের তা করতে হয় না। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতার ব্যবহার বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে না- সংবিধান এ ধরনের কাজ করতে তাকে নিষেধ করেছে। এটা যুক্তি দেখানো নিরর্থক যে, রাষ্ট্র এখন যুদ্ধরত অবস্থায় আছে এবং ‘যুদ্ধ হলো নরক’।

সুতরাং বাড়াবাড়ি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র তার নিজের জনগণের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় থাকতে পারে না। এমনকি বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কর্তৃক সামরিক অভিযান চালানো হলেও (ওই গ্রুপগুলো এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে) তাকে যুদ্ধের নীতিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। ওই নীতি হলো প্রথম ক্ষেত্রে যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার ন্যায্যতা এবং যুদ্ধের আচরণের ন্যায্যতা। এই উভয় মানদন্ড পূরণে অপারেশন গ্রিন হার্ট ব্যর্থ হয়েছে।

মাওবাদীদের উগ্রতাকে যদি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে পুলিশের সাধারণ পদ্ধতিতে তাদের দায়ী করা যায় এবং এটাই যৌক্তিক। এজন্য অসামরিক লোকদের ব্যাপকহারে হত্যা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। যা-ই হোক না কেন, যুদ্ধে জড়িত নয় এমন অসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা, বাছবিচার না করে ক্ষমতা বা নিষ্ঠুরতা প্রয়োগ, নির্যাতনের মতো অমানবিক ও ঘৃণিত উপায় অবলম্বন করা কোনো সভ্য সমাজ অনুমোদন দিতে পারে না। অবশ্য রাষ্ট্র যদি দুর্বৃত্ত নাম গ্রহণ করার ঝুঁকি নেয় তাহলে ভিন্নকথা। অপারেশন গ্রিন হান্টের অধীন ঠিক এমনটাই ঘটছে।

এটা একেবারেই অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। প্রায় বর্বরোচিত উপায়ে ইসরাইলের প্যালেস্টাইন দখল অথবা আবু গারিব, গুয়ানতানামো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত যুদ্ধে এক লাখ ইরাকি হত্যা ও ওই দেশটার দখলের মতো এ বিষয়টাও একই পরিমাপে ঘৃণ্য। এ অভিযান যদি অব্যাহত থাকে তাহলে অসামরিক লোকের নিহত হওয়ার সংখ্যা বছরে কয়েকশ’ থেকে কয়েক হাজারে দাঁড়াবে। এমন ঘটনা ঘটেছিল আর্জেন্টিনা ও পেরুতে- সেখানে দশকব্যাপী বিদ্রোহ দমন অভিযানে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ লোক ‘অদৃশ্য’ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য অপারেশন গ্রিন হান্টকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

কেন্দ্রের উচিত মাওবাদীদের সঙ্গে একটা আন্তরিক আলোচনা শুরু করা এবং তাদের ওপর সুবিধা লাভের জন্য ছলনা করার লোভ রোধ করতে হবে সচেতনভাবে। এমন ঘটনা ঘটেছিল অন্ধ্র প্রদেশে। মাওবাদীদের গোপন আস্তানা সম্পর্কে জানার জন্য ওয়াইএস, রাজশেখর রেড্ডি সরকার ২০০৪ সালে আলোচনার উপায়কে ব্যবহার করে। অতঃপর, নিজের অঙ্গীকার ভেঙে মাওবাদীদের আক্রমণ করে। আলোচনা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মাওবাদীদের আন্দোলনের মোকাবেলা করতে হবে পুলিশের সভ্য উপায়ে এবং সর্বোপরি রাজ্যের ব্যর্থতাকে সফলতায় ফিরিয়ে এনে।

এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি সেবার ব্যবস্থা করা। ফ্রন্টলাইন থেকে ভাষান্তর : আবু জাফর লেখক: প্রফুল্ল বিদওয়াই সূত্র/সংগ্রহ: সাপ্তাহিক বুধবার(সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ) -২৮তম সংখ্যা;২৪মার্চ ২০১০
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.