অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
১৯৯৮ সালে জাকারিয়া স্বপন প্রথম দেশে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেটি হয়েছিল ঢাকা শেরাটনে। ৫০ দল অংশ নিয়েছে। এরপর সরকার এই দায়িত্ব নেয়।
১৯৯৯ সালে বুয়টে আর ২০০০ সালে ঢাবিতে হওয়ার পর মনে হয়েছিল যে এটি নিয়মিত হবে। কিন্ত হয় নাই। ২০০৩ (বা অন্য সময়) একবার সাউথ ইস্টে আর একবার চট্টগ্রামের আইআইইউসিতে জাতীয় কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হয়েছে। এরপর নানান উদ্যোগ হলেও সেগুলোকে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা বলা মুশ্কিল। এর পাশাপাশি অবশ্য আইসিপিসির ঢাকা কেন্দ্রের প্রতিযোগিতা হয়েছে।
এবছর থেকে আবার এনসিপিসি হবে বলে মনে হচ্ছে। শাবিপ্রবিতে ১৬ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে যেখানে আমার উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের তথ্যগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করে রাখলাম। আমি কিছু যোগবিয়োগ করেছি।
-----
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে National Collegiate Programming Contest (NCPC) আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। একেক বছর একেক বিশ্ববিদ্যালয় হেবস্ট হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সি.এস.ই.) বিভাগকে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে। সি.এস.ই. বিভাগ NCPC সহ আরো বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে আগামী ৮, ৯, ১০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে তিনদিন ব্যাপী CSE Carnival 2010 আয়োজন করতে যাচ্ছে। NCPC এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রোগ্রামগুলো হলো Laptop Fair, Software Exhibition ও World Cyber Games Competition।
CSE Carnival 2010 এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবং সমাপণী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি প্রদান করেছেন।
জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা / National Collegiate Programming Contest (NCPC) : এ প্রতিযোগিতায় কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের অনেকগুলো গাণিতিক সমস্যা দেয়া হয় যা প্রতিযোগীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়। সাধারণত প্রতিযোগিতাটি ৫-৬ ঘন্টার হয়ে থাকে এবং কম্পিউটারের মধ্যে কোডিং করে সমাধান করতে হয়। এতে বাংলাদেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করে। এতে পুরষ্কার হিসেবে ল্যাপটপ/নগদ টাকা ও ক্র্যাস্ট দেয়া হবে।
ল্যাপটপ ফেয়ার / Laptop Fair : সিলেটে এই প্রথমবারের মতো Laptop Fair হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে তিনদিন ব্যাপী এ মেলা চলবে যাতে সিলেট ও ঢাকার সব কম্পিউটার ব্যবসায়ী তাদের পণ্য নিয়ে স্টল দিবেন। এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ ছাড়!
গেইমিং প্রতিযোগিতা / World Cyber Games Competition (Sylhet Region) : World Cyber Games (WCG) প্রতিবছর ঢাকায় কম্পিউটারের গেইমিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাতে দেশের সব প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। তবে এইবার সিলেট অঞ্চলের প্রতিযোগিতা CSE Carnival 2010 এর সাথে হয়ে যাবে এবং এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে অংশ নিবে। সিলেট অঞ্চলের বিজয়ীরা পুরষ্কার হিসেবে সিলেট-ঢাকা-সিলেট বিমান টিকেট পাবে!
সফটওয়ার প্রদর্শনী / Software Exhibition : এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ তাদের বানানো সফটওয়ার প্রদর্শন করবেন।
বিচারকদের মতামতে বিজয়ীদের পুরষ্কার হিসেবে ল্যাপটপ/নগদ টাকা ও ক্র্যাস্ট দেয়া হবে।
http://www.sust.edu/csecarnival ঠিকানায় অনুষ্ঠানের বিস্তারিত সমযসূচী ও অন্যান্য তথ্য জানা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।