যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা থেকে "জল্লাদের দরবার" নামে একটি ব্যাঙ্গ নাটক প্রচারিত হ'ত। বলার অপেক্ষা রাখে না মুক্তি যুদ্ধ, বাংলাদেশ ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে এই ব্যাঙ্গাত্মক আয়োজন। তো সেই অনুষ্ঠানে "দুর্মুখ" নামে একটি চরিত্র ছিল আর "ঘষেটি বেগম" নামে তার একটি আত্মীয়া বা শালীর চরিত্র ছিল। ঘষেটি বেগম চরিত্রের সেই নারী আবার রেডিও পাকিস্তান ঢাকা এবং ঢাকা টিভিতে বাংলা খবর প'ড়তো।
ঐ সময় পাকিস্তান আর্মির বিশেষ খাতিরের এই নারীর কথা সবার মুখে মুখে ছিল। সেই ঘষেটি বেগমের অভিনয় অর্থাৎ দুলাভাইয়ের সাথে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাঙ্গ করে রঙ্গ রস তখন যারা রেডিও পাকিস্তানে শুনেছেন তারা এক বাক্যে বলবেন ঐ ঘষেটি বেগমের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার ও শাস্তি হওয়া উচিৎ।
কে সেই ঘসেটি বেগম? নাম তার মাসুদা শরফুদ্দিন। স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৭১ এ সেই খারাপ সময়ে (তার সুসময়ে) মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার হলুদ রং এর একটি সরকারী দালোনে/কোয়ার্টারে থাকতো।
তার বাসার নীচে সব সময় পাকিস্তান আর্মি পাহারা থাকতো। তাদের পাহারায় সে চলা ফেরা করতো।
১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক পরিবর্তনের পর তাকে আবার টিভিতে সদম্ভ পদচারণা করতে দেখা গিয়েছিল। "কোথায় থাকি" বা এই জাতীয় কোন একটি নাটকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল।
কিছুদিন আগে এই ঘসেটি বেগমকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান আর্মির পীরিতের নারী বলায় একটি ব্লগের চ্যালা-চামুন্ডারা অভিযোগ তুললো আমি নাকি অমন কথা বলে বাংলাদেশের সকল নারীকে অপমান করেছি।
তাই ভাবছি মানবতা বিরোধী যদ্ধাপরাধের কারণে কিছু "বাঙ্গালী" রজাকারের বিচারকে ঐ সব চামুন্ডারা হয়তো বাঙ্গালী জাতির অপমান হিসেবে দেখবে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মাভৈঃ
আমি যুদ্ধাপরাধী মাসুদা শরফুদ্দিনের বিচার ও শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।